বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

ইস্যু যখন শ্যামল কান্তি স্যার

অনেকেই দেখতাছি স্যার শ্যামল কান্তির ইস্যু নিয়ে মসজিদ এবং মসজিদের মাইক নিয়ে দোষারুপ শুরু করে দিছে।আচ্ছা ভাই,আপনি মসজিদ কিংবা মন্দিরের বা যেকোন ধর্মীয় উপাসনালয়ের দোষ দিয়ে কি কোন লাভ আছে?সেটা হলো সবে মাত্র একটা জড় বস্তু(ঘর)।কারণ,অনেকেই বলা শুরু করছে,আপনি মসজিদের মাইক থেকে আযান দিয়ে দেখুন কয়জন নামাজী উপস্থিতি হয়?কিন্তু সেই মসজিদ থেকে মাইক দিয়ে ধর্ম অবমাননার ভুয়া ঘোষণা দেওয়া হয় তাহলে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে যাবে লাঠি, দা-চাপাতি নিয়ে।যুক্তিটা অবশ্যই ভালো মনে হয়েছে।কিন্তু একটা কথা চিন্তা করে দেখেনতো,রাস্তার পাশে যখন কোন লোক একসিডেন্ট হয় কিংবা বিপদে পড়ে আমরা কয়জন তারপাশে যাই এবং ভীড় জমাই (যদিও একজন দুজন যাবার পর অনেকেই পরে আসে)?কিন্তু যখন রাস্তার পাশে যখন কোন পকেটমার কিংবা চোরকে ধরা হয় তখন হাজার হাজার উৎসুক জনতা চলতি বাস কিংবা রিক্সা কিংবা যানবাহন থেকে নেমে মারা শুরু করে দেয় চোরকে।এই কথার কারন একটাই,আমরা একটু বেশী আবেগ প্রবন তবে সেটার লক্ষন তখনই দেখা যায় যখন কেও বিপদে পরে তখন তাকে ঘাড় ধরে ধাক্কায় কূয়ায় ফেলে মজা নেওয়ার সময়।এখন আপনি একটা কথা বলতে পারেন আমি বক ধার্মিক কিংবা অন্যায়ের পক্ষ নিছি।না ভাই সেটা আপনার ভুল ধারনা।আমরা আজ অনেকেই প্রতিবাদ করতাছি,কিন্তু এখানে যে শ্যামল কান্তির সাথে গত ৫ বছর ধরে চক্রান্ত চলতাছে তা নিয়ে কেও কিছু বলতাছিনা।তাকে তো কেবল মাত্র একটা ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে সাজানো নাটকের দৃশ্যস্থাপনা করা হয়েছে।আজ যখন এলাকাবাসী কিংবা ছাত্র বলছে যে,শ্যামল কান্তি স্যার ধর্ম নিয়ে কোন কথা বলে নাই।
আবার সেই ছাত্রই বলতাছে শিক্ষক ধর্ম নিয়ে অনেক কটুক্তি করছে।
উপরের ভিডিও দুইটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে,সেলিম গং এবং তার সাঙ্গপাংগদের বাচানোর জন্যই পুনরায় আবার পরের ভিডিওটি করা হয় ক্ষমতার জোরে।কারণ ওসমান গঙদের সম্পর্কে সকলই কমবেশী অবগত আছেন।তাহলে এই কাজটা কে করছে সেটাতো অতি সহজেই বুঝা যাচ্ছে শ্যামল কান্তি স্যারের ভিডিও বিবৃতি থেকে।প্রশাসন কিংবা আমজনতা সেটা নিয়ে কেন কোন কথা বলছে না?আর প্রশাসনও সেই ব্যাপারে চুপ কেন?শুধু সেলিম ওসমানের কানে ধরে মাফ চাইলেই কি সেই শিক্ষকের অপমান এবংতার সাথে শত্রুতা শেষ হয়ে যাবে?মোটেও না,তাই সেলিম ওসমানের সাথে তাদেরও খুজে বের করতে হবে যারা এই দৃশ্যায়নের পরিচালক।তবেই শ্যামল কান্তি স্যার কিছুটা হলেও রেহাই পাবে এবং তার জীবনের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হবে।আজ অন্যায়কারীরা ধরেন সবার সামনে কানে ধরেই মাফ চাইলো এ জাতির সামনে কিংবা কোন সাত রাস্তার মোড়ে।কিন্তু কাল যখন খবরের কাগজে নিউজ হবে,শ্যামল কান্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এবং প্রত্যক্ষ দর্শীদের ভাষ্য মতে,খুনীরা সেই সাথে আল্লাহু স্লোগান দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।তখন কি তাহলে সেখানে আবার ধর্মীয় ইস্যু টেনে জংগী হামলায় ফেলে দিবেন হত্যা ইস্যুকে?তাই সব কিছু করার আগে,শ্যামল কান্তি স্যার এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা আগে করতে হবে।তারপরেই না হয় আমরা বিচারের দাবি করতে পারি।তবে এর মানে এই না যে,আমরা প্রতিবাদ করবো না।প্রতিবাদ অবশ্যই হবে।তবে প্রত্যেক ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়াটাই আগে ভাবা উচিত এবং সেই সাথে ব্যবস্থা নেওয়া।