গত দুই বছর আগে যখন ওয়াশিকুর বাবুকে হত্যা করা হলো,তখন কত জনই কত কিছু বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মায়া কান্না শুরু করলো।মনে হয়েছিলো,বাবুর মৃত্যুতে শুধু তার পরিবার বা অতি নিকট আত্মীয়রাও না, তার থেকেও অনেক বেশী কষ্ট পেয়েছিলো বাবুর ফেসবুক বন্ধুরা।সবাই আবেগ তাড়িত হয়ে নানা ভাবেই তাদের আবেগ প্রকাশ করেছে।এবং কি অনেকেই এমনই আবেগে আবেগান্বিত হয়েছিলো যে (কয়েকজন মেয়ে),বাবুকে নিজের বিএফ বলে পরিচয় দিলো,তারপর তাদের কিভাবে পরিচয়,কোথায় দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি।এসব দেখে যে কেও আরো বেশী আবেগান্বিত হয়ে মেয়েগুলোকে কি স্বান্তনাবানী ফেসবুক বন্ধুদের এবং অনেকেই সান্তনা দিয়ে বলে "আপু আপনাকে রিকু দেওয়া হয়েছে দয়া করে এড করে নিবেন"।আবার অনেকের সাথে ইনবক্সে কথা হয়েছে,দেখা করতে চেয়েছে,কার সাথে কি নিয়ে কথা হয়েছে লাস্ট ইত্যাদির স্ক্রীনশট ফেসবুকে পোস্ট করেও অনেকেই নিজের আবেগ ভালোবাসা প্রকাশ করেছিলো।তবে সবথেকে বেশী ভালো লেগেছিলো একটি মেয়ের গল্প এবং বাবু আর তার মাঝের প্রেম কাহিনী।
তাদের প্রেম কাহিনীর ধরণটা এমন ছিলো অনেকটাই যে, বাবু আর মেয়েটার মাঝে মাঝে ফেসবুকে কথা হতো,তারা একে অপরের নানা কথা শেয়ার করতো মানে ফেসবুকে চ্যাট করতে করতে যেভাবে ভালো পরিচয় বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। যাই হোক মূল কথায় ফিরে আসি,মেয়েটি তখন সবে মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিছে বা ২য় বার বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশনের চেষ্টা করছে।কিন্তু মেয়েটা খুব হতাশায় ভোগে কারণে বা অকারণে।একদিন মায়ের উপর রাগ করে বাসা থেকে বেড়িয়ে টিএসসিতে চলে যায় আর বাসায় না ফিরার চিন্তা করে।তারপর সেখানে বসে বসে বাবুকে ফোন দিয়ে বলে সে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরছে আর বাড়িতে ফিরতে চায় না।বাবুকে ওকে ফোনে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং অফিস শেষ করে তার সাথে দেখা করবে এবং কিছু একটা ব্যবস্থা করবে বলে জানায়।এবং এক সময় বাবু তার কাজ শেষ করে মেয়ের কাছে ছুটে আসে।তারপর তারা এক সাথে আড্ডা এবং মেয়েকে বুঝিয়ে রাতে তার বাড়িতে দিয়ে আসে।মেয়ের মা খুব খুশী তার মেয়ে ফিরে এসেছে এবং মেয়ে ছেলেটির সব কথা খুলে বলে।তখন মেয়ের মা বলে,এই ছেলে না হয়ে যদি অন্য ছেলে হতো মানে একটু অন্য টাইপের তাহলেই একটা দূর্ঘনা ঘটে যেত পারতো বলে আশংকা প্রকাশ করে।এ দিক দিয়েও ,মেয়ের মনে হালকা প্রেমের বাতাস লাগে এবং তারা এক সময় প্রেমে ঝড়ায়।তাদের খুব ভালো সম্পর্ক চলতে চলতেই ২০১৫ সালের আজকের এই দিনে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয় বাবুকে।আর তখন সেই মেয়ের থেকে কে বেশী শোকে থাকতে পারে বলে মনে হয় না।তারমধ্যে বয়সটাও তখন আবেগময় ছিলো মেয়ের জন্য।
কিন্তু হায়! সেই আবেগ! সেই ভালোবাসা!......!
সবই ধান্ধারে ভাই, এতক্ষন যা বলছিলাম এখন তার বিপরীত বিবেচনা করতে গেলে।এখন আর তার বাবুর কথা মনে নাই,বাবুকে নিয়ে কোন মায়া কান্নাও নাই,বাবুকে নিয়ে কোন গল্পও নাই।সবই ছিলো এক ধরনের ধান্ধা এবং বাবুর নাম বেচে নিজে জাতে উঠার চেষ্টা।মেয়েটার সেই সময়ে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ৩০০০ হাজার ফলোয়ার হয়ে যায়।তারপর একদিন দেখি মেয়েটা একটা পোস্ট দিছে এখন তার ফলোয়ার সংখ্যাও ৫০০০ ছাড়াইছে।এখন আর যা ইচ্ছা তাই লিখে মনের ভাব প্রকাশ করা যাবে না,সব কিছুই ভেবে চিনতে করতে হবে।হুম মেয়েটা এখন সবকিছু ভেবে চিনতে করে এখন তার ফলোয়ার ৮০০০+। ভেবে চিনতে করা মানে এই না যে,আগের মত সারাদিন স্ট্যাটাস দিবে তা না কিন্তু।হয়তো অন্য কিছু চিন্তা এবং যা তা লিখবেনা।আগে পোস্টে চুদানী,খাঙ্কির পোলা এসব থাকতো এখন আর তা থাকে না।অনেকটা ভদ্র মেয়ে,ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো বিষয় নিয়ে পড়তেও আছে ।তার সব কিছুই ঠিক থাকলেও আজ হয়তো আর তার বাবুর জন্য মায়া কান্না করার সু্যোগ নাই।বাবু নামে কেও ছিলো এটাই হয়তো তার এখন স্মৃতিতে নাই।কারণ তখন বাবুর জন্য দীর্ঘদিন হ্যাশট্যাগ, নো জাস্টিস ইন বিডি,কলম চলবে কত কিছু লিখে পোস্ট করতো আর কান্নার ইমো ব্যবহার করে ফেসবুকে চোখের জল দিয়ে বন্যা করে ফেলতো।সেই মেয়ের ফেসবুক মায়া কান্নার কথা মনে পরলো আমার বাবুর মৃত্যু দুই বছরপূর্ত্তির দিনে।তাই সেই খেয়াল বশত আজ আবার সেই মেয়ের টাইম লাইনে গেলাম,সকাল থেকে এ পর্যন্ত তার ওয়ালে প্রচুর আমপাতা,কাঠাল পাতা শেয়ার হলেও কলম চলবে বলে যে ধরণের লিখা চালিয়ে যাবার কথা ছিলো তা অনেক আগ থেকেই হারিয়ে গেছে অতীত হয়ে।শুধু তাই না,আজ বাবুর জন্য কোন পোস্ট দেখতে পেলাম না তার ওয়ালে।কোথায় হারিয়ে গেল সেই কান্নামাখা ফেসবুক।মাত্র দুই বছর আগে এতো কান্না আর এখন আমপাতা ,কাঠালপাতা শেয়ার করে!
সবই ছিলো ভাই নিজের পরিচিতি এবং একটা প্লাটফর্ম নেবার ধান্ধা বাবুর লাশের উপর দাড়িয়ে।আর মেয়েটা সফল।হেরে গেছে শুধু মুক্তচিন্তার মানুষগুলো,যাদের লাশের উপর দাঁড়িয়ে সুযোগ সন্ধানীরা নৃত্য করে আজ জাতে উঠে গেছে।
#NO_JUSTICE_IN_BD.
তাদের প্রেম কাহিনীর ধরণটা এমন ছিলো অনেকটাই যে, বাবু আর মেয়েটার মাঝে মাঝে ফেসবুকে কথা হতো,তারা একে অপরের নানা কথা শেয়ার করতো মানে ফেসবুকে চ্যাট করতে করতে যেভাবে ভালো পরিচয় বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। যাই হোক মূল কথায় ফিরে আসি,মেয়েটি তখন সবে মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিছে বা ২য় বার বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশনের চেষ্টা করছে।কিন্তু মেয়েটা খুব হতাশায় ভোগে কারণে বা অকারণে।একদিন মায়ের উপর রাগ করে বাসা থেকে বেড়িয়ে টিএসসিতে চলে যায় আর বাসায় না ফিরার চিন্তা করে।তারপর সেখানে বসে বসে বাবুকে ফোন দিয়ে বলে সে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরছে আর বাড়িতে ফিরতে চায় না।বাবুকে ওকে ফোনে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং অফিস শেষ করে তার সাথে দেখা করবে এবং কিছু একটা ব্যবস্থা করবে বলে জানায়।এবং এক সময় বাবু তার কাজ শেষ করে মেয়ের কাছে ছুটে আসে।তারপর তারা এক সাথে আড্ডা এবং মেয়েকে বুঝিয়ে রাতে তার বাড়িতে দিয়ে আসে।মেয়ের মা খুব খুশী তার মেয়ে ফিরে এসেছে এবং মেয়ে ছেলেটির সব কথা খুলে বলে।তখন মেয়ের মা বলে,এই ছেলে না হয়ে যদি অন্য ছেলে হতো মানে একটু অন্য টাইপের তাহলেই একটা দূর্ঘনা ঘটে যেত পারতো বলে আশংকা প্রকাশ করে।এ দিক দিয়েও ,মেয়ের মনে হালকা প্রেমের বাতাস লাগে এবং তারা এক সময় প্রেমে ঝড়ায়।তাদের খুব ভালো সম্পর্ক চলতে চলতেই ২০১৫ সালের আজকের এই দিনে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয় বাবুকে।আর তখন সেই মেয়ের থেকে কে বেশী শোকে থাকতে পারে বলে মনে হয় না।তারমধ্যে বয়সটাও তখন আবেগময় ছিলো মেয়ের জন্য।
কিন্তু হায়! সেই আবেগ! সেই ভালোবাসা!......!
সবই ধান্ধারে ভাই, এতক্ষন যা বলছিলাম এখন তার বিপরীত বিবেচনা করতে গেলে।এখন আর তার বাবুর কথা মনে নাই,বাবুকে নিয়ে কোন মায়া কান্নাও নাই,বাবুকে নিয়ে কোন গল্পও নাই।সবই ছিলো এক ধরনের ধান্ধা এবং বাবুর নাম বেচে নিজে জাতে উঠার চেষ্টা।মেয়েটার সেই সময়ে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ৩০০০ হাজার ফলোয়ার হয়ে যায়।তারপর একদিন দেখি মেয়েটা একটা পোস্ট দিছে এখন তার ফলোয়ার সংখ্যাও ৫০০০ ছাড়াইছে।এখন আর যা ইচ্ছা তাই লিখে মনের ভাব প্রকাশ করা যাবে না,সব কিছুই ভেবে চিনতে করতে হবে।হুম মেয়েটা এখন সবকিছু ভেবে চিনতে করে এখন তার ফলোয়ার ৮০০০+। ভেবে চিনতে করা মানে এই না যে,আগের মত সারাদিন স্ট্যাটাস দিবে তা না কিন্তু।হয়তো অন্য কিছু চিন্তা এবং যা তা লিখবেনা।আগে পোস্টে চুদানী,খাঙ্কির পোলা এসব থাকতো এখন আর তা থাকে না।অনেকটা ভদ্র মেয়ে,ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো বিষয় নিয়ে পড়তেও আছে ।তার সব কিছুই ঠিক থাকলেও আজ হয়তো আর তার বাবুর জন্য মায়া কান্না করার সু্যোগ নাই।বাবু নামে কেও ছিলো এটাই হয়তো তার এখন স্মৃতিতে নাই।কারণ তখন বাবুর জন্য দীর্ঘদিন হ্যাশট্যাগ, নো জাস্টিস ইন বিডি,কলম চলবে কত কিছু লিখে পোস্ট করতো আর কান্নার ইমো ব্যবহার করে ফেসবুকে চোখের জল দিয়ে বন্যা করে ফেলতো।সেই মেয়ের ফেসবুক মায়া কান্নার কথা মনে পরলো আমার বাবুর মৃত্যু দুই বছরপূর্ত্তির দিনে।তাই সেই খেয়াল বশত আজ আবার সেই মেয়ের টাইম লাইনে গেলাম,সকাল থেকে এ পর্যন্ত তার ওয়ালে প্রচুর আমপাতা,কাঠাল পাতা শেয়ার হলেও কলম চলবে বলে যে ধরণের লিখা চালিয়ে যাবার কথা ছিলো তা অনেক আগ থেকেই হারিয়ে গেছে অতীত হয়ে।শুধু তাই না,আজ বাবুর জন্য কোন পোস্ট দেখতে পেলাম না তার ওয়ালে।কোথায় হারিয়ে গেল সেই কান্নামাখা ফেসবুক।মাত্র দুই বছর আগে এতো কান্না আর এখন আমপাতা ,কাঠালপাতা শেয়ার করে!
সবই ছিলো ভাই নিজের পরিচিতি এবং একটা প্লাটফর্ম নেবার ধান্ধা বাবুর লাশের উপর দাড়িয়ে।আর মেয়েটা সফল।হেরে গেছে শুধু মুক্তচিন্তার মানুষগুলো,যাদের লাশের উপর দাঁড়িয়ে সুযোগ সন্ধানীরা নৃত্য করে আজ জাতে উঠে গেছে।
#NO_JUSTICE_IN_BD.