শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭

দেশের সকল ভাস্কর্য অপসারন এবং শরিয়া আইন চাই

মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী এবং ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের চাপের মুখে পরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গত রাত ২৫ মে ন্যায় বিচারে প্রতীক গ্রীক দেবী থেমিসের অনুকরনে তৈরী করা ভাস্কর্য মৃণাল হকের উপস্থিতে সরানো হয়।মৃণাল হকই এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন।সেই থেকে চলছিলো প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক লোকদের মাঝে নানা আলোচনা এবং সমালোচনা।

আবার এরই মধ্যে,আজ শুক্রবার ২৬ মে দেশে স্থাপিত সব ‘মূর্তি’ অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। শুক্রবার দুপুরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক শুকরিয়া আদায় মিছিলে এ দাবি জানান ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী।

এনিয়ে এখন আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে মৌলবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং সেই সাথে চিন্তিত বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল থেকে অসাম্প্রদায়িক সাধারণ মানুষদের মাঝেও মৌলবাদী গোষ্ঠী এবং ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী-লীগকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা এবং চুলছেড়া বিশ্লেষন ভবিষ্যৎ’র কথা চিন্তা করে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থাকা ভাস্কর্য যদি ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে তাহলে দেশের সকল ভাস্কর্য অপসারনের দাবিতেও কোন ভুল নাই।এখন আমিও চাই,দেশের সকল ভাস্কর্য অপসারণ করে ধর্মানুভূতি থেকে আঘাত হানা বন্ধ করা হোক।একটা দেশের সাথে ভাস্কর্য মূর্তির কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।দেশতো দেশই,সেখানে ভাস্কর্য মূর্তি স্থাপন করা সেটা একদিকে যেমন বিশেষ ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক তেমনি সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশেষ ধর্মের লোকদের দেশে ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানাও অন্যায় এবং জোর করে অবিচার করার সমতুল্য।ন্যায় বিচার যদি মনে না থাকে,তাহলে ভাস্কর্যকে ন্যায় বিচারের প্রতীক ভাবাও এক ধরণের ভণ্ডামি।কারণ দেশে এখন ন্যায় বিচার বলতে যা আছে তা কেবল স্বজনপ্রিতী এবং ক্ষমতার অপব্যবহার।

সেই সাথে এই দাবিও জানাই,সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশেষ ধর্মের লোকদের দেশে গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাও ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক।সেহেতু খৎনা করা নামেমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধ্বজভঙ্গ গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দেশ থাকার থেকে শরিয়া আইন থাকাই ভালো।কারণ এদেশ কখনো অসাম্প্রদায়িক না যেমন,তেমনি সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশেষ ধর্মের লোকদের দেশে গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থাকাও অন্যায়।সেহেতু অতিশীঘ্রই শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠত করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হোক এবং নারীনেত্রীত্ব হারাম বলে ফতোয়া জারি করা হোক।আমিও সেই আন্দোলনের সাথেই থাকবো একজন অবিশ্বাসী এবং জন্মসূত্রে বিধর্মী হওয়া সত্বেও।কারণ,অবশ্যই আমাদের মত মোট জনসংখ্যার ৭-৮% এর জন্য ৯২-৯৩% সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশেষ ধর্মের লোকদের সাথে ধর্মীয় সাংঘর্ষিক এমন কোন অপ্রীতিকর কিছু না হোক তা সংখ্যালঘুদের অবশ্যই বুঝা উচিত।আমার একার জন্য পাশের ১০ জন লোকের অসুবিধা হোক বা তারা সুবিধা বঞ্চিত হোক তা অবশ্যই আমি চাইবো না।এবং এটাও স্বাভাবিক যে,একজন মানুষের দিক চেয়ে ১০ জন মানুষের মনের বিরুদ্ধে কোন কাজ হচ্ছে তা মেনে নেওয়াও অস্বাভাবিক।সেহেতু আমি সংখ্যাগরিষ্ঠদের লোকের কথা ভেবেই বলবো,এদেশে শরীয়া আইন চালু করা হোক এবং সকল ধরনের বিশেষ ধর্মের ধর্মীয় সাংঘর্ষিক হয় এমন ধরনের সকল প্রচার বন্ধ করা হোক কঠোর ভাবে।

আর হ্যা,সকল সংখ্যালঘু অবিশ্বাসী এবং ভিন্ন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো,আপনার আমার জন্য গুটিকয়েক লোকের জন্য বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কোন সমস্যা বা কোন ধরনের অনুভূতিতে আঘাত লাগে বা স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কোন কিছু অবশ্যই একজন বিবেকবান মানুষ করতে পারে না।সেহেতু আমরা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীরা এই কথা ভেবে এবং চিন্তা করে অবশ্যই বৃহত্তর গোষ্ঠীর জন্য আমাদের ত্যাগ স্বীকার করা উচিত।সেই সাথে শরিয়া আইন মেনে জিজিয়া কর দিয়েই থাকা উচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশেষ ধর্মের লোকদের দেশে।অন্যথায় এদেশ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান।তার থেকে বড় কথা এই ধ্বজভঙ্গ খৎনা করা নামেমাত্র অসাম্প্রাদায়িক গনতান্ত্রিক দেশের থেকে শরিয়া আইনের বেশ কিছু সুবিধা এবং সুনির্দিষ্ট বিধান আছে।যা আপনাকে মেনে চলতে হবে অন্যথায় শরিয়া আইনে আপনার শাস্তি হবে।কিন্তু এই ধ্বজভঙ্গ খৎনা করা নামেমাত্র অসাম্প্রাদায়িক গনতান্ত্রিক দেশে সেরকম কিছু নাই কিন্তু বাস্তবিত হচ্ছে শরিয়া আইনের অনুকরনে।যদিও সেটা হাইলেও না আবার জাইলেও না।কারণ আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা চলছে বিশেষ ধর্মের লোকদের চাওয়া এবং আন্দোলনের উপর নির্ভর করে আবার সাংবিধানের উপর নির্ভর করেও।মানে সাপও যেন না মরে আবার লাঠিও যেন না ভাংগে।কিন্তু সাধারণ অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীলরা পরছে চিপায়।কারণ তারা চুপ করেও থাকতে পারে না আবার কথা বললেও বিপদ।মানে একজন মানুষের দুই পা দুই নৌকায় রাখলে যা হয়।সেই হিসাব বিবেচনা করেই,আমাদের সকলের শরিয়া আইন চাওয়া উচিত এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের সাথে সমর্থন দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।যেমনটা করছে,অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীলদের আস্থা বৃহত্তর রাজনৈতিক দল আওয়ামী-লীগ।