শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

১০০% ফেসবুক নারীবাদী,হুম !!

-ভাই,খুব প্যারায় আছি।
-কেন?
-নারী অধিকার নিয়ে কোন কথা বললেই কিছু লোকের চুলকানী উঠে যায়।
-ও আচ্ছা।
-ভাই,আপনি কি নারীবাদ সাপোর্ট করেন?
-হুম,কেন?
-না এমনি,তাহলে তো মিলেই গেল।
-কী?
-আপনিও নারীবাদে বিশ্বাসী আর আমিও।
-হুম,ভালোই।
-আচ্ছা ভাই, আপনি কিভাবে নারীবাদ সাপোর্ট করেন?আপনাকে না দেখলাম ওইদিন এক নারীবাদীর পোস্টে বিরোধীতা করতে।
-হুম!যাউজ্ঞা,তুমি কিভাবে কর সেটাই আগে জানি।
-ভাই ফেসবুকে করি।আর নারীবাদীরা যা পোস্টায় ওইটাতেই লাইকাই আর সহমত পোষন করি।আর যখন কোন নির্যাতিত নারীর কিছু বিষয় সব থেকে বেশী আলোচিত হয় তখন ধুমধাম পোস্টাই।যেমন,ধর্ষন,শ্লীলতাহানি আরো কত বিষয় আছে না! ভালো লাইকও পাই ভাই।
-ও আচ্ছা,ভালো।চা-বিড়ি খাবা?
-খাওয়া যায়।ভাই মেয়েটা দেখেন,খাসা মাল একটা, পুরাই অস্থির আর পাছাটা দেখছেন পুরাই চল্লিশ!
-হুম,আচ্ছা বাদ দাও।(মামা দুই কাপ চা আর দুইটা সিগারেট দিও)তোমার বোনের কি খবর?শশুড় বাড়ী না তোমাদের বাড়ী?
-ভাই,আর বইলেন না।আপুরে নিয়েই যত চিন্তা আর বিপদ।
-কেন!
-আরে ভাই,ভাইয়া আর ভাইয়ার বাপ-মায় খুব জ্বালায়।আর দুইদিন পরপর টাকার জন্য আপুরে মারে।গতকালকেই শশুড়বাড়ী থেকে রাগ করে চলে আসছে।ও আর যেতে চায় না।
-ওহ আচ্ছা!তোমরা কি ভাবছ এখন?
-ভাই বলেন তো চাইলেই কি এতো সহজে ফিরে আসা যায়।সবে মাত্র নতুন বিয়ে হয়েছে এবং ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা।এখন আপু ডিভোর্স নিতে চায়।কিন্তু এটা কি এখন সম্ভব?আর নারী হলে এইটুকু সহ্য করতেই হবে।আমার আম্মাও এরকম একটু জ্বালাতনের স্বীকার হয়েছে।তাই বলে কি আম্মা আব্বাকে ছেড়ে চলে গেছে?
-হুম,তা ঠিক!
-আব্বা-আম্মা আমরা সবাই ওকে বুঝাইতাছে।কিন্তু বুঝার চেষ্টাই করে না।অবশেষ আজ রাজী হইছে ভাইয়ার সাথেই সংসার করবে।আর রাজী না হয়ে উপায় আছে,আব্বার মানসম্মানের প্রশ্ন হয়ে দাড়াইছিলো।আগামীকালই চলে যাবে।
-ওহ আচ্ছা,ভালো।আমার উঠতে হবে একটু।
-আচ্ছা ভাই,ভালো থাকেন।
-তুমিও ভাই।

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

সাজু খাদেম প্রসঙ্গ !

সাজু খাদেম ভালো না,সে থার্ড ক্লাস কৌতুক করেছে তিন মেয়ে সেলিব্রেটির সামনে এবং তারা যেহেতু কোন প্রতিবাদ করে নাই তারাও থার্ডক্লাস মেরুদণ্ডহীন বলে দাবি করতাছে অনেক নারীবাদী সেলিব্রেটিরা।ভাইয়া/আপুরা একটু থামেন,সাজু খাদেম খারাপ আর আপনারা ধোয়া তুলসী পাতা!সাজু খাদেম যদি এতোই থার্ড ক্লাস প্রকৃতির হতো তাহলে মিডিয়া জগতের মেয়েরাও তা বিরোদ্ধে লিখতো স্বপক্ষে না এটাই স্বাভাবিক।আর তিলকে তাল বানানো যেন বাংগালীর জাতীয় অধিকার।সাজু খাদেমের সাথে কিংবা তাদের সাথে সাজুর এরকম ভালো বন্ধুসুলভ সম্পর্ক আছে দেখেই সে এমন কৌতুক করেছে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু আপনাদের গবেষণা দেখে মনে হচ্ছে সাজু খাদেম তাদের জোর পূর্বক টিচ করেছে।আমার ধারণা মোটেও না,কৌতুকের মূল রহস্যটাই হলো মানুষকে হাসানো কিংবা বোকা বানানো।আর সাজু খাদেমও তাই করেছে।কৌতুক বা জোকস কেমন হতে হবে তা বেধে দিয়ে কখনো মানুষকে হাসানো বা বোকা বানোটা কোন আর্ট না।
তাছাড়া আরো একটা ব্যাপার হলো,অনেক নারীবাদী পুরুষ এবং নারী দেখা যায় তারা তাদের বন্ধুদের সাথে আড্ডার স্থলে মারা খাওয়া কথা থেকে শুরু করে কত ধরনের ফাজলামোই করে থাকে।কিন্তু এগুলা যদি সিরিয়াস হিসাবে নেওয়া যায় তাহলেতো প্রতিদিন অনেক ভালো ছেলে-মেয়েও চরিত্রহীনা হয়ে যাচ্ছে।না তা হচ্ছে না,কারণ তারা বন্ধু তাই তারা এমন কথা বলছে বলে আমরা সবাই সহজে মেনে নিই।এখন বাকী কথা হলো অনলাইন বা ফেসবুকেই যেহেতু এই নারীবাদীরা বেশী সরব সেহেতু এখানেই দেখা যায় কত পরপুরুষের সাথে একটা নারী বা পুরুষের কমেন্ট বক্সে কত সুড়সুড়ি জাতীয় আলাপ।অন্যের বউ হয়ে অন্যকে জানু বলে ডাকা,পরকীয়া করা, সেক্স করা এসবও নাকী নারীবাদীদের একটা অধিকার।কারো বউ মানেই তার সম্পত্তি না।ভালো কথা,আপনাদের এতো উচ্চ মানসিকতা কিন্তু সাজু খাদেমতো ওইদিক থেকে কিছুই করে নাই।
ও হ্যা,আরো একটা কথা।যখন কোন পর্ণ ভিডিও ফাস হয় কোন ব্যক্তির তখন সেটা নিয়েও আপনাদের খুব চিন্তা দেখা যায়।মেয়েটার মানসম্মানের ক্ষতি,এসব নিয়ে বেশী কথা বলা ঠিক না এতে আরো বেশী ভাইরাল হয় ইত্যাদি ইত্যাদি কথা শোনা যায়।কিন্তু সাজু খাদেমের জোকসটাকে যে আপনারা পর্ণের থেকে বেশী বানিয়ে সাজুর চরিত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করেছেন সেটা কিছু না! জানি আমার এই যুক্তিটা আপনাদের কাছে হাস্যকর হবে।কারণ আপনারা সেলিব্রেটি সাথে নারীবাদীও আর আমরা ভণ্ড।
আবার আপনারাই দাবী করেন যে,প্রেমিক প্রেমিকারা রাস্তায় বা চিপাচাপায় চুমু খেতে পারে না,সেক্সকে ট্যাবু হিসাবে দেখে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা,ছেলে-মেয়েকে একসাথে ঘুরাফেরা,আড্ডা দেওয়াকে ভালোভাবে নেয় না কেও,একজন অবিবাহিত নারী কিংবা অবিবাহিত পুরুষের একরুমে যাওয়াকে চরিত্রহীনা পতিতা বলে সমাজ কত কিছুইতো দাবি করেন।তাহলে সাজুর এই জোকসটাকে যে আপনারা এভাবে নিতাছেন এটা কি আপনাদের ট্যাবু না।না পুরাতন কথাগুলা ভুলে গেছেন সাজুর কথায় যৌনতা খুজে পেয়ে।আগে নিজে ট্যাবু থেকে বের হোন পরে না হয় ট্যাবু ট্যাবু করবেন বা সমাজকে দোষারুপ করবেন।
পরিশেষে বলতে চাই,সাজুর সাথে যারা সময় কাটায় তাদের অনেকেরই দাবি সাজু ব্যক্তি হিসাবে অনেক ভালো এবং সে অনেক বিনোদন প্রিয় মানুষ এবং অন্যকে বিনোদিত করে।অর্থাৎ সাজুর সাথে মিডিয়ার জগতের নারী-পুরুষ সকলের সাথে ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।তাহলে এখানে আমাদের এটা ধরে নেওয়াই স্বাভাবিক এটা জোকস ব্যতীত কিছু ছিলো না।নারী নিয়ে অনেক জোকস আছে,তাই বলে জোকসে যৌন সুড়সুড়ি খুজাটা আপনারই ট্যাবু।আর এই বিরতির বাইরে আড্ডার ভিডিও যে ফাস করেছে সে উদ্দ্যেশমূলক ভাবেই করেছে।সেহেতু এখানে এই ব্যক্তিকে খুজে বের করে শাস্তির দাবি করা উচিত।
বি.দ্র: আগে নিজে ট্যাবু থেকে বের হোন,তারপর সমাজ বদলানোর চেষ্টা করেন।