শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৬

বিজয় বচন

                                                                  ১-৩১-২০১৭
# ধার্মিকদের পাপ,পূর্ণ, সহি এবং অসহি বুঝতে গিয়ে যদি অমানবিক হতে হয়, তবে তাই হয় ধর্মকে পুজি করে পরকাল নামক অলৌকিক সুখ এবং ভয়ের জন্য।--বিজয়

# যে সকল পুরুষ নারীদের সর্বাঙ্গ দোষ খুজে বেড়ায় সে সকল পুরুষই মূলত নীতি ভ্রষ্ট। আবার যে সকল নারীও পুরুষের সর্বাঙ্গ দোষ খুজে সে সকল নারীও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় আত্মমগ্ন।--বিজয়

# জিতে গেছি তুমি আর আমি,জিতে গেছে আমাদের ভালোবাসা কিন্তু হেরে গেছে সম্পর্ক।--বিজয়

# পরকালের লোভ লালসা এবং ভয় দেখিয়েই একজন মানুষের চিন্তাশক্তিকে নির্দিষ্ট গণ্ডীতে বেধে রাখা যায় বিশেষ কোন প্রশ্ন এবং তার উত্তর খোঁজার সুযোগ না দিয়ে।--বিজয়

# কর্ম,পেট কিংবা অর্থের অভাবে শরীর বিক্রি করায় একটি মেয়েকে বেশ্যা বলে আখ্যায়িত করে অন্য চোখে দেখে আমাদের সমাজের প্রায় প্রতিটি লোকই কিন্তু যারা বিবেক-বুদ্ধি বিক্রি করে দিয়ে দেশ, জাতী কিংবা সমাজের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে কেও সহজে মুখ খুলে না বরং তাদের সামাজিক কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান অতিথি,বিশেষ অতিথি করে মঞ্চায়িত করে পুরুষ্কার প্রদান করতে কার্পণ্যবোধ করে না।--বিজয়

# মানুষ তখনি অহংকারি হয়, যখন সে তার যোগ্যতার চেয়ে বেশি কিছু পায়।--বিজয়
 
# জীবনটা আজ সাদা পাতা,লেখার নেই কিছু ,তবু মরুভূমিতে দাড়িয়ে আছি আমি আর আমার ছায়া।শুধু মাত্র মরুভূমির বালুর ঝড়ে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য।--বিজয়

# বাংলাদেশ একটি বৃহত্তর অসাম্প্রদায়িক দেশ।যেখানে সংখ্যালঘু জন সাধারণের জন্য বিচার পাওয়া অস্বাভাবিক এবং বিচার না পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা।--বিজয়

# ধর্ম বিশ্বাসের সাথে অবশ্যই ঈশ্বর জড়িত,কিন্তু ঈশ্বর বিশ্বাসের সাথে ধর্ম বিশ্বাস জড়িত হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।কারণ ধর্ম কেবলই মাত্র ইহকাল এবং পরকাল মতবাদের ঈশ্বর কেন্দ্রিক ব্যাখ্যা।--বিজয়

# সুখে থাকার উপায় হলো স্ত্রীর প্রথম ডাকে সাড়া দেওয়া আর নিজের সপ্তম ডাকেও স্ত্রী সাড়া না দিলে মাইন্ড না করা!--বিজয়

# কোন ভালোবাসার সম্পর্কই যেহেতু যুক্তি দিয়ে হয়না,সেহেতু সম্পর্কের পরে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝির কারণ একে অপরকে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর কোন মানেই হয় না।--বিজয়

# পৃথিবীতে একটা জায়গা নিয়ে থাকা মানেই কেবল মনের স্বান্তনা। কারণ আজ আছিতো কাল নাই, কেবলই সময়ের ব্যবধান।--বিজয়

# মুখ বলে বিদায়,মন বলে বিদায় শব্দটাকেই বিদায়৷--বিজয়

# কবি,লেখক,শিল্পী কিংবা যেকোন সৃজনশীল মানুষদের মৃত্যু নাই,আবার অনেকে বেচে থাকতেই অমরত্ব লাভ করেন।তিনি বেচে থাকেন তার সৃজনশীল কর্মগুলোর মাঝে আজীবন।

# আমরা নিজেরা নিজের মতই কিন্তু সবাই অন্যর সাথে অন্যের তুলনা করতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।হোক সেটা ভালো কিংবা মন্দ কিছু।--বিজয়

# সুশীলতা ভালো কিন্তু অতীসুশীলতা কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতোই বলা যায়।

# সম্পর্কের পিছুটান এমন সত্ত্বা নেই, বিশ্বাসে ভরা আত্বাও নেই। আমি আমিই,কবে থেকে শুরু জানিনা, শেষটা জানার ইচ্ছে নেই। শুধু ভাবি চলুক না যেমন চলছে।এ দিল কখনো ভুল ঠিকানায় নিয়ে যাবে না।আর গেলেও খুব একটা মন্দ হবে না,তবে কঠিন মুহূর্ত পার করতে হতে পারে অনিশ্চিত ভাবেই।--বিজয়

# দেখতে ভালো হলেও,ভালো মানুষ হয় না অনেক ক্ষেত্রে।ভালো মানুষ হতে হলে, ভালো একটা মনের দরকার হয়।--বিজয়

# শূন্যতা ও অপ্রাপ্তির খাতায় সাদা পাতা নেই!--বিজয়

# ভগবান অসীম ক্ষমতার অধিকার।সে এক এবং নিরাকার।তার জন্ম কিংবা মৃত্যু নাই।সে চির অমর।কথা গুলা সহজেই মেনে নিতে পারে বিশ্বাসীরা।আমারও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে না।কিন্তু কথা হচ্ছে শ্রী কৃষ্ণকে ভগবান মানা হয় কি করে!তার মামা কংশকে বধ করার জন্য তার জন্ম হয়েছিলো।যার জন্ম হতে পারে তাহলেতো সে অবশ্যই ভগবান না।এটা আমার কথা না।গীতায় বলা আছে,ভগবানের জন্ম এবং মৃত্যু নাই।তাহলে অবশ্যই বলা যায় কৃষ্ণ কোন ভগবান না।আর যদি সে ভগবান হয় তাহলে গীতার কথা মিথ্যা।ধর্ম বলতেই এমনই গাঁজাখুরি কিছু গল্পের জমজমাট ব্যাবসা।--বিজয়

# আমরা নিজেরা নিজের মতই কিন্তু সবাই অন্যর সাথে অন্যের তুলনা করতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।হোক সেটা ভালো কিংবা মন্দ কিছু।--বিজয়

# অনেক সময় ভুল মানুষটি শিখায় সঠিক মানুষকে খুঁজে নিতে।--বিজয়

# জীবনটা অনির্দিষ্ট পৃষ্ঠার বিরক্তকর অধ্যায়,যার শেষ বলে কিছু নাই।–বিজয়

# ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের বিশ্বাস করা যায় কারণ তাদের আদর্শ এবং নীতি আছে এবং নিজের বিশ্বাসের আত্মবিশ্বাসও প্রবল,অন্যদিকে মডারেট ধার্মিকদের বিশ্বাস করলেন তো নিজের পায়ে নিজে কোঠার মারলেন।কারণ এরা আপনাকে মারবেও না আবার না মেরে ঝুলিয়ে রাখার মত কাজ করতে দ্বিধাবোধ করবেনা।–বিজয়

# আমার ভালো কাজের কৃতিত্ব স্রষ্টা ঠিকই নিতে জানে।লোকে এই বলে যে, স্রষ্টা যা করে ভালোর জন্যই করে অথবা সবই স্রষ্টার ইচ্ছায়,কিন্তু অন্যদিকে আমার খারাপ বা ভুল কাজের জন্য আমার এবং আমার বিবেকের মাশুল দিতে হয় যেখানে স্রষ্টার কোন ইচ্ছা বা দোষ থাকে না।–বিজয়

# ধর্ম বিশ্বাসীরা আসলে যতটুকু ধর্ম-কর্ম না করে,না মানে;তার থেকে বেশী আঘাত পায় যখন তার ধর্ম নিয়ে কেও একজন সমালোচনা করে।আসল কথা হলো মনে না আছে ধর্ম তবে কি হয়েছে! চেতনায় তো আছে ধর্মীয় অন্ধত্ব।–বিজয়

# দেখতে ভালো হলেও,ভালো মানুষ হয় না অনেক ক্ষেত্রে।ভালো মানুষ হতে হলে, ভালো একটা মনের দরকার হয়।–বিজয়

# মানুষের কষ্টের এবং সুখের দুই কান্নাই দেখা যায়,কিন্তু কান্নার সাথে মিশে থাকা অনুভূতি গুলো দেখা যায় না তবে অনুভব করা যায় কান্নার কারণ।–বিজয়

# একজন লেখকের বইয়ের পাতা আপনার কাছে অতি মূল্যবান হলেও কিন্তু বাদামওয়ালার কাছে তা কেবলমাত্র ঠুংগাই।ঠিক তেমনি একজন অপরাধী যে ধর্ম,গোষ্ঠী,রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন সে কেবল অপরাধীই।–বিজয়

# এক একটি নতুন দিন পাওয়া মানে আরো একটা দিন বেশী বেচে থাকা।তাই প্রতিটা দিনকেই উচিত কোন না কোন ভাবে ভালো কাজে লাগানো কিংবা জীবনটাকে উপভোগ করা।কারণ আগামীকাল আপনার জীবনে নাও আসতে পারে।–বিজয়

# যে ব্যক্তি আপনার দোষ ধরে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সে বন্ধু না হলেও শত্রু না,কিন্তু যে আপনার বন্ধু হিসাবে পরিচিত,আপনার ভুল দেখেও চুপ করে থাকতে পারে তাকে বন্ধু ভাবা আর পিছন পিছন শত্রুর তাড়া খাওয়া কিংবা জীবন বিপন্ন করে শত্রুকে সাথে নিয়ে পথ চলা একই কথা।–বিজয়

# কাগজের নৌকা দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু তা দিয়ে কখনো নদী পার হওয়া যায় না । ঠিক তেমনি আবেগ দিয়ে বাস্তব জীবন চলে না।--বিজয়

# তুমি আকাশ দেখেছ, পাহাড় বেয়ে আসা ঝরনা দেখেছ,বয়ে যাওয়া উত্তাল হাওয়ার স্পর্শ নিয়েছ,দেখেছ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, শুধু দেখনি আমার মনের হাহাকার আর পারনি আমার না বলা জমে থাকা কষ্টের স্পর্শ নিতে।--বিজয়

# ধর্ম,জাতি,বর্ণই পারেই মানবতা এবং মনুষ্যত্বের মৃত্যু ঘটিয়ে বৃহত্তর গোষ্ঠীর মাঝে বিবেদ সৃষ্টি করে হানাহানি,হিংসাত্বক এবং ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ড ঘটাতে।–বিজয়

# সব সময় নিজের সিদ্ধান্ত কে প্রাধান্য দেয়া উচিত, নিজের সিদ্ধান্তে যদি কেউ ব্যর্থ হয় বা সফলতা না অাসে তাও ভালো। তবে অন্যের সিদ্ধান্তে কাজ করে ব্যর্থ হলে দোষ টা চলে যাবে সিদ্ধান্তদাতার,যদিও তুমি বিবেকহীন না।--বিজয়

# অন্ধভাবে অন্যের দেখানো পথ অনুসরণ করা মানেই নিজের পায়ে কুড়ালের আঘাত করা।আর যখন আপনি অন্যের দেখানো পথ অন্ধভাবে অনুসরণ না করে নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে তার দেখানো পথের অনুকরনে চলবেন তখনই আপনি দ্বিতীয় পথ খুজে পাবেন এবং নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।--বিজয়

# যদি ঘুমের থেকে প্রার্থনা উত্তম হয়,তাহলে প্রার্থনার থেকে ভালোবাসা উত্তম।কারণ, মানুষ ঘুম এবং প্রার্থনা নির্দিষ্ট সময় পরপর করে অন্যদিকে ভালোবাসার জন্য কোন সময় নির্ধারণ করা নাই।–বিজয়

# যে হারায় সে আর ফিরে না,মিছে মরিচিকায় তার পিছু নিয়োনা।কতো কতো কথা রয়ে যায় মনের গহীনে,রয়ে যায় পুরোনো স্মৃতি।অনুভব হয় মনের গহীনে একাকীত্ব,এক একটা দিন ধূলাবালি মাখা সারাটা প্রহর।যতদূরে যাস অন্যের ছায়ায়,বারে ফিরে তাকাতেই হবে সেই পুরোনো মায়ায়।

# কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়। তাদের ভালোলাগা, মন্দলাগা, হাসি-কান্না গুলো বলার মত কেউ থাকে না। তাদের কিছু অব্যক্ত কথা মনের গভীরেই খেলা করে, আর কিছু কিছু স্মৃতি দীর্ঘশ্বাসে পরিনত হয়ে চাতক পাখির ন্যায় দিনের পর দিন কেটে যায় চাপা কান্নায়।–বিজয়

# ধর্ম যেমন মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীতে পরিনত করে দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে শিখিয়েছে,ঠিক তেমনই ধর্ম এক গোষ্ঠীর লোকের প্রতি অন্য গোষ্ঠীর লোকের চোখে ঘৃণা,বিদ্বেষ,হানাহানির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মাঝে বিবেদ সৃষ্টি করেছে।–বিজয়

# নাস্তিক,বিধর্মী,লেখক,প্রকাশক,নারীবাদী,প্রগতিশীলদেরকে দেশ থেকে তাড়ানো,হত্যার হুমকি,হত্যাসহ কল্লার মূল্য নির্ধারণ করে স্লোগান দিতে অনেক মূল্যাকেই রাজপথে নেমে আসতে দেখা গেছে,কিন্তু আজ যখন জংগীরা অতর্কিত হামলা করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে তখন তারা কেবল মাত্র ফতোয়া দেওয়া ছাড়া নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।–বিজয়

# জীবন নামের অসমাপ্ত গল্পের তখনই পতন ঘটে.যখনই মৃত্যু অতি সন্নিকটে এসে কড়া নাড়ে।–বিজয়

# মেধাবী,বুদ্ধিমান,বিবেকবান এবং সুস্থমস্তিষ্কের মানুষ কখনো জংগী হয় না,জংগী হয় ধর্মান্ধ,অন্ধকারছন্ন বিবেকহীন মানুষ।–বিজয়

# আমাদের রাজনীতিবিদরা দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানিয়ে আজ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলে দাবি করে মায়া বড়ি বিক্রি করছে।–বিজয়

# ধর্ম কেবলই একটা মতবাদ,যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ঐশ্বরিক শক্তিতে আস্থা রাখার প্রয়ান চেষ্টা ,কিছু ধর্মীয় বিধি-বিধান ধার্য এবং অাধিপত্ত বিস্তারের অপকৌশল মাত্র।–বিজয়

# বিশ্বাসীরা তার কাল্পনিক ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য যে সময়টুকু বিভিন্নভাবে ব্যয় করে,ঠিক ওই সময়টুকুই যদি বিশ্বাসীরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং সকল প্রানীকূলের জন্য ব্যয় করতো তাহলে এই ভূবন আরো বেশী সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল হত।–বিজয়

# যার কোন শরীক নেই,তার কোন অস্তিত্বও নাই।–বিজয়

# টাকা আর মাছ ধরা এমনই এক নেশা যতই পাবে ততোই ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মানুষ।--বিজয়

# অতি চালাক রং বদলানো বন্ধু থেকে বুদ্ধিমান শত্রু উত্তম।–বিজয়

# ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে ঠিক ততটাই বোকা বানাতে পারে,যতটা বোকা হলে মানুষ কেবলমাত্র ধর্মের ব্যাপারে দ্বিমতপোষন কিংবা সমালোচনাকারীকে ক্রোধের বসে ভিন্নমতের মানুষকে হত্যা করতে কোন দ্বিধাবোধ করে না।–বিজয়

# নিঃস্বার্থভাবে নিকোটিনের ধোঁয়াই কেবল বেখায়ালীদের সঙ্গী হয়ে রাত জেগে পাহারা দেওয়া থেকে শুরু করে দিনের আলোতেও আড্ডা দিতেও এতটুকু কার্পণ্যবোধ করে না।–বিজয়

# একমাত্র ভন্ড এবং চতুর লোকেরাই পারে মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করতে।–বিজয়

# ছেলেরা মেয়েদের মত হাউমাউ করে কিংবা ফুঁপিয়ে কাঁদতে জানে না ঠিকই কিন্তু তারা আপন মনে নিকোটিন পুড়াতে পারে,গভীর রাতে নিরবে বালিশ ভিজাতেও পারে,আর তারা দু:খকে আপন করে চাঞ্চল্যকর হাসি মুখেই বলতে পারে ভাল আছি, তুমিও ভাল থেকো।–বিজয়

# মানুষ তখনই সমালোচিত হয়,যখন তার ভালো কিংবা খারাপ দিকটা অন্যের নজরে আসে।–বিজয়

# যেখানে আমাদের সমাজে ছোট থেকেই ধারণা দেওয়া হয় যে কালো পিপড়া মুসলমান আর লাল পিপড়া হিন্দু সেখানে আমরা কিভাবে অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখি তা আমার বুঝে আসে না।—বিজয়

# সৃষ্টিকর্তা এবং ঘোড়ার ডিম দুইটা একই এক ঘাটের মাঝি।যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নাই কিন্তু মানুষের মুখে মুখে কাল্পনিক হলেও টিকে আছে বছরের পর বছর ধরে।–বিজয়

# মানুষের জীবনে কষ্ট বলতে কিছু নাই। যা কিছু হয় তা কেবলই বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা।–বিজয়

# ধর্মানুভূতি এমনই এক আফিম যে,একজন সুস্থ সুন্দর মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটিয়ে ভিন্নমতের লোক হত্যা কিংবা ধর্মের রোষনলে পড়ে দেশ বিভাগ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।যেমন হিন্দুস্থান এবং পাকিস্তান যেভাবে বিভাজন হয়েছিল।–বিজয়

# কাগজের নৌকা দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু তা দিয়ে কখনো নদী পার হওয়া যায় না । ঠিক তেমনি আবেগ দিয়ে বাস্তব জীবন চলে না।–বিজয়

# বাস্তব থেকে কল্পনার জগতটাই ভালো,কারণ বাস্তবে অনেক উস্থান-পতনের মধ্যেই জীবনের শেষ ঘন্টা বেজে যায়।অন্যদিকে কল্পনায় সবকিছুকেই নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়া যায়।যেখানে উস্থান আছে পতন নাই।–বিজয়

# কলম এবং কলমের খোচায় সৃষ্ট বর্ণ তখনই আঘাত প্রাপ্ত হয়,যখন কলম ও কলমের খোচায় সৃষ্ট প্রতিটা বর্ণ সৎ ও ন্যায়ের পথে থেকে বিপ্লবী আওয়াজ তুলে।–বিজয়

# কিছু মানুষ তার রাগ অভিমান গুলো প্রথমে প্রকাশ না করে হাসি মুখে অনবরত চেপে যায়,কিন্তু যখন রাগ অভিমান প্রকাশ করে তখন বুঝা যায় সে কতটা হৃদয়হীনা।–বিজয়

# প্রিয় মানুষগুলা যখন বিরক্ত এবং ভুল করতে করতে এমন এক পর্যায়ে চলে যায় তখন চাইলেও তার সাথে আর আগের মত চলার আগ্রহ থাকে না।তবে হয়তো মনে,ঠিক আগের মতই ভালোবাসা থাকে যা কখনো আর প্রকাশ হয় না।–বিজয়

# লোভ যখন জাগ্রত,বিবেক তখন ধর্ষিত।–বিজয়

# যেখানে আমাদের সমাজে ছোট থেকেই ধারণা দেওয়া হয় যে কালো পিপড়া মুসলমান আর লাল পিপড়া হিন্দু সেখানে আমরা কিভাবে অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখি তা আমার বুঝে আসে না।—বিজয়

# যান্ত্রিক জীবনে পথ চলায় অন্যের উপর আস্থা বা বিশ্বাস রাখা আবশ্যক তবে বিশ্বাসের উপর নির্ভশীল হয়ে পরাটা বোকামী বৈকি আর কিছু না।–বিজয়

# আমাদের বিচিত্র সমাজের মেয়েরা ধর্মকে অগাধ বিশ্বাস করে শিব বা কৃষ্ণের পূজা দিয়ে তাদের মত সুদর্শন ছেলের বর মনে মনে চেলেও কিন্তু তারা শিবের মত গাজা টানা ছেলে কিংবা কৃষ্ণের মত লীলাবাজ ছেলে কিংবা ধর্মীয় নীতি অনুসারে মেয়েরা চার সতীনের ঘর সংসার করতে নারাজ।–বিজয়

# শিশুকালে অবুঝ মন খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে চায়,কিন্তু যখন সে বড় হয়ে যায় তখন সে আবার শিশুকাল ফিরে পেতে চায়,যা কখনো সম্ভব না।–বিজয়

# ব্যক্তি স্বাধীনতাহীন জীবন আর গৃহপালিত পশুর জীবনের মধ্যে খুব বেশী তফাৎ নাই।–বিজয়

# পূন্য কিংবা কাল্পনিক শিবকে সন্তুষ্ট করার জন্য শিবের মাথায় দুধ ঢেলে যে আত্মতৃপ্তি বা পূন্য পাওয়া যাবে,তার থেকে বেশী আত্মতৃপ্তি বা পূন্য পাওয়া যাবে পাশের বাড়ীর অনাথ শিশুর মুখে এক গ্লাস দুধ তুলে দিয়ে।–বিজয়

# রাতের নিরবতা মানুষকে চিন্তা করতে শেখায়,আর স্বপ্ন মানুষকে জেগে তুলে।–বিজয়

# একজন মানুষের মিথ্যা প্রলাপ ততক্ষন পর্যন্ত মেনে নেওয়া যায়,যতক্ষন না পর্যন্ত ঐ মানুষের মিথ্যা প্রলাপ অন্যকে স্পর্শ না করতে পারবে।–বিজয়

# একজন ভালো মানুষ হতে হলে প্রথমে সেই মানুষটির চারিত্রিক এবং মানসিক উন্নতি হওয়া বাঞ্চনিয়।–বিজয়

# ধার্মিক বা আস্তিকরা যেমন নাস্তিকের অবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে,ঠিক তেমনই নাস্তিকরা ধার্মিক বা আস্তিকদের বিশ্বাস নিয়ে চুটকি বানায়।কারণ দুই দলই ভিন্ন দুই যুক্তির পথে অগ্রসরমান এবং একে অপরের সাথে সাপে নেওলে সম্পর্ক বিশ্বাসের দিক থেকে।–বিজয়

# জন্মের পর থেকেই প্রতিটি প্রানী ধীরে ধীরে পুরাতন হতে থাকে মৃত্যু পর্যন্ত।কিন্তু মৃত্যুর পর হয়ে যায় কেবলই অতীত মাত্র।–বিজয়

# মিলন যেমন সুখের ঠিক তেমনই বিচ্ছেদ বেদনাদায়ক।কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য আমাদের প্রানীকূলের প্রত্যেক প্রানীর কোন না কোন সময় বিচ্ছেদ ঘটবে এই বিশ্বব্রহ্মান্ড থেকে।—বিজয়

# যদি কোন আস্তিক ব্যক্তি তার ধর্মের ঐশ্বরিক কিতাবের উপর কোনরুপ সন্দেহ প্রকাশ করলে যেমন নাস্তিক-মুরতাদ হয়ে যায়,ঠিক তেমন কোন ব্যক্তি যদি নিজের দেশের ইতিহাস সংস্কৃতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে সেও একজন খাটি বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর।–বিজয়

# জীবনে চলতে গেলে ছোট বড় অনেক স্বপ্নই দেখতে হয়।স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত না হলেও হতাশ হওয়াটা এক ধরনের মানসিক রোগ।কারণ স্বপ্নের মৃত্যু নেই,স্বপ্ন অবিচল।–বিজয়

# জীবনের পথ পাড়ি দেওয়াটা খুবই কঠিন।মানুষ এই কঠিন কাজটাই খুব সহজ ভাবে প্রতিনিয়ত করে যায়।তবুও জীবনে চলতে হবে অনিশ্চিত গন্তব্যে।–বিজয়

# সময়ের হাত ধরে প্রত্যেক মানুষেরই চলতে না চাইলেও চলতে হয়।যদি কেও সময়ের হাত ধরে সঠিক সময়ে সঠিক পথ পাড়ি দিতে পারে তবেই সে স্বার্থক হতে পারে।আর যদি সময়ের হাত ছেড়ে গা ভাসিয়ে দেয়,তবে সে অনায়াসে কালের গহ্বরে তলিয়ে যাবে।–বিজয়

# আমি তখনই তোমাকে ভালোবেসেছি,যখন বুঝতে পারছি তোমার কোন কিছু তোমাতে থেকে আমাতে পরিনত হয়েছে।–বিজয়

# আপনাকে খুশি করার জন্য আমার জন্ম হয়নি।আমার জন্মই হয়েছে নিজের মত করে স্বাধীনচেতা হয়ে বেচে থাকার জন্য।–বিজয়

# আমি ততক্ষন জীবিত, যতক্ষন না আমি লাশ হচ্ছি।–বিজয়

# বিনিয়োগ করা অবশ্যই ভালো কথা।কিন্তু বিনিয়োগ করে দেওলিয়ার সংখ্যা নেহাতও কিন্তু কম না।হোক সেটা অর্থ অথবা হৃদয় বিনিয়োগ।–বিজয়

# একটা দেশ কিংবা রাষ্ট্র প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার অধিকারী হলে এক শতকে যতবেশী আধুনিক এবং উন্নয়নশীল হবে,তার থেকে দশগুন বা তারও বেশী পিছিয়ে পরবে যদি ঐ রাষ্ট্র কিংবা দেশে পূর্ন ইসলামিক শাসন ব্যাবস্থায় পরিচালিত হতে থাকে।--বিজয়

# একজন মানুষ আপনার কাছে ততোদিন পর্যন্ত বিশ্বাসী,যতদিন না পর্যন্ত আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করবে।–বিজয়

# আপনি আস্তিক,নাস্তিক কিংবা যাই হোন না কেন,আপনার মাঝে যদি মনুষ্যত্ব বোধ না থাকে তাহলে আপনি বিষাক্ত সাপের থেকেও বিপদজনক।–বিজয়

# আমরা বাংগালী জাতী আমাদের অবুঝ সন্তানদের ছোট থেকেই বড় ধরনের কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখাই,কিন্তু প্রকৃত মানুষ হওয়ার কথা বলি না।--বিজয়

# কাওকে বিশ্বাস করা ভালো,তবে অতিবিশ্বাস করাটা একান্তই বোকামী।--বিজয়

# আপনার কাছে কিছু সময় তখনই মূল্যবান হবে,যখন আপনি কোন কিছু হারিয়ে ফেলবেন অথবা অর্জন করবেন।--বিজয়

# যতদিন না আপনি সত্যিকারের মানুষ হচ্ছেন ততোদিন আপনার ডিগ্রীধারী শিক্ষিত হওয়ার কোন মূল্য নেই।–বিজয়

# জীবনের ছোট বড় প্রতিটা পদক্ষেপই একেকটা যুদ্ধের সমতুল্য।কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে একটা ভুল সিদ্ধান্তই পরাজয়ের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে,ঠিক তেমনই জীবনের একটা ভুল সিদ্ধান্তই সকল আশাকে অতল সমুদ্রে ফেলে সক্ষম।–বিজয়

# অতি চালাক এবং বোকারাই সহজ কথাটিকে সহজভাবে না বলে,বিভিন্ন ইংগিতে প্যাচিয়ে জটিল রুপে উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে।–বিজয়

# মানুষের জীবনের প্রতিটা কষ্টই বাস্তবতাকে আকড়ে ধরে বেড়ে উঠে।–বিজয়

# কোন মেয়ে যদি একের অধিক ছেলের সাথে সহবাস করে তাহলে সে হয় অবহেলিত ব্যশ্যা।আর পুরুষ যদি একাধিক মেয়ের সাথে সহবাস করে তাহলে সে হয় গর্বিত বাদশা।আজব দুনিয়ার আজব সমাজ আবার স্পেডকে স্পেড বলতে নাক ছিটকায়।–বিজয়

# চারিদিকে শুধু বিশ্বাস আর বিশ্বাস।কিন্তু কেও কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে পারেনা,যদি না সে কোন পরক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে প্রমান না পায়।কিন্তু মানুষ বিচিত্র ভাবেই চারিদিকে গড়ে তুলেছে রুপকথার কাল্পনিক বিশ্বাস।আর এই বিশ্বাসই তাদের ভাগ করে দিছে ধর্ম,জাতি,গোত্র,বর্ন,আরও কত কি?কিন্তু এটা কেও মানতে চায়না যে,মনুষ্যতের উপরে কোন ধর্ম নাই।তাই আপনাকে ওই রুপকথার কাল্পনিক বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেই চলতে হবে।তাছাড়া আপনার ওই পাশের লোকটি অস্বস্তিবোধ করবেন।এবং কি কোন কোন সমাজ আপনাকে চরম বিপত্তিতে ফেলে আপনার কল্লার মুল্য নির্ধারন করবে।–বিজয়

# যেখানেই প্রশ্ন করার নিষেধাজ্ঞা আছে,সেখানেই এমন কোন দূর্বল ভিতি আছে যার খোলস উন্মোচন হবে প্রশ্নেই কেবলমাত্র ।—বিজয়

# মূর্খ বাঙ্গালী বিদ্যা গ্রহন করে সম্মানের সহিত ভাত অর্জনের জন্য,জ্ঞান অর্জনের জন্য নহে শিক্ষিত সমাজ।–বিজয়

# ধর্ম রক্ষার নামে ধর্মে যেমন মানুষ হত্যার মত অপরাধকে বৈধতা দিয়েছে,তেমনি ধর্ম অনেক অপকর্মকেও চোখে আংগুল দিয়ে অপরাধ বিষয়টাকে বুঝিয়ে দিছে পরকালের বিভিন্ন রকম শাস্তির বিধান রেখে।—বিজয়

# মানুষের মত মানুষ হতে হলে ধার্মিক না হয়েও সৎ ও ন্যায় পরায়ন হওয়া যায়,কিন্তু সৎ ও ন্যায় পরায়ন না হয়েও সৃষ্টিকর্তার নাম জবেই শুধু ধার্মিক হওয়া যায়।–বিজয়

# মানুষ যেদিন থেকে ঐশ্বরিক সকল ভয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুঝতে পারবে যে তার মৃতদেহের কোন মূল্য নাই,আর ঠিক তখনই মানুষের উপকারের জন্য চিকিৎসা শাস্ত্রে তার মৃতদেহকে মৃত্যুর পূর্বে দান করে যাবে।–বিজয়

# ডিগ্রীধারি শিক্ষিত হওয়ার আগে মানুষ হওয়াটাই শ্রেয়।নয়তো তোমার সকল অপকাজের দোষ হবে ওই অর্জিত ডীগ্রীর।—বিজয়

# সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু মাত্রই একজন পিতার জন্ম হওয়া।–বিজয়

# অন্যরা যা করতে বলে তা করাটা একান্তই বোকামী।বরং আপনি অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে,তারপর আপনার কাছে যেটা গ্রহণযোগ্য মনে হবে তাই করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।–বিজয়

# প্রতিটি শব্দই সৃষ্টি হয় নি:শব্দে হারিয়ে যাওয়ার জন্য।–বিজয়

# মানুষ তখনই সম্মানিত বা অসম্মানিত হয়,যখন সে তার চরিত্র স্থান,কাল,পাত্রভেদে বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।–বিজয়

# কথা বলার ধরনই হলো আন্তরিকতা বোঝার মাপকাঠি।—বিজয়

# শানিত কর তোমার বুদ্ধিমত্তাকে,যদি শ্ত্রুর হৃদপিন্ডে আঘাত করতে চাও।—বিজয়

# বিশ্বাসীদের সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর ঐশ্বরিক ভয় দেখিয়ে পরকালের প্রলোভন করে মানুষকে বোকা বানায় নিই,মানুষকে বোকা বানিয়েছে ঐ পুঁথিগত ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মগুরুরা।—বিজয়

# কোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাও সাধারন মানুষের সিমপ্যাথী নিয়ে,তাহলে তার আগে ধর্মের দোহাই দিয়ে তোমার উদ্দেশ্য ব্যক্ত কর।—বিজয়

# কোন ব্যক্তি যদি ধর্ম গ্রন্থ গুলো যুক্তি-তর্কের মাধম্যে নিজ জ্ঞানে পড়ে তাহলে সে হবে ধর্ম বিচ্ছিন/নাস্তিক।কেবল মাত্র ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ধর্মগ্রন্থগুলো পড়লে হবে আধুনিক ধার্মিক/প্রগতিশীল ধার্মিক।ধর্ম গ্রন্থগুলোতে যা আছে তা অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে পড়লে হবে ধর্মান্ধ/বর্বর হিংসাত্বক ধার্মিক।—বিজয়

# আমি কোন জাত-ভেদ,ধর্মের দুনিয়া চাই না,আমি মানুষের দুনিয়া চাই।আমার বড় পরিচয় আমি মানুষ এবং আপনারাও মানুষ।–বিজয়

# জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য,সৃজনশীলতা,প্রগতিশীল কিংবা সংস্কারক মনোভাব, চিন্তা-চেতনা ইত্যাদির উন্নতি ও উন্মেষ ঘটতে দেখলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে ভণ্ড মৌলবাদীরা তার গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছে এবং করেছেও।–বিজয়

# জীবনটাই একটা ইস্টিশন,যেখানে রয়েছে যাত্রীদের প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে থাকার মত হতাশা,আবার ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছার মত মুখ ভরা হাঁসি।—বিজয়

# তারাই পৃথবীর সব থেকে বেশী মূর্খ,যারা চিন্তা শক্তিতে যথেষ্ট দরিদ্র।–বিজয়

# প্রত্যেক ছেলেই তার প্রেমিকা কিংবা বান্ধবীকে বিছানায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে,কিন্তু যখন পাশের বাড়ীর অবিবাহিত মেয়ের প্রেগন্যান্টের কথা শুনে তখন নাক ছিটকাইতে দ্বিধাবোধ করে না।–বিজয়

# প্রত্যেক প্রগতিশীল বিপ্লবীদের সমাজতান্ত্রিক হওয়ার আগে মনে প্রানে অবশ্যই জাতীয়তাবাদী হতে হবে।নতুবা কোন বিপ্লবী সফল হতে পারবেনা তার সমাজতন্ত্রে।–বিজয়

# তোমাদের হিংস্রতা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে কিন্তু আমাদের চিন্তা শক্তিকে না।—বিজয়

# মানবতার দেহ সেখানেই নিথর যেখানে হিংস্রতার উপদ্রব। --বিজয়

# বেচে থাকার নামই যদি জীবন হয়,তাহলে প্রত্যেক মানুষের আবাদত বেচে থাকাটাই মুখ্য।–বিজয়

# মানুষের অন্ধতাকে বরন করার কারন হচ্ছে মনের ভিতর লুকায়িত ঐশ্বরিক ভয়।–বিজয়

# প্রগতিশীল সমাজ ব্যাবস্থা নিয়ে কথা বলা মানে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা না,তবে ধর্মের গোড়ামি অন্ধতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরে আসা।কারন ধর্মের উপর অন্ধ বিশ্বাস করে অন্যকে অপমান করা বা ছোট করে দেখা কিংবা ভয় দেখিয়ে অন্যকে দমিয়ে রাখা এবং ধর্মের উপর অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে কোন জাতি বা ব্যাক্তির প্রান নাশ কিংবা ধ্বংষ লিলা কখনো কোন ধর্ম হতে পারেনা।এটাকে একথায় সন্ত্রাসবাদ ছাড়া অন্য কিছু বলে দাবি করা যায় না।যদি কেও সেটা দাবি করে বলে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাই করা হবে সেটাই ঠিক।তাহলে আমি তাকে বলব তোমার এমন ধর্মের কপালে আমি লাথি মারি।যেখানে কোন মানবতা নাই সেখানে কোন সৃষ্টিকর্তাও থাকতে পারেনা।জয় যদি হতেই হয় তবে মানবতার জয় হোক ।–বিজয়

# একজন দেশপ্রেমিক হলে তাকে মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান,আস্তিক,নাস্তিক কিংবা কোন গোত্রের হতে হয়না।শুধু একজন মানুষ হলেই হয়।–বিজয়

# আমি সভ্য হওয়ার নামে চিরটাকাল অসভ্যই রয়ে গেলাম।–বিজয়

# জীবনে চলতে গেলে ছোট বড় অনেক স্বপ্নই দেখতে হয়।স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত না হলেও হতাশ হওয়াটা এক ধরনের মানসিক রোগ।কারণ স্বপ্নের মৃত্যু নেই,স্বপ্ন অবিচল।–বিজয়

# কষ্টকে উপভোগ করতে শিখ এবং সুখকে আকড়ে ধরে রাখ।তবেই দূর্দিনে পিছনে ফিরে তাকাতে হবেনা।–বিজয়

# তোমরা সভ্য থেকে আরো সভ্যত্তোর হতে চাও ?মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনাতে চাও?রুপকথার কাল্পনিক বিশ্বাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে আধুনিক চিন্তা ধারায় উপনিত করে বাস্তব ধারায় প্রবর্তিত করতে চাও ?আধুনিক মুক্তচিন্তা ধারার অধিকারি এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার চাও? কিন্তু তোমাদের সে অধিকার দেওয়া হয় না বলে চিৎকার কর।তোমাদের স্বাধীন মতের উপর নির্ধারন করা হয় তোমার কল্লার মুল্য।কিন্তু তুমি যদি সত্যি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনিতে চাও তাহলে তোমার কল্লার এতো দরদ কেন?হাসি মুখে সেটা দান করে দাওনা তোমার এবং তোমার পরের প্রজম্মের জন্য।তোমার একটা প্রানের বিনিময়ে জেগে উঠবে আরো ১০ টা প্রান। তুমি তোমার জাগায় অটুট থেকে তোমার দর্শনকে তুমিই এগিয়ে নিয়ে যাও।কিসের এতো ভয় তোমার?ভয় কখনো বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারেনা।বরং দুর্বার ধুমকেতু হয়ে যারা সংগ্রাম করে জয় শুধু তাদেরই।রবার্ট ব্রুশ যদি ৬ বার যুদ্ধেক্ষেত্রে পরাজয়ের পরেও জয়ের স্বপ্ন দেখে ৭ম বারে জয় ছিনিয়ে আনে তবে কেন তোমার এতো সংশয়।পরিবর্তন আপনা-আপনি আসেনা।উস্থান-পতনের মাধ্যমেই আসে জয় অথবা পরাজয়।যারা পরাজয়কে মেনে নিয়ে তার পথ থেকে সরে যেতে দ্বিধাবোধ করে না সে কাপুরুষ-ভীতু।আর যে পরাজয় এবং ক্লান্তির ঘাম মুছে আত্মবিশ্বাসের অদূরদুরে জয়ের হাতছানি খুজে বেড়ায় সে উড়ন্ত ধুমকেতু।যুগে যুগে এর অনেক ইতিহাস রয়ে গেছে এই ব্রহ্মাণ্ডে।আমরা অবশ্যই সবাই সক্রেটিসের নাম শুনেছি এবং জানি তাকে স্বাধীনমত প্রকাশ করার জন্য হেমলক বিষ পান করতে হয়েছিল নির্দ্বিধায়।তবে কেন তোমার ভয় হে দুর্বার?পরিবর্তনের স্বপ্ন যখন বুনতে শুরুকরেছ,তবে কঠিন দুঃস্বপ্ন দেখারো সাহস চাই দুর্বার।–বিজয়

# পৃথিবীর প্রতিটা প্রানী মৃত্যুর জন্য জন্মায়।–বিজয়

# প্রত্যেক বাবা-মা তার ছেলে মেয়েদের উপদেশ দেয় তুই বড় হয়ে লেখাপড়া শিখে অমুকের ছেলে মেয়ের মত বড় অফিসার হবি,কিন্তু বলে না তুই অমুকের ছেলে মেয়ের মত একজন সৎ মানুষের মত মানুষ হবি।–বিজয়

# মানুষ কখনো ইচ্ছে করে বদলায় না।কিছু মানুষের অবহেলা,কিছু স্মৃতি,এবং কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মানুষ কে বদলে যেতে বাধ্য করে।–বিজয়

# বিশ্বাসীরা তার ঈশ্বরকে নিয়ে যতটুকু ভাবে,ঠিক তেমনি যদি ঈশ্বর তার সৃষ্টিকে নিয়ে কিঞ্চিত ভাবতো তাহলে এতো দূর্দশা থাকতো না বিশ্বাসীদের মাঝে।–বিজয়

# বিশ্বাসীরা তার কাল্পনিক ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য যে সময়টুকু বিভিন্নভাবে ব্যয় করে,ঠিক ওই সময়টুকুই যদি বিশ্বাসীরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং সকল প্রানীকূলের জন্য ব্যয় করতো তাহলে এই ভূবন আরো বেশী সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল হত।–বিজয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন