শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

নারী নির্যাতন কিংবা ধর্ষণ ছিল,আছে এবং থাকবে

নারী নির্যাতন,ধর্ষণ,খুন,শিশু নির্যাতন,রাহাজানি,সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর লুটপাট,আগুন,মন্দির,মূর্তি,গির্জা,প্যাগোডা ভাংচুর ইত্যাদি ইত্যাদি অপরাধ যেন আজ আমাদের খবরের কাগজ কিংবা অনলাইন নিউজ পোর্টাল অথবা টিভির পর্দার নিচ দিয়ে ভেসে চলা হাইলাইট যেন আমাদের জীবনের একান্ত সঙ্গী।এগুলার মধ্যে নারী নির্যাতন,ধর্ষণ,ধর্ষণ অতঃপর খুন করে ফেলে রেখে গেছে দূর্বৃত্তরা।এনিয়ে আমরা কিছুদিন সুশীলতা,লিখালিখি করে প্রতিবাদ,টিভিতে টক শো করবে চেতনাময়ী বুদ্ধিজীবীরা,আবার অনেকেই নির্যাতিত মেয়ের পক্ষ হয়ে যোগ দিবে মানব বন্ধনে ধর্ষকদের সনাক্ত করন করে শাস্তির দাবিতে।অনেক সময় অপরাধীদের প্রশাসনের আওতায় আনা হয়।কিন্তু তাদের কি শাস্তি দেওয়া হয় বা দেওয়া হয় কিনা তা আমাদের আদৌ জানা নেই।হয়তো তারা ক্ষমতাবান লোকের দ্বারা জামিনে বের হয়ে যায় অতঃপর একই ঘৃণ্য অপরাধে জড়িত হয়ে পরে আবার ।মানুষ নামের এই নরপশু গুলা যেন হায়েনা হয়ে উঠছে দিনদিন।একটার পর একটা মেয়ে নির্যাতনের শিকার,ধর্ষণের শিকার এবং কি খুনও করা হচ্ছে।এদিক দিয়ে আমাদের প্রশাসন গুলো যেমন নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।অন্যদিকে এই হায়েনারাও দিনদিন হিংস্র হয়ে উঠছে।


নারী নির্যাতন কিংবা ধর্ষণ ছিল,আছে এবং থাকবে যতদিন না পর্যন্ত নারী-পুরুষদের মাঝে সমাধিকার,বৈষম্য দূর,প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালন এবং যতদিন না পর্যন্ত নারীবাদীত্ব,নারীদের মাঝে ভয়ের ভীতি এবং যতদিন পর্যন্ত নারীরা পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থাকে নিরবে সহ্য করে যাবে ততদিন পর্যন্ত নারীরা নির্যাতিত এবং নারীরা গৃহস্থলীর শুধুই গৃহিণী কিংবা নারীরা ভোগ্য পণ্যের মতই ব্যবহৃত হবে।এথেকে প্রতিকার পেতে হলে নারীকেই এর সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে এবং প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা বা সমাজের লোক চক্ষুর লজ্জার ভয় দূর করে সংগ্রাম করে আগাতে হবে।কিন্তু এ সংগ্রামের পথ এতোটা সহজ না।এরজন্য আপনি হত্যার হুমকিসহ নানা ধরনের অপবাদ নিয়ে এবং কি নির্বাসিতও হতে পারেন।অতীতের নানামূখী বিভিন্ন অবিজ্ঞতা থেকে তা হলফ করেই বলা যায়।অপরদিকে আবার আমাদের মত জনসাধারণেও নারী অধিকার কিংবা নারী নির্যাতন,ধর্ষণের ক্ষেত্রেই নীরব ভূমিকা পালন করে বেশ কিছু নারীবাদী এবং নারী অধিকার নিয়ে কথা বলে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান বা এনজিও ব্যতীত।এ নিয়ে আমাদের একেবারে ঘা ঝাড়া অবস্থান জনসাধারণের কাছে।যার কারনেই অপরাধীরা একের পর এক নারীদের উপর নির্যাতিত হয়েই যাচ্ছে।কারণ আমরা ধরেই নিয়েছি নারীরা পুরুষদের ভোগ্য পণ্য।তাদের যেভাবে পুরুষ চালাবে সে ভাবেই চলতে হবে।তারমধ্যে আছে আবার ধর্মের নামে বিভিন্ন ফতোয়া নারীদের উপর জারি করা।তাইতো নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী কবি বেগম রোকেয়া বলেছিলেন-“আমাদিগকে অন্ধকারে রাখিবার জন্য পুরুষগণ ঐ ধর্মগ্রন্থগুলিকে ঈশ্বরের আদেশপত্র বলিয়া প্রচার করিতেছে।“তবে এটাও অপ্রিয় হলেও সত্য যে,এই পুরুষ শাসিত সমাজে এতো সহজে নারীরা সমান ভাবে সহজেই পথ চলতে পারবেনা।এর জন্য তাদের বহু সংগ্রাম এবং ধৈর্যের পথ পাড়ি দিতে হবে এবং নানা ভাবে হেস্তনেস্ত হতে হবে।এমনকি বিভিন্ন জাগায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমান ভাবে মূল্যায়িত হবে না বলে থেমে যাওয়া যাবে না।


আজ নারীরা সবথেকে বেশী অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে ইভটিজিং এবং ধর্ষনের ভয়ে।ধর্ষন ছিল,আছে এবং থাকবে।যত দিন নারী পুরুষ এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে বিচরণ করবে তত দিন ধর্ষণ থাকবে।ছেলে-মেয়েরা একে অপরের প্রেমে পরবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে নরপশুরা তার নিজ প্রেমিকাকে নিয়ে ২/৩/৫/৭ যত জন ইচ্ছা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং কি নিজের ঘরের বউকেও অন্য পরপুরুষ নিয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে,অনেক সময় মেরে ফেলে দেয় ঝুপ-ঝাড়,নর্দমা,ডোবা বা নদীতে বা রাস্তায় আবার।অনেক সময় আধা মরা করে ফেলে দেয় রাস্তায়।আবার দেখা যায় মেয়েটি হয়তো তার দীর্ঘ দিনের পরিচিত বা বিশ্বস্ত রাস্তা,বা গাড়ি বা পুরুষদের পাশ দিয়েই যাতায়াত করে সেখান থেকে সে ধর্ষিত হয়।আবার দীর্ঘ দিনের বন্ধুদের সাথে হয়তো কোথাও গেল সেখানে।আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্লে স্কুল,মাদ্রাসা এসবের শিক্ষকের কথা কি বলবো?আর বাচ্চারা ও তাদের বিশ্বস্ত নিকট আত্মীয়ের সাথেই যায় কোথাও আর ফিরে আসে ধর্ষিত লাশ হয়ে বা গুম বা মুমূর্ষু অবস্থায়।এসব তো গেলো সরব ধর্ষণের কথা।আর নীরব ধর্ষণ! এটা নারীরা ও বোঝে না সে ধর্ষিত হচ্ছে।।সেহেতু হলফ করেই বলা যায়,অদূর ভবিষ্যৎ পর্যন্ত নারীরা পুরুষের কাছে নির্যাতিত হয়েই চলবে।

কারো অপেক্ষায় ছিলাম



: জ্বি বলেন,,,

: কি করো,,?

: কারো অপেক্ষায় ছিলাম,,,,।।

: এখনও কি অপেক্ষা করছ,,,,?

: নাহ সে এখন তার উপস্থিতি প্রকাশ করেছে,,,।।।

: ওহ তাই,,,?
: হুম,,, একটা কথা বলি,,?
: নাহ
: আই লাভ ইউ
: আই হ্যাট ইউ,,,
: রিয়্যালি,,,?
: হুম
: পাক্কা,,,?
: হুম পাক্কা,,,।।
: তা কাকে ভালবাস,,,???
: বলব না
: বলতে হবে না,,,,তুমি তোমার ওই ভালবাসার মানুষকে নিয়েই থাকো,,,।।।
: এই কই যাও,,,???
: জানিনা,,,।।
: রাগ করো ক্যান,,,??
: রাগ করব ক্যান,,,,, আমার সেরকম কেউ আছে যার উপর আমার রাগ করার অধিকার আছে,,,,,।।।
: সরি
: তোমরা মেয়েরা ওই একটাই শিখছো,,,সরি সরি,,,
: হে হে
: আচ্ছা একটু রাখি প্রাইভেট আছে ,,,।
: ওকে,,,,
: হুম বাই
: এই শোন,,,,,
: হ্যা বলো
: আই লাভ ইউ
: আই হ্যাট ইউ
,
,
,
,
অবশেষে টুট টুট

গুনীদের বিখ্যাত উক্তি সমূহ



* এমন অনেক বিষয় আছে, যে বিষয় সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকা মানুষের পক্ষে কল্যাণকর।

- ওভিড


* অজ্ঞ লোকেরা অবাস্তব সুখসপ্ন দেখে।

- এইচ, এ, ওভার স্টিট


* অজ্ঞ লোকেরা সচেতন ভাবে প্রশ্ন করতে পারে না। - জন হেউড


* অজ্ঞতার মধ্যে জ্ঞানের বিস্তার যেন অন্ধকারের মধ্যে আলোর প্রবেশ।

-ব্রেশি


* অজ্ঞতা কারাবাসের সমতুল্য। - কাভেন্টিস


* অন্যের অজ্ঞতাকে জানাও জ্ঞানের বিশেষ অংশ। - লিডি


* যতই আমরা অধ্যয়ন করি, ততই আমাদের অজ্ঞতাকে আবিষ্কার করি। - শেলি


* অজ্ঞের পক্ষে নিরবতাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না। - শেখ সাদী


*কারো অতীত জেনো না, বর্তমানকে জানো এবং সে জানাই যথার্থ।

- এডিসন


* ভবিষ্যৎকে জানার জন্যই আমাদের অতীতকে জানা উচিত।

- জন ল্যাঙ্ক হন


* অতীতকে ভুলে যাও। অতীতের দুশ্চিন্তার ভার অতীতকেই নিতে হবে।

- ডঃ আসলার


* অতীতকে মুছে ফেলার শ্রেষ্ঠ উপায় হল স্থান পাল্টানো।

- সঞ্জিবচট্বোপাধ্যায়


* আমরা জন্মাই অতৃপ্তি নিয়ে, মারাযাই অতৃপ্তি নিয়ে। - সাইরাস


* অকৃতজ্ঞতা অহঙ্কারের মেয়ে। - এডমন্ড বার্ক


* অকৃতজ্ঞ মানুষ পরিপূর্ণ মানুষ নয়। - টমাস হাডি


* কৃতজ্ঞ কুকুর অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে শ্রেয়। - শেখ সাদী


* আমরা যখন আমাদের আদর্শ, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, ভুলে গিয়ে বিপথগামী হই তখনইসত্যিকারের অকৃতকার্যতা আসে। - জ্যুকুলিন মিলার


* আমরা যখন আমাদের কর্তব্য – কর্মে অবহেলা দেখাই, কোন দায়িত্বকে নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহন করিনা, তখনই অকৃতকার্যতা আসে। - ডেল কার্নেগী


* অক্ষমের লোভ আলাদীনের প্রদীপের গুজব শুনলেই লাফিয়ে উঠে। - রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর


*প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন – রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর


* নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছু নেই। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


* অবাধ্য যার স্ত্রী , জীবন তার দুর্বিষহ। - রবন্দ্রনাথ ঠাকুর


* ক্ষম আর দুর্বলেরাই বেশী লম্ফ – ঝম্ফ করে। বলবানেরা বলের প্রমান দেয়। - মোঃ ইউনুস আলী


* যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তেকে কেউ সাহায্য করতে পারে না। - জন এন্ডারসন


* জীবনে যদি অগ্রগতি না থাকে সে জীবন অবাঞ্ছিত। - রোমা রোঁলা


* বিনা পরিশ্রমে যা অর্জন করা যায়তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। - ইমারসন


* যৌন অতৃপ্তি সবচেয়ে মারাত্মক। -ডি, এইচ, লরেন্স


* যখন প্রশ্নটা টাকা পয়সার তখন সকলেরই একই ধর্ম। - ভলতেয়ার


* অর্থ মানুষকে পিশাচ করে তোলে, আবার অর্থ মানুষকে মহৎ করে তোলে। - ক্যাম্বেল


* অর্থ যেখানে নাই ভালোবাশা সেখানে দুর্লভ। - স্যার টমাস ব্রাউন


* অর্থ ও যশ মানুষের জীবনে সব নয়। - স্কট


* দুর্বলের পক্ষে সবলের অনুকরন ভয়াবহ। - দিজেন্দ্রলাল রায়


* নকল করতে গেলে নাকাল হয়। - প্রবাদ


** অনুকরন নয়, অনুসরন নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন। - ডেল কার্নেগি


* বিখ্যাত লোকদের শুধু প্রসংসাই করবে না, তাঁদের অনুকরন ও করবে।

- উইলস


* অনুমান থেকেই বৈজ্ঞানিক সত্যের উৎপত্তি। তাই জীবনে অনুমানের গুরুত্ব অপরিসীম।

- ডঃ আহমেদ শরীফ


* অনুমান বা ধারনা থেকেই সত্যের উৎপত্তি। - এ্যারিস্টটল


* মেয়েদের অনুমান পুরুষদের নিশ্চয়তা হতে অনেক বেশী ঠিক।

- কিপলিং


* অন্যায় করে লজ্জিত না হওয়াটা আরেক অন্যায়। - সক্রেটিস


* যে ব্যক্তি অন্যায় কাজ করে সে না অয়ায় সুখ না না পায় শান্তি।

-জুভেনাল


* যে অপেক্ষা করতে জানে তার কাছে সব কিছুই আসে। - বেঞ্জামিন ডিজরেইলি


* সংসারে তিনটি জিনিসই আমার খুব প্রিয়; কিন্তু আমি তাদের আদৌ বুঝিনা – সে তিনটি হলো চিত্রকলা,সঙ্গীতও নারী। - ফন টেনিসি


* অভিজ্ঞতা হলো দুঃখ কষ্টের নির্যাস। - আর্থার হেল্পস


* অভিজ্ঞতার দ্বারা লব্ধ জ্ঞান অত্যন্ত মূল্যবান। - রজার এ্যাসথাম


* অভিজ্ঞতা জ্ঞাঙ্কে ছাপিয়ে প্রকাশ পায়। - ম্যানিলিয়াস


*অভিজ্ঞতাকে সঞ্ছয় করে অনেক মহৎ কয়াজ করা যায়। - জোসেফ রউক্স


* অভ্যাস উৎকৃষ্ট মনিবের মতো হয়ে থাকে। - ইমোনাস


* সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে। - রাসকিন


* হে ইচ্ছাপূর্বক বন্ধুকে ঠকায়, সে তার খোদাকেও ঠকাতে পারে। - লাভাটাব


* যারা সবসময় নিজেকে অসুস্থ ভাবে তারা আজীবন অসুস্থই থাকে। - জুভেনাল


* অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু যায় পায়ে হেঁটে। - ডোনাল্ড জি মিচেল


* অসুস্থ লোকের চিন্তা ভাবনাও অসুস্থ থাকে। - বেন জনসন


* শিক্ষা মানুষকে উন্নত করে আর অসুস্থতা মানুষকে মানসিক দিক থেকে পঙ্গু করে। - জেমস হো ওয়লে


* নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য। - হযরত আলী (রঃ)


* সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতিঅত্যাধিক আকর্ষণ – হযরত আলী (রাঃ)


* অসৎ লোকের ধন – দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ – আপদের কারণ হয়ে দাঁড়া

হযরত আলী (রঃ)


* অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়।

- হযরত আলী (রঃ)


*অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে।

– হযরত আলী (রা:)


* সৎ লোক সাতবার বিপদে পড়লে আবার উঠে কিন্তু অসৎ লোক বিপদে পড়লে একবারে নৃপাত হয়

– হযরত সুলায়মান (আ)


* অশ্লীলতার বিরুদ্বে যত বেশী চিৎকার ওঠাবো অশ্লীলতা তত বেশী প্রসার লাভ করবে। - আহমেদ হুমায়ুন


* দুর্নীতি আর অশ্লীলতাই সাহিত্যের প্রান। এই দুইটি সুন্দর হয়েছে যে প্রতিভার হাতে তাকেই আমরা বলি অপরাজেয় শিল্পী।


-প্রবাধকুমার সন্যাল


* নিচুশ্রেনীর লোকেরা অপরকে কষ্ট দিতে হাতিয়ার হিসেবে তাদের অশ্লীল

বাক্যকে ব্যবহার করে।

- এডগার এ্যালান পো


* অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়’

—– মুকুন্দরাম।


*“ পুরুষের দশ দশা, কখনও হাতি কখনও মশা॥ ” —মীর মশারফ হোসেন।

ভালোবেসে চলে যেতে নাই



ফোনটা ভাইব্রেট করেই চলছে।স্ক্রিনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।হাত কাপছে।এতোদিন,এতো বছর পর আবার সেই অতি পরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসছে


আজ নাম্বারটা দেখে বুকের মাঝে কেমন যেন কাপুনিটা একটু বেড়ে গেলো।মনে হচ্ছে বুকের মধ্যে কাল বৈশাখী ঝড় উঠেছে।আর থাকতে পারলামনা সেই নাম্বারের দিকে চেয়ে থাকতে।


এইবার ফোনটি হাতে নিয়ে চোখ বন্ধ করে রিসিভ করলাম।ওপাশ থেকে ভেসে আসলো সেই পরিচিত কন্ঠস্বর।এতো বছর পর একটুও বদলায়নি।সেই আগের মতোই আছে………………।


হ্যালো…………………………!!!


কি হলো?কিছু বলছ না যে?ভুলে গেছ নাকি?নাকি চিনতে পারোনি?


ঃ না আসলে ৫ বছর পর এই নাম্বার থেকে কোন ফোনের আশা করিনাই।তাই বুঝতে পারছিনা কি বলে উঠব।


:ও পাশ থেকে আসলে কয়েকদিন থেকেই তোমাকে খুব মনে পরছিল।কিন্তু ফোন করার ঠিক সাহস পাচ্ছিলামনা।কাল থেকে তোমার কন্ঠ শোনার খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো।তাই আজ সাহস করে ফোনটা দিয়েই দিলাম।কেমন আছ তুমি?


ঃ মানুষ বদলে যায় কিন্তু তাদের কন্ঠ বদলায় না।হুম ভালো আছি নিজের মত করে।নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত আছি।এইতো এই আর কি…………………… আছি।


ঃজিজ্ঞেস করবেনা আমি কেমন আছি?


ঃউম না,প্রয়োজন নেই।কিছু মানুষ আছে যারা সবসময় ভালো থাকে।তুমিও ভালো আছো।আর তুমি হচ্ছো তাদেরি একজন।


ঃ(ওপাশ থেকে কিছুক্ষন নিরবতা)আমার কথা মনে পরেনি তুমার?


ঃহুম পড়ছে,খুব পরছে।কেন মনে পরবেনা।কারন তুমি যে আমার একান্তই তুমি ছিলা।যখন দিনের পর দিন না খায়ে থাকতাম,তখন মনে পরতো তুমি খাচ্ছতো?


যখন রাতের পর না ঘুমিয়ে অসুস্থ হয়ে পরতাম,তখন মনে পরতো তুমি সুস্থ আছোতো?যখন সবাই বাইরে উল্লাসে মেতে উঠতো আর আমি অন্ধকার রুমে বসে ভাবতাম তুমি উল্লাস করতাছতো?যখন আয়নায় নিজের চেহেরা দেখে ভয়ে শিওরে উঠতাম তখন ভাবতাম তুমি কি আরো সুন্দর হয়েছ?এক সময় অনেক মনে পরছে।কিন্তু এখন আর কই মনে করার মত সময়?সারাদিন নিজেকে নিয়ে খুব ব্যাস্ত থাকি,কখন কেমনে সময় চলে যাচ্ছে,কিছু বুঝে উঠার আগেই আর একটা সকাল চলে আসে।


:ও পাশ থেকে আবার নিরবতা।আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না?


ঃক্ষমা তো আমি আরো ৫ বছর আগেই করে দিছি।তোমাকে ক্ষমা করে না দিতে পারলে আমার মনের ভিতরের ক্ষত কখনো শুকাত না।আচ্ছা এখন তাহলে রাখি?এখন আমার আকাশ দেখার সময়।প্রতি রাতে এই সময় আমি খোলা ছাদে বসে আকাশ দেখি আর চাঁদ মামার গল্প গুলা মনে করি।আর মন চাইলে আকাশের সাথে কথা বলি।আকাশ কখনো আমার সাথে ছলনা করেনা।আকাশ আমাকে আর আমিও এখন আকাশকে সঙ্গে নিয়ে খুব ভালো আছি।প্রতি রাতে তারার ঝুলি নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়,আমি তার সাথে অনেক কিছু শেয়ার করি আর শুধু শুধু বকবক করি কিন্তু সে একটুও বিরক্ত হয়না।আমাকে সে খুব সহজে আপন করেই নিছে।


ঃএক রাতে আকাশের সাথে কথা না বললে হয়না?আমার সাথে কথা বলার থেকে আকাশের সাথে কথা বলা কি খুব জুরুরি?


ঃআপাতত তাই।আমার চরম সময় আর অসহাত্ত্বের সময় আকাশ যে আমাকে সময় দিছে।যে ৫ বছর তুমি আমাকে দূরে সরিয়ে রাখছিলা সে ৫ বছর যে আমাকে সময় দিছে।আজ আমি আবার তোমার জন্য আকাশকে একলা ফেলে তুমার সাথে আড্ডা দিতে পারিনা।আর আমার মনটাও যে আকাশের জন্য পরে থাকবে।আচ্ছা আমি এখন যাই।আজকের আকাশের চাদটাও খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।আজ চাদের সাথে কথা বলব।এই বলে ফোনটা কেটে দিলাম………………………………………………………………………………।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি



১।”আমরা পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে,আমরা ক্ষমতার জন্যে রাজনীতি করি না।জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই আওয়ামিলীগ রাজনীতি করে।”


২।”প্রধানমন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছা আমার নেই।প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়।কিন্তু যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন,তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো।অত্যাচার নিপীড়ন এবং কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠকেও আমি ভয় করি না।কিন্তু জনগণের ভালোবাসা যেন আমাকে দূর্বল করে ফেলেছে।”


৩।”অযোগ্য নেতৃত্ব,নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই।তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।”


৪।”মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে।যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন,তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।”


৫।”পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।যদি কেউ বলে যে,ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে,আমি বলব ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি।সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্হা করেছি।কেউ যদি বলে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার নাই,আমি বলব সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা।”


৬।”ধর্মপ্রাণ বাঙ্গালী মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে;কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল।”


৭।”জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি করতে যদি গুটিকয়েক লোকের অধিকার হরণ করতে হয়,তা করতেই হবে।”


৮।”বাংলার উর্বর মাটিতে যেমন সোনা ফলে,ঠিক তেমনি পরগাছাও জন্মায়!একইভাবে বাংলাদেশে।” কতকগুলো রাজনৈতিক পরগাছা রয়েছে,যারা বাংলার মানুষের বর্তমান দু:খ দূর্দশার জন্য দায়ী।”


৯।”আমরা পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে,আমরা ক্ষমতার জন্যে রাজনীতি করি না।জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই আওয়ামিলীগ রাজনীতি করে।”


৯।”যদি আমরা বিভক্ত হয়ে যাই এবং স্বার্থের দ্বন্দ ও মতাদর্শের অনৈক্যের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে আত্বঘাতী সংঘাতে মেতে উঠি তাহলে যাঁরা এদেশের মানুষের ভালো চান না ও এখানাকার সম্পদের ওপর ভাগ বসাতে চান তাঁদেরই সুবিধা হবে এবং বাংলাদেশের নির্যাতিত,নিপীড়িত,ভাগ্যাহত ও দূ:খী মানুষের মুক্তির দিনটি পিছিয়ে যাবে।”


১০।”আমাদের চাষীরা হল সবচেয়ে দু:খী ও নির্যাতিত শ্রেণী এবং তাদের অবস্হার উন্নতির জন্যে আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পেছনে “জনগণকে ছাড়া,জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে,জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”


১১।”আর সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে।ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে।হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে।বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে।কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।কিন্তু ইসলামের নামে আর বাংলাদেশের মানুষকে লুট করে খেতে দেওয়া হবে না।”


১২।”জনগণকে ছাড়া,জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে,জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”


১৩।”সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।তাই মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করে গণমানুষের সুখ শান্তি ও স্বপ্ন এবং আশা-আকাঙ্খাকে অবলম্বন করে গড়ে উঠবে বাংলার নিজস্ব সাহিত্য-সংস্কৃতি।”


১৪।”সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে।তাঁরা জনগণের খাদেম,সেবক,ভাই।তাঁরা জনগণের বাপ,জনগণের ছেলে,জনগণের সন্তান।তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।”


১৫”আন্দোলন গাছের ফল নয়।আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না।আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়।আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়।আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মী হতে হয়।ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার।আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।”


১৬।”ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না।দেশের মধ্যেই পয়সা করতে হবে।”


১৭।”আমরা পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে,আমরা ক্ষমতার জন্যে রাজনীতি করি না।জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই আওয়ামিলীগ রাজনীতি করে”


১৮।“প্রধানমন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছা আমার নেই।প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়।কিন্তু যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন,তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো।অত্যাচার নিপীড়ন এবং কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠকেও আমি ভয় করি না।কিন্তু জনগণের ভালোবাসা যেন আমাকে দূর্বল করে ফেলেছে।”


১৯।“মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে।যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন,তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।”


২০।আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি, সবচেয়ে বড় দূর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশী ভালবাসি।”


২১।”সাত কোটি বাঙ্গালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না।”


২২।”গরীবের উপর অত্যাচার করলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে।”


২৩।”আমি বা আপনারা সবাই মৃত্যুর পর সামান্য কয়েক গজ কাপড় ছাড়া সাথে আর কিছুই নিয়ে যাব না।”


২৪।“বাংলার উর্বর মাটিতে যেমন সোনা ফলে,ঠিক তেমনি পরগাছাও জন্মায় একইভাবে বাংলাদেশে।”


২৫।”কতকগুলো রাজনৈতিক পরগাছা রয়েছে,যারা বাংলার মানুষের বর্তমান দু:খ দূর্দশার জন্য দায়ী।”


২৬।“যদি আমরা বিভক্ত হয়ে যাই এবং স্বার্থের দ্বন্দ ও মতাদর্শের বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত – শোষক আর শোষিত।আমি শোষিতের পক্ষে।”


২৭।”এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।”


২৮।” দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করব।”


২৯।“আমাদের চাষীরা হল সবচেয়ে দু:খী ও নির্যাতিত শ্রেণী এবং তাদের অবস্হার উন্নতির জন্যে আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পেছনে।”


৩০।“জনগণকে ছাড়া,জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে,জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”


৩১।“আর সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে।ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে।হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে।বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে।কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।কিন্তু ইসলামের নামে আর বাংলাদেশের মানুষকে লুট করে খেতে দেওয়া হবে না।”


৩২।“জনগণকে ছাড়া,জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে,জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”


৩৩।“সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।তাই মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করে গণমানুষের সুখ শান্তি ও স্বপ্ন এবং আশা-আকাঙ্খাকে অবলম্বন করে গড়ে উঠবে বাংলার নিজস্ব সাহিত্য-সংস্কৃতি।”


৩৪।“সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে।তাঁরা জনগণের খাদেম,সেবক,ভাই।তাঁরা জনগণের বাপ,জনগণের ছেলে,জনগণের সন্তান।তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।”


৩৫।“আন্দোলন গাছের ফল নয়।আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না।আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়।আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়।আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মী হতে হয়।ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার।আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।”


৩৬।“ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না।দেশের মধ্যেই পয়সা করতে হবে।”


৩৭।“যিনি যেখানে রয়েছেন, তিনি সেখানে আপন কর্তব্য পালন করলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে না।”


৩৮।“বাংলার মাটি থেকে দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। দুর্নীতি আমার বাংলার কৃষক করে না। দুর্নীতি আমর বাংলার শ্রমিক করে না। দুর্নীতি করে আমাদের শিক্ষিত সমাজ।”


৩৯।”অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোন দিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।”


৪০”।রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চারটি জিনিসের প্রয়োজন, তা হচ্ছে: নেতৃত্ব, ম্যানিফেস্টো বা আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী এবং সংগঠন।”


৪১।”বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। গণআন্দোলন ছাড়া, গণবিপ্লব ছাড়া বিপ্লব হয় না।”


৪২।“আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।”


৪৩।”শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।”


৪৪।”বাংলার মাটি দু্র্জয় ঘাঁটি জেনে নিক দুর্বৃত্তেরা।”


৪৫।” বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই।”


৪৬।”বাংলার মাটি থেকে দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। দুর্নীতি আমার বাংলার কৃষক করে না। দুর্নীতি আমর বাংলার শ্রমিক করে না। দুর্নীতি করে আমাদের শিক্ষিত সমাজ।”


৪৭।” বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর, ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই। আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ- মাকে সাহায্য কর। প্যান্ট পরা শিখেছো বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না। দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখ।


কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়। ছুটির সময় দু’পয়সা উপার্জন করতে চায়। আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান, আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসে পড়েন। গ্রামে গ্রামে বাড়ীর পাশে বেগুন গাছ লাগিও, কয়টা মরিচ গাছ লাগিও, কয়টা লাউ গাছ ও কয়টা নারিকেলের চারা লাগিও।


বাপ-মারে একটু সাহায্য কর। কয়টা মুরগী পাল, কয়টা হাঁস পাল। জাতীয় সম্পদ বাড়বে। তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে। বাবার কাছ থেকে যদি এতোটুকু জমি নিয়ে ১০ টি লাউ গাছ, ৫০ টা মরিচ গাছ, কয়টা নারিকেলের চারা লাগায়ে দেও, দেখবে ২/৩ শত টাকা আয় হয়ে গেছে। তোমরা ঐ টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবে। কাজ কর, কঠোর পরিশ্রম কর, না হলে বাঁচতে পারবে না।


শুধু বিএ। এমএ পাস করে লাভ নেই। আমি চাই কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, কলেজ ও স্কুল, যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়। বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে। কেরানী পয়দা করেই একবার ইংরেজ শেষকরে দিয়ে গেছে দেশটা। তোমাদের মানুষ হতে হবে ভাইরা আমার।


আমি কিন্তু সোজা সোজা কথা কই, রাগ করতে পারবে না। রাগ কর, আর যা কর, আমার কথাগুলো শোন।


লেখাপড়া কর আর নিজেরা নকল বন্ধ কর। আর এই ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে থানায় থানায় সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোল। প্রশাসনকে ঠিকভাবে চালাতে সময় লাগবে। এর একেবারে পা থেমে মাথা পর্যন্ত গলদ আছে।


মাঝে মাঝে ছোট-খাট অপারেশন করছি। বড় অপারেশন এখনো করি নাই। সময় আসলে করা যাবে। তোমাদের আমি এইটুকু অনুরোধ করছি, তোমরা সংঘবদ্ধ হও।


আর মেহেরবানী করে আত্মকলহ করো না। এক হয়ে কাজ কর। দেশের দুর্দিনে স্বাধীনতার শত্রুরা সংঘবদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা দলবদ্ধ, তোমাদের সংঘবদ্ধহয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে ।”


৪৮।১১ই জানুয়ারী,১৯৭৫।-তৎকালীন কুমিল্লায় অবস্হিত বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী(বিএমএ)-তে,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ম ব্যাচ সেনাক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে,


“বহুকাল সংগ্রাম করেছিলাম যে বাংলাদেশে মিলিটারী একাডেমী হোক।কিন্তু আমরা পারিনাই তখন।আজ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র।সেজন্যেই আজ বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী স্হাপিত হয়েছে…..


আমি আশা করি,ইনশাল্লাহ,এমন দিন আসবে,এই একাডেমীর নাম শুধু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নয়,সমস্ত দুনিয়াতে সম্মান অর্জন করবে….


তোমাদের মনে রাখা উচিৎ ক্যাডেট ভাইয়েরা,আজ তোমরা তোমাদের ট্রেনিং শেষ করলা।এক পর্যায় শেষ আরেক পর্যায় শুরু এবং এই পর্যায়ের দায়িত্ব অনেক বেশী।অনেক অসুবিধার মধ্যে তোমাদের ট্রেনিং নিতে হয়েছে।সবকিছু তোমাদের আমরা দিতে পারিনাই।তোমাদের কমান্ডাররা অনেক কষ্ট করে তোমাদের ট্রেনিং দিয়েছে।কিন্তু আজ যা আমি দেখলাম,তাতে আমি বিশ্বাস করতে পারি,যে,পূর্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়,আমার ছেলেদেরই শক্তি আছে,যেকোন দেশের যেকোন সৈনিকের সঙ্গে তারা মোকাবেলা করতে পারে।


ছেলেরা আমার,তোমরা নতুন জীবনে যাচ্ছ।মনে রেখ,তোমরা একেকজন সামরিক কর্মচারী যাদের নিচেই থাকবে আমার সৈনিক বাহিনী।তাদের কাছেও অনেক শেখার আছে।তাদের সঙ্গে মিশতে হবে,তাদের জানতে হবে,দু:খের সময় দাঁড়াতে হবে,তাদের পাশে থাকতে হবে।মনে রেখ শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে।তুমি যখন শাসন করবা সোহাগ করতে শেখ।তাদের দু:খের দিনে পাশে দাঁড়িও।তাদের ভালোবেস।কারণ তোমার হুকুমে সে জীবন দিবে…..


সৎ পথে থেক।আমি তোমাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কথা বলছিনা,আমি তোমাদের জাতির পিতা হিসেবে আদেশ দিচ্ছি।কারণ জাতির পিতা একবারই হয় দুবার হয়না।প্রধানমন্ত্রী অনেক হবে অনেক আসবে।প্রেসিডেন্ট অনেক হবে অনেক আসবে।সেই হিসেবে তোমাদের আমি ভালোবাসি তোমরা জান।তোমরা সৎ পথে থেক।মাতৃভূমিকে ভালোবাস।আমি নিশ্চয় আনন্দিত যে তিন বছরের মধ্যে,কিছু কিছু বন্দোবস্ত আমি আমার সামরিক বাহিনীর জন্য করতে পেরেছি সকলের জন্য করতে পেরেছি।অনেক দিন লাগে একটা একাডেমী একদিনে গড়ে তোলেনা,অনেক প্রয়োজন।ইনশাল্লাহ হবে,ভালোভাবে হবে,এমন হবে যে দুনিয়ার মানুষ দেখতে আসবে আমার একাডেমীকে এবিশ্বাস আমি রাখি।তোমাদের কাছে আমার শুভেচ্ছা রইল।আমার আদেশ তোমরা মনে রেখ।আমার স্নেহের আবেদন তোমরা মনে রেখ।আমি তোমাদের দোয়া করি।বাংলার জনগণ তোমাদের দোয়া করবে।তোমরা আমার ফার্স্ট ব্যাচ।তোমরা কাল থেকে সরকারী খাতায় অফিসার হয়ে যাবা।তোমরা আদর্শ সৃষ্টি করো যাতে তোমাদের যারা ফলো করে আসবে তারাও যেন আদর্শবান হয়।তোমাদের উপর আমার এই বিশ্বাস আছে।ইনশাল্লাহ,স্বাধীনদেশে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি,এ স্বাধীনতা নিশ্চয় ইনশাল্লাহ থাকবে,কেউ ধ্বংস করতে পারবেনা।তবে স্বাধীনতা ফিকা হয়ে যাবে,যদি বাংলার দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পার।সেইজন্য তোমাদের কাছে আমার আবেদন রইল,সৎপথে থেকো।খোদা নিশ্চয় তোমাদের সাহায্য করবে।বিদায় নিচ্ছি।খোদা হাফেজ।জয় বাংলা।”


৪৯।”When you play with the gentlemen, you play like a gentlemen.But When you play with bastards,make sure you play like a bigger bastard.Otherwise you will lose.”


তথ্যসূত্রঃ


১. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ – আনু মোহাম্মদ সম্পাদিত,


২. অসমাপ্ত আত্মজীবনী – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,


৩. ইন্টারনেট।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার রাজনৈতিক জীবন দর্শন



“সাত কোটি সন্তানেরে

হে মুগ্ধ জননী

রেখেছ বাঙ্গালী করে

মানুষ করনি।”-

কবির এ মর্মবেদনা অনেক পুরোনো।সেদিনের কবির চেতনায় আগুন ধরেছিল বঙ্গ সন্তানদের চেহারা দেখে।তাই বড় আফসোস করে কবি তার বেদনা দগ্ধ চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন কাব্যিক ছন্দে।কিন্তু আজ অনেক চড়াই উৎরাই ঘাত প্রতিঘাত আর উস্থান-পতনের মাধ্যমে স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বাঙ্গালীর জাতির পিতা নিয়ে আমরা নষ্ট খেলা,ইতিহাস নিয়ে টানাটানি এবং অপবাদ নিয়ে মেতে আছি।আমরা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে, সংশয় এবং মানা না মানার মধ্যে দিয়ে যে নষ্ট খেলায় মেতে আছি তা শুধু আমাদের জন্য অপমান জনক না বরং তা আমাদের বিশ্বের মানচিত্রে অতি নগ্ন হিসাবেই পরিচিত লাভ করাতে দ্বিগুন সাহায্য করে।আজ যারা ধর্মের টালবাহনা করে বঙ্গবন্ধুকে মানতে অস্বীকার করেন তাদের জন্য তিনটি কথা বলে নেই কেমন-

১।সমগ্র মানব জাতির পিতা-আদম

২।মুসলিম জাতির পিতা -ইব্রাহিম এবং

৩।বাঙ্গালী জাতির পিতা-শেখ মুজিব।

এই তিনটি কথা বলার কারন আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন।আর যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আপনাকে আমার বা অন্য কারো বুঝানোর ক্ষমতা নাই বলেই আমি সুস্পষ্ট ধারনা ব্যক্ত করি।কারন বাংলায় একটা চুটকি আছে চোখ থাকিতেই অন্ধ সেটাতো জানেন আপনার।কারন আপনি যদি দেখেই না দেখার ভান করেন তাহলে আপনাকে কেও আর চোখে দেখাতে পারবেনা।তাই আপনি যদি আমার কথা বুঝেও যদি বলেন আমি বুঝিনাই তাহলে আমি আপনাকে দোষ দিবনা।কারন আমি এমনি এক মূর্খ যে,আমি আপনার মত লোককে বুঝাতে গেছি বাঙ্গালীর জাতির পিতা কে।তাই আপনার না বুঝাটা আপনার ভুল না বরং আপনার স্বার্থকতা আর আমার ব্যর্থতা।সত্যি বলতে কি জানেন,বাঙ্গালী জাতি মানীর কদর একটু কমই করতে পারে।তার কারন আমার লিখার শুরুতেই কবির এক মর্ম বেদনাময়ী আক্ষেপ এটাই জলন্ত প্রমান।তাইতো ডক্টর মুনতাসির মামুন বলেছিলেন; “বঙ্গবন্ধু একটা অনিচ্ছুক জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।”

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২)। শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল ঘাতক সেনা এবং নিজের বিশ্বস্ত লোক দাড়াই স্ব-পরিবার হত্যা হন।তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দেওয়ানি আদালতের সেরেস্তাদার। মুজিব ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তিনি স্থানীয় গীমাডাঙ্গা স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। চোখের সমস্যার কারণে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা চার বছর ব্যাহত হয়। ১৯৪২ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মিশনারী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আই.এ এবং একই কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বি.এ পাশ করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়েছেন বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। স্কুল জীবন থেকেই মুজিবের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ ঘটে।নিজেই নিজেকে রাজনৈতিক ভাবে এবং গণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রস্তুতের আদর্শে গড়ে তোলেন।তাঁর জাতির পিতা বা বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে তাঁর গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার মানুষের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই ছোট্ট অনুন্নত গ্রাম ও মানুষের মধ্যে তিনি লক্ষাধিক গ্রাম ও কয়েক কোটি মানুষকেও দেখেছেন। আর সেজন্যই বাঙালি জাতির ভাগ্যকে তিনি জয় করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের প্রতি তাকিয়ে দেখার সুযোগ পান নি। জেল-জুলুম, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, শাসকগোষ্টীর অত্যাচার– সবকিছু সহ্য করেছেন। কিন্তু বাংলার মানুষের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তাঁর লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের মুক্তি। বাঙালি উন্নত জীবনের অধিকারী হোক। বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াক। বাঙালি জাতিসত্তাকে প্রতিষ্ঠা করুক। একজন মহান নেতা হবার সবকটি গুণই আমরা তার মধ্যে খুঁজে পাই।তাইতো কিউবার বিপ্লবী প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর বলেছিলেন, ‘‘আমি হিমালয় দেখিনি, আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি৷” ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট (১৯৭২ সালের এক সাক্ষাৎকারে) বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘আপনার শক্তি কোথায়?” বঙ্গবন্ধু সে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি৷” ‘‘আর আপনার দুর্বল দিকটা কী?” বঙ্গবন্ধুর উত্তর, ‘আমি আমার জনগণকে খুব বেশি ভালোবাসি৷”

এই হলেন বঙ্গবন্ধু৷ জনগণের অন্তর্নিহিত শক্তির ওপর অপার আস্থা-বিশ্বাস,অসাম্প্রদায়িক,মানুষের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা, মমত্ববোধ,ত্যাগ স্বীকার এবং সহমর্মিতার বিরল দৃষ্টান্ত সমৃদ্ধ মানুষ – বঙ্গবন্ধু৷

স্কুল ছাত্র জীবনেই তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। যারা রাজনীতি করতেন তাদের খুব কাছাকাছি চলে যান। ঐ সময়ে বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ. কে. ফজলুল হক ও মন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সফরে এলে তিনি তাঁদের সামনে গিয়ে স্কুলের ছাদ দিয়ে পানি পড়ার অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মেরামতের দাবি জানান। তাঁর কথা বলার ভঙ্গি দেখে দুই নেতাই মুগ্ধ হন। সোহরাওয়ার্দী তাঁকে কাছে ডেকে কথা বলেন এবং এলাকার রাজনৈতিক খবরাখবর নেন। তিনি ঠিকানা দিয়ে চিঠি লিখতেও বলেন। শেখ মুজিবের সঙ্গে সেই প্রথম সম্পর্ক গড়ে ওঠে যা আজীবন ছিল। সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক আদর্শ শিষ্য হিসেবে শেখ মুজিব গড়ে উঠতে থাকেন। সেই সফরে সম্বর্ধনা জানাতে একটি কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে সেই কমিটির একটি গোলমালের ঘটনায় শেখ মুজিবসহ চার পাঁচজনকে আসামী করে বিরোধীরা থানায় একটি মামলা করে। গোপালগঞ্জ থানা হাজতে সাতদিন বন্দি থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করেন। পরবর্তীতে ১৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিলে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সেই তাঁর প্রথম কারাজীবন এবং এটাও তাঁর জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।

অল্পবয়স থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৪০ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। কট্টরপন্থী এই সংগঠন ছেড়ে ১৯৪৩ সালে যোগ দেন উদারপন্থী ও প্রগতিশীল সংগঠন বেঙ্গল মুসলিম লীগে। এখানেই সান্নিধ্যে আসেন হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে রক্ষণশীল কট্টরপন্থী নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কর্তৃত্ব খর্ব করতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ। ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তাঁর ভূমিকা ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই দেশপ্রেম ও দেশের জন্য কাজ করা তাঁর স্বভাবের অংশ হয়ে ওঠে। ছাত্রজীবনে তাঁর কর্মকাণ্ড, বিচক্ষণতা ও ভাষণ শুনে সবাই আকৃষ্ট হতো।

১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে শেখ মুজিব ঢাকায় এসে ১৪০নং মোগলটুলীর ‘কর্মী-ক্যাম্পে’ ওঠেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং সলিমুল্লাহ হলে মাঝে মাঝে থাকতেন। ঢাকায় এসে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং মুসলিম ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাচারিতা ও বাংলা বিরোধী ভূমিকার জন্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। তিনি পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন। যুবলীগেরও একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের বাংলাভাষাবিরোধী ভূমিকা এবং উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার হুমকির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ যখন গর্জে ওঠে, তিনিও তাদের সঙ্গে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রতিবাদ ও হরতাল পালিত হলে শেখ মুজিবও সবার সঙ্গে গ্রেফতার হন। কারাগারে থাকার সময় তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেল থেকে বের হয়ে এক ছাত্রসভায় বক্তৃতা দিয়ে তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিস্কার করা হয়েছিল। জেলে থাকাকালে সরকার তাঁকে জরিমানা ও মুচলেকার প্রস্তাব দেয় এবং জানায় তিনি যদি রাজনীতি না করেন, তাহলে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়া হবে। তিনি সরকারি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শেখ মুজিব টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে কিছুদিন অবস্থান করেন। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান তাঁকে লন্ডনে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়তে বলেন। কিন্তু শেখ মুজিব ততদিনে পাকিস্তানের শাসকদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে অনুধাবন করে ফেলেন। তিনি তাঁর প্রিয় বাংলার জনগণকে পাকিস্তানের শোষণের মধ্যে ফেলে রেখে লন্ডনে গিয়ে আর পড়তে চাইলেন না। তিনি রাজনীতি করার সদিচ্ছা প্রকাশ করে বাংলার মানুষের আদায়ের দাবিতে আবার ঢাকা চলে এলেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে।

পঞ্চাশের দশক তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের কাল। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন দূরদর্শীতা এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন এক কুশলী রাজনৈতিক নেতা। এসময় শেখ মুজিব মুসলিম লীগ ছেড়ে দেন এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে মিলে গঠন করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ। তিনি দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষি মন্ত্রী হন মুজিব। ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।

১৯৬৩ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত এবং১৯৬৬ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এই ছয় দফা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের রূপরেখা।মুজিবের ৬ দফার প্রতি জনগণের ব্যাপক সমর্থনে ভীত হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার শেখ মুজিবকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বাংলার সমস্ত জনগণ। জনরোষের কাছে নতি স্বীকার করে এক পর্যায়ে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় শোষকগোষ্ঠী। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসম্বর্ধনা দেওয়া হয়৷সেখানেই উত্থাপিত হয় এগার দফা দাবি যার মধ্যে ছয় দফার সবগুলোই দফাই অন্তর্ভুক্ত ছিল। লাখো মানুষের এই জমায়েতে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আয়োজিত এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’।১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩১০টি আসনের মধ্যে ৩০৫টি আসন লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মুজিবের স্বায়ত্বশাসনের নীতির পুরোপুরি বিপক্ষে ছিলো। আওয়ামী লীগের সরকার গঠন ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সংসদের অধিবেশন ডাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। শেখ মুজিব তখনই বুঝে যান যে, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মুজিব রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষ লোকের বিশাল জমায়েতে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে যুগ সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। মুজিব তাঁর ভাষণে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ব্যর্থ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আনেন। বক্তৃতার শেষে মুজিব ঘোষণা করেন: ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

এরপর আসে ২৫ মার্চ, ১৯৭১। রাতের অন্ধকারে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা; শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড।অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে কোলের শিশু- কেউ রক্ষা পায়না পাক হায়েনাদের নারকীয়তা থেকে। মুজিবকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদারী থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিবকে পাকিস্তানি কারাগার হতে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি লন্ডন হয়ে বিজয়ীর বেশে স্বদেশ প্রর্ত্যাবর্তন করেন। সারা দেশে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে প্রথম সরকারের মাত্র সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত সময়টুকু নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। শূণ্য থেকে শুরু করে তাঁর সরকারকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশের অগণিত সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ সকল ক্ষেত্রে রাষ্ট্র এবং জাতিগঠন কার্যক্রম শুরু হয়। আইন শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃনির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের জনরোষ থেকে রক্ষা করা এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করা এবং আরো অনেক সমস্যার সমাধান তাঁর সরকারের সামনে সুবিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।এরপর জনমোহিনী ভাবমূর্তিকে আশ্রয় করে তিনি বাকশাল বা বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একদলীয় শাসন কায়েম করেন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বাতিল করেন।এর ফলে দেশে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করে। সমস্ত দেশ যখন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিখ তখনই আসে আরেকটি আঘাত।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে শেখ মুজিব এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। সদ্য স্বাধীন জাতির জীবনে এক অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড, তৈরি করে রাজনৈতিক শূণ্যতা, ব্যাহত হয় গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ধারা।

বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধ – এই শব্দ তিনটি মূলত সমার্থক৷ এই তিনটির যে কোনো একটিকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করার কোনো সুযোগ নেই৷দেশ ও মানুষকে তিনি তাঁর হৃদয়ের আধেয় করে একজন আত্মত্যাগী দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হন। ছাত্রজীবন থেকে যে শিক্ষা ও দীক্ষা তাঁর জীবনকে আলোকিত করে তোলে, তার শিখা চিরন্তন করে রেখে গেছেন তিনি।

আয় তোরা আয়

আয় তোরা আয় বাংলার তরুন প্রজন্ম

আরেকবার যুদ্ধে যাব হায়েনাদের বিরুদ্ধে।

গড়ে তুলব মুক্তচিন্তার বাক স্বাধীন দেশ

কাঁধে হাত রেখে চিৎকার দিয়ে গর্জে উঠো

ধর্ম নিয়ে আর নয় কোন নষ্ট খেলা।।


আয় তোরা আয় শেরে বাংলার বাঘেরা

মিছিলে হুংকার ছেড়ে গর্জে উঠো

হায়েনার মুখে থাবা একে দাও।

শেষ করে দাও শোষকদের বেহায়াপনা

শান্তি ফিরিয়ে আনো বাংলার মাটিতে।।


আয় তোরা আয় বঙ্গবন্ধুর উজ্জীবিত প্রানেরা

আবার শোনব সেই ঐতিহাসিক কোন এক ভাষন।

মানবোনা কোন সুবিধাবাদীর অত্যাচার

চিতায় জ্বালিয়ে দিব ওদের দুঃসাহস

ছিনিয়ে আনবোই আমাদের ইতিহাস।।


আয় তোরা আয় জাহানারা ইমামের সন্তানেরা

আরেকবার লড়তে চাই খুনি ধর্ষকদের তরে।

ছাপ একে দাও বাংলার দেয়ালে দেয়ালে

আর নয় কোন মিথ্যা খেলা

স্বাধীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে।

ভেঙ্গে দিব তোমার ঐ চ্যাপ্টা মুখ খানা

বন্ধ করে দিব তোমার ঐ মিথ্যা ইতিহাস রটানো।।


আয় তোরা আয় জিয়ার সৈনিকরা

নির্ভয়ে তোরা আয় নিরপেক্ষ পক্ষ নিয়ে।

চিতায় মুখ আগুন করে দে হনুমানদের

খুনি সন্ত্রাসীদের কবর দিয়ে দে বাংলায়

ভালোবাসা ফিরিয়ে দে বাংলার জনতায়।।


আয় তোরা আয় কবি নজরুলের বিদ্রোহি কন্ঠে অগ্নিরা

ছিনিয়ে আনো মুক্তি যোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান

আর বীরাঙ্গনা নারীদের দাও মায়ের সম্মাননা।

হাসি ফুটিয়ে দাও ঘুমিয়ে থাকা শহীদদের মুখে

বিশ্বের মানচিত্রে একে দাও ওদের অসীম ত্যাগকে।।


আয় তোরা আয় লালনের মানবতার জয় নিয়ে

বাংলার লাখো মানুষের এক ধর্ম হয়ে

গেয়ে উঠো শাহ আব্দুল করিমের বাউলের সুরে।

তৈরী করে দাও জসীম উদ্দিনের নকশি কাথার মাঠ।

আরো একবার গেয়ে উঠো গলায় গলা মিলিয়ে

“আমার সোনার বাংলা

আমি তোমায় ভালোবাসি”।।