রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬

পুরুষ রচিত ধর্মের চোখে নারী –পর্বঃ০৩ (বৌদ্ধ ধর্ম)

কোন সৎ, চিন্তা ব্যক্তি নারীর প্রতি কোনো ধর্মের স্থূল নারীদের প্রতি বিদ্বেষ ও বর্বরতার উপেক্ষা করতে পারে না ।শক্তিশালী সৃষ্টিকর্তা দেবতা পুরুষ শাসিত, উপজাতীয়, সহিংস, অসহিষ্ণু সমাজের পণ্য ছিল। সমাজ জীবনে নারীর তুলনামূলক অনুপস্থিতি এবং নারীর উপর ধর্ষবাদী পুরুষদের যৌন আগ্রাসন ও ধর্ষণের আধিক্য যে কোনও মানুষের চোখে পড়বে।

আমরা জানি যে, নারীর হাত দিয়েই প্রধানত মানুষের সভ্যতার সূচনা হয়। কৃষি, পশুপালন, বস্ত্র, মৃৎ পাত্র নির্মাণ এগুলো মূলত নারীদের উদ্ভাবন এবং অনেক কাল পর্যন্ত এগুলো মূলত তাদেরই কাজ ছিল।কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্রের আয়তন বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে যুদ্ধ বা সমরবাদের শক্তিবৃদ্ধি নারীর অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটায়।

বৌদ্ব ধর্মের অনুসারীগণ মনে করে নারীসংগ নির্বান লাভে অন্তরায়।বৌদ্ব ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বোদ্ধ বলেছেন, “নারীদের সাথে কোনরুপ মেলামেশা কর না এবং তাদের প্রতি অনুরাগ রেখ না।তাদের সাথে কথা-বার্তাও বলবে না।কারণ পুরুষের পক্ষে নারী ভয়ংকরস্বরুপ।নারী থেকে বাঁচার চেষ্টা কর।”

বৌদ্ধ ধর্মে নারীরা শুধু সামাজিকভাবে নিগৃহীত হয়নি ধর্মীয়ভাবেও তাদের মর্যাদা ছিল অতিনগন্য যা বৈদিক ধর্মীয় গ্রন্থ 'মনুস্মৃতি'র শ্লোক উদাহরণ স্বরূপ প্রদত্ত হল।
নাস্তি স্ত্রীনাম পৃথগ্ যজ্ঞো ন ব্রতম্ নাপ্যুপোষথম্
পতিম্ শুশ্রুষতে যেন তেন স্বর্গে মহীয়তে। - শ্লোক ১৫৩

অর্থাৎ, প্রয়োজন নেই পৃথক কোন যজ্ঞ কিংবা উপোসনালয়ের,
পতি সেবায় স্বর্গ লাভ হবে স্ত্রীদের।

বৌদ্ধশাস্ত্রের ৫৩৬ নম্বর জাতক - নাম কুণাল জাতক। এই জাতকের প্রধান চরিত্র হল কুণাল যার মুখ নিঃসৃত বানী থেকে আমরা নারীদের সম্পর্কে জানতে পারি । কুণাল বলেন নারী কখনই বিশ্বাসযোগ্য নয়, নারী স্বভাবতই বিশ্বাস ঘাতিনী। নারী কোন ভাবেই প্রশংসার যোগ্য নয় এবং কি নারী কামাচারে পাত্রাপাত্র বিচার করে না।

এ নিয়ে বিদূরপণ্ডিত জাতকে আছে,
“নারীর চরিত্র হায়, কে বুঝিতে পারে?
অসতী প্রগলভা বলি জানি সবাকারে।
কামিনী কামাগ্নি তাপে জবে দগ্ধো হয়
উচ্চে নীচে সমভাবে বিতরে প্রণয়।
খাবার প্রস্তুতে বিচার নাই আগুনের ঠাই
নারীর প্রেমে পাত্রাপাত্র ভেদ জ্ঞান নাই।
অতএব ত্যাজি হেন জঘন্য সংসার
সন্ন্যাসী হইবো এই সংকল্প আমার।”

কুণালের মুখে উচ্চারিত হয় নীতি গাথা-
“সদা রক্ত মাংস প্রিয়, কঠোর হৃদয়,
পঞ্চায়ুধ, ক্রূরমতি সিংহ দুরাশয়।
অতিলোভী, নিত্য প্রতিহিংসা পরায়ণ,
বধি অন্যে করে নিজ উদর পূরণ।
স্ত্রীজাতি তেমতি সর্বপাপের আবাস,
চরিত্রে তাহাদের কভু করো না বিশ্বাস।”

তার মানে, পুরুষের কখনোই নারীর চরিত্রে বিশ্বাস করা উচিত নয়।

নারীরা যে মলের মতো দুর্গন্ধময়, এ সম্পর্কে কুণাল বলেন,
“নারী হল উন্মুক্ত মলভাণ্ডের ন্যায়। উন্মুক্ত মলভাণ্ড দেখিলে মাছি সেখানে ঝাপ দিবেই তাকে রোহিত করা কষ্টকর। কিন্তু একজন জ্ঞানী মানুষ সব সময় এই মলভাণ্ডের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করে তা এড়িয়ে চলে। তদ্রূপ নারীরূপ মলভাণ্ডে মাছিরূপ পুরুষ ঝাপ দিবেই, কিন্তু একজন জ্ঞানী ভিক্ষু এই উন্মুক্ত মলভাণ্ডরূপ নারীদের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করিয়া তাদের সদাই পরিত্যাগ করেন।“

কুণাল তার নীতিগাথায় আরো বলেন,
“চৌর, বিষদিগ্ধসুরা, বিকত্থি বণিক
কুটিল হরিণ শৃঙ্গ, দ্বিজিহ্বা সর্পিণী
প্রভেদ এদের সঙ্গে নেই রমণীর।
প্রতিচ্ছন্ন মলকুপ, দুষ্কর পাতাল
দুস্তোস্যা রাক্ষসী, যম সর্বসংহারক
প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর।
অগ্নি, নদী বায়ু, মেরু কিংবা বিষবৃক্ষ নিত্যফল
প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর।”

বোধিসত্ত্ব এক রাজা ছিলেন, এবং তাঁর পুরোহিতের সঙ্গে নিয়মিত পাশা খেলতেন। খেলার সময় একটি গান গেয়ে চাল দিতেন, এবং গানটির সত্যতা-বলে প্রতিবারই জিততেন। সেটির অংশবিশেষ,

“পাপাচার পরায়ণ জানিবে রমণীগণ,
স্বভাব তাদের এই নাহিক সংশয়;
যখনই সুবিধা পায়, কুপথে ছুটিয়া যায়,
ধর্ম্মে মতি তাহাদের কভু নাহি হয়।”
অর্থাৎ,নারীদের এতোই জঘন্য স্বভাব যে এখানে সেখানে তারা ঘুরাফেরা করে।

দুরাজান (দুর্জ্ঞেয়)-জাতক এর একটি কবিতা আছে ,
“ভাল যদি বাসে নারী, হইও না হৃষ্ট তায়;
যদি ভাল নাহি বাসে, তাতেই কি আসে যায়?
নারীর চরিত্র বুঝে হেন সাধ্য আছে কার?
বারিমাঝে চলে মাছ, কে দেখিবে পথ তার?”

অর্থাৎ, নারীরা সব সময় প্রেমালাপে পুরুষদের বস করে যদিও মনের মধ্যে তাদের থাকে খারাপ অভিলাস।

অনভিরতি-জাতক গল্পের কবিতায় বলা হয়েছে,
“নদী, রাজপথ, পানের আগার উৎস, সভাস্থল আর,
এই পঞ্চস্থানে অবাধে সকলে ভুঞ্জে সম অধিকার।
তেমনি রমণী ভোগ্যা সকলের, কুপথে তাহার মন;
চরিত্রস্খলন দেখিলে তাহার, রোধে না পণ্ডিত জন।”

অর্থাৎ, সুযোগ পেলেই অসতীরা পুরুষের সম্মান নষ্ট করে।
(পর্ব আকারে লেখা হচ্ছে, চলতে থাকবে)

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ড.অভিজিৎ রায়'কে স্মরনে

প্রগতিশীল সমাজ ব্যাবস্থা নিয়ে কথা বলা মানে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা না,তবে ধর্মের গোড়ামি অন্ধতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরে আসা।কারন ধর্মের উপর অন্ধ বিশ্বাস করে অন্যকে অপমান করা বা ছোট করে দেখা কিংবা ভয় দেখিয়ে অন্যকে দমিয়ে রাখা এবং ধর্মের উপর অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে কোন জাতি বা ব্যাক্তির প্রান নাশ কিংবা ধ্বংষ লিলা কখনো কোন ধর্ম হতে পারেনা।এটাকে একথায় সন্ত্রাসবাদ ছাড়া অন্য কিছু বলে দাবি করা যায় না।যদি কেও সেটা দাবি করে বলে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাই করা হবে সেটাই ঠিক।তাহলে আমি তাকে বলব তোমার এমন ধর্মের কপালে আমি লাথি মারি।যেখানে কোন মানবতা নাই সেখানে কোন সৃষ্টিকর্তাও থাকতে পারেনা।জয় যদি হতেই হয় তবে মানবতার জয় হোক ।

ও হ্যাঁ, উপরের এই কথা গুলো বলার কারণ বিজ্ঞান মনষ্ক লেখক,মুক্তমনা ব্লগ প্রতিষ্ঠাতা, ব্লগার প্রকৌশলী অভিজিৎ রায় কে স্মরণে।"যারা ভাবেন বিনা রক্তে বিজয় অর্জিত হয়ে যাবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ধর্মান্ধতা, মৌলবাদের মত জিনিস নিয়ে যখন আমরা লেখা শুরু করেছি, জেনেছি জীবন হাতে নিয়েই লেখালেখি করছি।"-অভিজিৎ রায় নিজেই নিজের কথার পরিনত হয়েছেন। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারীর এই দিনে ইসলামী জংগীদের চাপাতির নিচে জীবন দিতে হয় ড. অভিজিৎ রায়কে এবং গুরুতর আহত হয়ে প্রানে বেচে যান তার জীবন সঙ্গী বন্যা আহম্মেদ।গত বছর বইমেলার শেষের দিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি নিহত হলেও এবারের আরেকটি বইমেলা প্রায় শেষের দিকে। এখনো তার হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি নেই।কিন্তু বিচারের নামে যেটা হয়েছে সেটা তদন্ত।যার আজও কোন মূল সূরাহ হয়নি।তার কারণ হয়তো,যদি অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের বিচার করা হয় তাহলে হয়তো এদেশে হাজার হাজার অভির জন্ম হবে এদেশের ধর্মান্ধ সুশিলদের ধারণা।তাই তারা বিচারের নামে তদন্ত নামের এক ফাদে ফেলে এদেশের মৌলবাদ,উগ্রবাদী ধর্মান্ধ বিরোধী মানুষকে শান্তনা দেওয়া হচ্ছে।ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীরা ভেবেছিল কুপিয়ে সব স্তব্ধ করে দিবে অভিজিৎদের।কিন্তু দেখ আজ এক অভিজিতের বদলে হাজারটা অভির কলম চলে,কলম চলবে ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, উগ্রবাদী, মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে।ওহে,মূর্খের দল তোমারা শুনে রাখ,একজন মানুষকে হত্যা করে তাকে এবং তার নিজের হাতে সাজানো অসমাপ্ত কাজটা তার দ্বারা নিঃশেষ হয় না।কিন্তু তার রেখে যাওয়া সম্পদ বা অসমাপ্ত কাজগুলো কেও না কেও তা নিজ দায়িত্বে নিজের কাধে তুলে অসভ্য সমাজকে আলোর পথ দেখায়। কারণ বেচে থাকা সভ্য মানুষদের চিন্তা শক্তিও নষ্ট করা যায় না একজন আলোর দিশারীকে হত্যা করে।হয়তো সাময়িকের জন্য কারো কারো চিন্তা শক্তি থমকে যায়,আবার অনেকের চিন্তা শক্তি তোমাদের হিংস্রতার কারণে বেড়ে যায়।সেটা হোক প্রকাশ্যে কিংবা ভিন্ন পথ অবলম্বন করে।অভির আগেও এই সভ্যতার জন্য কুসংস্কার বাদীদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে অনেক স্বপ্নদ্রষ্টাকে,তা আমরা সকলেই কম বেশী জানি।কিন্তু এ সভ্যতাকে আটকানো বা পায়ে শিকল বেধে আটকানো যায় নি তবে সাময়িক বাধাগ্রস্ত হয়তো করা যায়।তবে একজনের অসমাপ্ত কাজ অন্যজন নিজের মনে করেই গুরুত্বসহকারে কাধে তুলে নেয়।সত্য, সৎ, ন্যায়পরায়ন,চরিত্রবান, যারা সৃষ্টিশীল তাদের মুল্য এখনো এসমাজে পরিলক্ষিত। এদের সম্মান কেহ কোন দিন চাইলেও বিনিষ্ট করতে পারেনি আর কোনদিন পারবেও না।যুগে যুগে যাহারা সত্যর পথে ধাবিত হইয়াছে, তাহাদের উপর প্রতিনিয়ত এই অন্ধ সমাজ বিভিন্নভাবে আঘাত করিয়াছে। তাহা শারীরিক ভাবেই হউক কিম্বা মানসিকভাবেও হোক। তথাপি কোনমতেই এই অন্ধ সমাজ তাহাদিগের মতবাদকে অস্বীকার করিতে পারে নাই। আর পারে নাই বলিয়া পৃথিবী আস্তে আস্তে সভ্যতার দিকে ধাবিত হইয়াছে।ঠিক তেমনই আমাদের এই সমাজের স্বপ্ন দ্রষ্টা ছিল অভিজিৎ রায়।
আমরা একজন অভিজিৎ রায়কে হারাইনি; আমরা হারিয়েছি এক স্বপ্নের মরুভূমির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এক আলোর দিশারী পথিক; অন্ধ বর্বরদের দেশে এক অনন্য সৃষ্টিশীল মুক্ত মনের মানুষ।যিনি চেয়েছিলেন,ধর্ম কুসংস্কার মুক্ত একটা সভ্য সমাজের অস্তিত্ব।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ফেসবুক দুনিয়ায় এই শব্দগুলো আপনি না জানলে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছেন

এখন সব কিছু শর্টে বলার যুগ। ধরুন আপনি এ যুগে আপনি কাউকে বললেন, তাড়াতাড়ি কর। তাহলে আপনার বলা উচিত, ASAP (As soon as possible)-কর। কিংবা কোনও কিছুতে আপনার খুব হাসি পেল। এবার সেটা আপনি টেক্সটে লিখবেন, হয় আপনাকে স্মাইলি পাঠাতে হবে। অথবা খুব জোরে হাসি পেলে আপনার লেখা উচিত LOL (laugh out loud)। এরকমই চলছে ফেসবুক, টুইটার, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে। এগুলোকে নেট দুনিয়ার পরিভাষায় বলা হয় Internet Slang Words বা Computer Slang।
এমনই কিছু Internet Slang Words-এর কথা বলা হল যেগুলো আপনার কাজে লাগতে পারে। কখন কীভাবে ব্যবহার করা যায়, পুরো মানেটাই বা কী হয়।
খুব উপভোগ করার পরামর্শ দিতে
YOLO - You Only Live Once
----------------
সত্যি কথা বলার আগে
TBH - To Be Honest
----------------
আপনি সত্যিই জানি না বলতে
IONO - I Don't Know
-------------
আর দরকার নেই বলতে
SNM - Say No More
-----------
কথা বলতে চাইলে
TTY - Talk To You
------------
মনের মিল হলে
H2H - Heart To Heart
----------
ইয়ার্কি মারার পর
IJK - I'm Just Kidding
-------
শুভেচ্ছা জানাতে
GL - Good Luck
-------------
দ্বিধা কাটাতে
DBA-- Don't Bother Asking
---------
তাড়াতাড়ি করার কথা বললে
QAP - Quick As Possible
------
কোনও কিছুর খুব গুরুত্ব বোঝাতে
VBD-- Very Big Deal
----------
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময়
FHO-- Friends Hanging Out
----------
কাউকে কোনও কিছু জানাতে হলে
INCYDK-In Case You Didn't Know
---------
কোনও কিছু বলতে বা দেখাতে না চাইলে
403-Deny Access To
----------
কাউকে ধন্যবাদ জানাতে হলে
YSVW---You're So Very Welcome
------------
কোনও বড় লেখার অনিচ্ছা প্রকাশ করলে
TLTR Too Long To Read
-------------
জানি না বলতে
IONO - I Don't Know
-------
কোনও কিছু স্বীকার করতে
TBH - To Be Honest
মূল লিখা 

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ভাষা আন্দোলনে শহীদ সূর্য সন্তানদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত তথ্য

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আমরা সকলই কম বেশি জানি।যে ইতিহাস পড়তে গেলেই আসে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই”(২১ শে ফেব্রুয়ারি)।রাষ্ট্র ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে সেদিন জলে উঠেছিল বাঙ্গালীদের বুক।নিজের জীবন লুটিয়ে দিতে রাজপথে নেমেছিল সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত এর মত আরো অনেক পবিত্র আত্মাগুলো। নিজের জীবনের বিনিময়ে অর্জন করে নিল মায়ের ভাষার অধিকার।তারই অব্যাহত ধারায় ২৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান জাতীয় সংসদে বাংলা এবং উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধান পাশ করে । ৩ মার্চ ১৯৫৬ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানকারী পাকিস্তানের সংবিধান এইদিন থেকে কার্যকর হয় এবং ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে তমদ্দুন মজলিশের মাধ্যমে মায়ের ভাষায় কথা বলার যে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল তার সাফল্য অর্জিত হয় ।
ভাষা আন্দোলনে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তাদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গিয়েছিলো তাদের মধ্যে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার , শফিউর ,এর নামই বেশী শোনা বা পাঠ করা যায়। বাংলা উইকিপিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শহীদের তথ্য এখানে যুক্ত একত্রিত করলাম।

# শহীদ আব্দুস সালাম
শহীদ আব্দুস সালাম ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন। গ্রাম- লক্ষনপুর, উপজেলা-দাগনভূঁইয়া, জেলা- ফেনী। পিতার নাম- মোঃ ফাজিল মিয়া, মাতার নাম- দৌলতুন্নেসা। ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে আব্দুস সালাম ছিলেন সবার বড়। তিনি দাগন ভুঁইয়ার করিমউল্লাহপুর হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর কামাল আতাতুর্ক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হলেও পারিবারিক কারণে আর লেখাপড়া করতে পারেন নি। অতঃপর চাচাতো ভাই আবদুল হালিমের সহায়তায় ঢাকা চলে আসেন। ৮৫ দিলকুশাস্থ "ডাইরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রুজ" এ করনিক পদে চাকুরী নেন। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নোর ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালালে আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ এপ্রিল, ১৯৫২ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

# শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ
শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ এর জন্ম ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্রামের নাম-পারিল (বতর্মানে যার নামকরন করা হয়েছে রফিকনগর) থানা- সিংগাইর, জেলা- মানিকগঞ্জ। তার পিতার নাম- আব্দুল লতিফ, মাতার নাম- রাফিজা খাতুন। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। শৈশবে গ্রামের স্কুলেই তিনি লেখাপড়া করেন। মরহুম আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী ও বীরেন্দ্রমোহন দত্তগুপ্ত শিক্ষকদ্বয়ের সুযোগ্য ছাত্র হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন।
রফিক বাল্যকালে কিছুটা ডানপিটে ছিলেন। তাই গাছ থেকে পড়ে তার হাত ভেঙ্গে চিকিৎসার জন্য কোলকাতা যান। কোলকাতা আবস্থানের সময়মিত্র ইনিস্টিটিউশনে শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর রফিকউদ্দিনের পিতা ঢাকায় চলে আসেন। এখানে বাবুবাজারে আকমল খাঁ রোডে পারিল প্রিন্টিং প্রেস নামে ছাপাখানা চালু করেন। এখানে রফিক বায়রা স্কুলে ভর্তি হয়ে ১৯৪৯ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বায়রা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে রফিকউদ্দিন মানিকগঞ্জ 'দেবেন্দ্রনাথ কলেজে' বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। আই.কম. ক্লাস পর্যন্ত পড়লেও পরে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনা করতে শুরু করেন। পরে ১৯৫২ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে ( বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।
শহীদ রফিক সাহিত্যাঙ্গনে ছড়া রচনায় পটু ছিলেন এবং সেলাই ও সূচী শিল্পেও বেশ দক্ষ ছিলেন। সমাজকল্যানেও তিনি গভীর আগ্রহী ছিলেন। কোলকাতা থাকাকালীন পারিল বলধারা যুবক সমিতি’র কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। শহীদ রফিকের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণআন্দোলনে নিজেদের গভীরভাবে যুক্ত করেছেন এবং নিজেদের জীবনকে কখনোই দেশের স্বার্থের চেয়ে বড় মনে করেননি। তাইতো ১৬৬৯ এর গণআন্দোলনেও জীবন দিয়েছেন এই পরিবারের সদস্য জনাব ইসহাক। রফিকের ভাই আবদুস সালাম ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দুর্ভাগ্যের বিষয় তিনি গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন।
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার মিছিলে রফিক অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গনে পুলিশ গুলি চালালে সেই গুলি রফিকউদ্দিনের মাথায় লাগে। গুলিতে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে তার লাশ পড়ে ছিল। ছয় সাত জন ধরাধরি করে তার লাশ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন। তাদের মাঝে ডাঃ মশাররফুর রহমান খান রফিকের গুলিতে ছিটকে পড়া মগজ হাতে করে নিয়ে যান।
সম্ভবত ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শহীদ হওয়ার মর্যাদা রফিক উদ্দিন আহমদই লাভ করেন। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে দুঃখজনকভাবে পরবর্তীতে তার কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি।

# শহীদ আবুল বরকত
শহীদ আবুল বরকত ১৯২৭ সালের ১৬ জুন ভারতীয় উপমহাদেশের (অবিভক্ত) মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন মৌলবী শামসুদ্দীন সাহেবের জ্যেষ্ঠপুত্র। ১৯৪৫ সালে তালেবপুর হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাশের পর তিনি বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশের পর ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হয়ে ১৯৫১ সালে অনার্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে চতুর্থ স্থান লাভ করেন। এরপরে তিনি একই বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন। ভালো ছাত্রের পাশাপাশি তিনি স্বভাব-চরিত্র ও ব্যবহারে ছিলেন অমায়িক। ২১শে ফেব্রুয়ারীর দিন আবুল বরকত মেডিকেল কলেজের ১২ নম্বর শেডের বারান্দায় দাড়িয়ে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতাকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন।এ সময় মিছিলে ছোড়া পুলিশের একটি গুলি তার গায়ে এসে লাগে ও তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত আবুল বরকতকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি অবস্থায় রাত আটটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।। সেদিনই গভীর রাতে পুলিশের কড়া প্রহরায় শহীদ বরকতের লাশ আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। পরে বরকতের পারিবারিক খরচে তার কবর পাকা করা হয়।

# শহীদ আব্দুল জব্বার
শহীদ আব্দুল জব্বার ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। গ্রাম- পাঁচুয়া, থানা- গফরগাঁও, জেলা- ময়মনসিংহ। তার পিতার নাম- মোঃ হাসেম আলী শেখ, মাতার নাম- সাফিয়া খাতুন। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করার পরে পারিবারিক কারনে লেখাপড়া ত্যাগ করে পিতার কৃষিকাজে সাহায্য করা শুরু করেন। ১৫/১৬ বছর বয়সে তিনি খেয়ালের বশবর্তী হয়ে সকলের অজান্তে একদিন গৃহত্যাগ করে ট্রেনে চেড়পে নারায়নগঞ্জ আসেন। সেখানে জাহাজ ঘাটে এক ইংরেজ সাহেবের সান্নিধ্য লাভ করেন। সাহেবের অনুগ্রহে একটি চাকরি লাভ করে বার্মায় গমন করেন। ১০/১২ বছর বার্মায় থাকার পরে তিনি দেশে চলে আসেন। দেশে এসে নিজ গ্রামে তিনি দৈনন্দিন জিনিসপত্রের ছোটখাট একটি দোকান দেন। এরপর তিনি আমেনা খাতুন নামে এক মেয়েকে বিবাহ করেন ও এক পুত্র সন্তানের পিতা হন। সন্তানের নাম রাখেন নুরুল ইসলাম। আবদুল জব্বারের পুত্র জন্ম হওয়ার কিছুকাল পরে তার শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। শাশুড়িকে নিয়ে ১৯৫২ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী ঢাকায় আসেন। হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে আবদুল জব্বার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রদের আবাসস্থল (ছাত্র ব্যারাক) গফরগাঁও নিবাসী হুরমত আলীর রুমে (২০/৮) উঠেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে, কি হয়েছে দেখবার জন্য তিনি রুম থেকে বের হয়ে আসেন। তখনই পুলিশ গুলি শুরু করে এবং জব্বার আহত হন। ছাত্ররা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে যারা হাসপাতালে নিয়ে যান, তাদের মধ্যে ছিলেন ২০/৯ নম্বর কক্ষের সিরাজুল ।সারাদিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে রাতে তিনি মারা যান। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়।

# শহীদ শফিউর রহমান
শহীদ শফিউর রহমান অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশের হুগলী জেলার কোন্নগর গ্রামে ১৯১৮ সালের ২৪ জানুয়ারী জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৌলবী মাহবুবুর রহমান। তিনি কলকাতা গভর্ণমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজ থেকে আই কম পাশ করেন। পারিবারিক কারণে আর লেখাপড়া করতে পারেন নি। পরে ঢাকায় তিনি হাইকোর্টে করনিক পদে চাকুরী নেন। ১৯৫২‌-র ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার দিকে ঢাকার রঘুনাথ দাস লেনের বাসা থেকে সাইকেলে চড়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন শফিউর। সকাল সাড়ে দশটার দিকে নওয়াবপুর রোডে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্বদিনের পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ পুণরায় গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলি শফিউর রহমানের পিঠে এসে লাগে। ১৯৫৪ সালের শহীদ সংখ্যা সাপ্তাহিক সৈনিকে তাঁর সম্পর্কে প্রকাশিত বিবরণ থেকে জানা যায়, ঐদিন সকাল ১০টায় তিনি সাইকেলে চড়ে নবাবপুর রোড হয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি রাইফেলের গুলি তাঁরপৃষ্ঠভেদ করে বের হয়েছে এবং এতে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাঁকেহাসপাতালে নেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ডা. এ্যালিনসন অপারেশন করেন। ঐদিন সন্ধ্যা সাড়ে৬টার সময় তিনি মারা যান। গুলিতে শহীদ শফিউরের কলিজা ছিঁড়ে গিয়েছিল। অপারেশনের সময় সফিউরের বৃদ্ধা মা, বাবা, স্ত্রী, মেয়ে শাহনাজ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। মারা যাওয়ার পর পুলিশ আত্মীয়দের কাছে লাশ হস্তান্তর করেনি। ১৪ মার্চ ১৯৫২ তারিখের দৈনিক আজাদে প্রকাশিত সরকারি তথ্য বিবরণী অনুসারে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর জানাজা পড়ান। জানাজায় তাঁর বাবা ও ভাই উপস্থিত ছিলেন। তারপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। শফিউর রহমানের মৃত্যুর ৩ মাস পরে তিনি একটি পুত্র সন্তানের বাবা হন।



বাংলাদেশের মহান ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত একটি নাম, শহীদ অহিউল্লাহ।
১৯৫২-এর ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, রফিকউদ্দিন আহমদ, আবদুস সালাম, শফিউর রহমান ছাড়াও ২২শে ফেব্রুয়ারীতে রথখোলা, নবাবপুরে নিহত হয়েছিলেন আরও দুজন। এরা হলেন ---
১. আব্দুল আউয়াল। একজন রিক্সা চালক, বয়স ২৬ বছর।
২. অহিউল্লাহ, পিতা রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান, বয়স:-৯ বছর।

# শহীদ অহিউল্লাহ
ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের তালিকায় একজন নয় বছরের নাবালক ছেলে রয়েছে, যার নাম হলো অহিউল্লাহ। তিনি ছিলেন জনাব হাবিবুর রহমানের ছেলে। হাবিবুর রহমান পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন। শহীদ অহিউল্লাহ ভালোবাসত ছবি আঁকতে, সময় পেলেই কাগজ, পেনসিল নিয়ে বসে পড়ত আকাআকি করতে। ২২শে ফেব্রুয়ারী নবাবপুর রোডে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে পুলিশ গুলীবর্ষন করে। নবাবপুর রোডের খোশমহল রেস্টুরেন্টের সামনে দাড়ানো অহিউল্লাহর মাথায় সরাসরি গুলী আঘাত হানে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অহিউল্লাহ। রক্তে ভেসে গেল চারপাশ। এরপর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স এসে অহিউল্লাহর লাশ নিয়ে গেল ঢাকা মেডিকেল কলেজে।
অহিউল্লাহর বাবা-মা খবর পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গেলেন হাসপাতালে। তারা হাসপাতালে থাকা পুলিশের কর্তাব্যক্তিকে বললেন, 'আমাদের ছেলেটার লাশ দিন। আমরা তাকে দাফন করতে চাই।' কিন্তু পুলিশ নানা বাহানা করে বিভিন্ন কথা বলে অহিউল্লাহর বাবা-মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিল জোর করে। পুলিশ নিজেদের মতো করে অহিউল্লাহর লাশ দাফন করল, নাকি মাটিচাপা দিয়ে দিল, সে তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে অহিউল্লাহর পকেটে পাওয়া গেল একটি রঙিন কাগজের টুকরো। সেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু আর প্রজাপতির ছবি আকা ছিল। খুব ভালোবেসে এ ছবিগুলো এঁকেছিল সে।২৩শে ফেব্রুয়ারীর ১৯৫২ তারিখের দৈনিক আজাদে অহিউল্লাহর শহীদ হওয়ার খবর ছাপানো হয়। পুলিশ তার লাশ গুম করে ফেলায় তার কবরের কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।

# শহীদ আব্দুল আউয়াল
শহীদ আবদুল আউয়াল পেশায় একজন রিকশাচালক। তিনি শহীদ হন ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যখন ছাত্র বিক্ষোভ চলছিল, তখন আবদুল আউয়ালও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বয়স ২৬ বছর। পিতা মোহাম্মদ হাশিম। শহীদ আউয়ালের ঢাকার ঠিকানা ছিল ১৯, হাফিজুল্লাহ রোড। শহীদ আউয়াল সম্পর্কে এর বেশি তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।
তথ্য সমূহঃউইকিপিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পড়াশুনা তুমি কার মাথায় ঘুরো

কেলাস ফাঁকি,আড্ডা দেওয়া

কদিন আগেই ছিল মনের মত,

দিন বদলের টানা-পোঁড়েনে

এখন আমি সিরিয়াস ছাত্ররে।

পড়াশুনা তুমি কার মাথায় ঘুরো,

তার মাথা কি আমার চেয়ে বড়?


আড্ডা এখন অতীত

কদিন আগের স্মৃতি কথা

পরীক্ষা স্যারের অনুকূলে থাকে।

আমার বিপরীত,বাবা-মার ছোট্ট চাওয়া

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা।

তারপর একা ঘরে,মন জড়োসড়ো,

পড়াশুনা তুমি কার মাথায় ঘুরো,

তার মাথা কি আমার চেয়ে বড়?


রুম ভর্তি ছাত্রের পরীক্ষা হল

সুযোগ বুঝে পিছনের সিট খুঁজে বসা।

ভালো ছাত্রের পরীক্ষার খাতায় আমার চোখ

স্যারের কড়া গার্ড,আর তোর একটু না দেখানোয়

আমার স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়া।

তারপর বোকা মনে খাতা-কলম জড়োসড়ো,

পড়াশুনা তুমি কার মাথায় ঘুরো,

তার মাথা কি আমার চেয়ে বড়?

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পুরুষ রচিত ধর্মের চোখে নারী –পর্বঃ০২ (খৃষ্ট ধর্ম)

আমাদের দেশে সমাজ জীবনে নারীর তুলনামূলক অনুপস্থিতি এবং নারীর উপর ধর্ষণবাদী পুরুষদের যৌন আগ্রাসন ও ধর্ষণের আধিক্য যে কোনও মানুষের চোখে পড়বে। এটা অবশ্য আমাদের দেশের একক অবস্থা নয়,সারা বিশ্বে বহমান।

খৃষ্টধর্ম মতে মানব জাতির স্বর্গ হতে পাপ-পঙ্কিল দুনিয়ায় আগমনের জন্যে নারীই দায়ী। ঈশ্বরের আনুগত্য ভঙ্গ করার কাজ সেই সর্বপ্রথম শুরু করে। তাই খৃষ্টধর্ম মতে নারীরা হচ্ছে শয়তানের বাহন, নারীরা হচ্ছে এমন বিষধর সাপ যা পুরুষকে দংশন করতে কখনো পিছপা হয়নি।

আসুন এবারে দেখা যাক,খৃষ্টধর্মে নারীর স্থান কী রকম ছিল- খৃষ্টধর্মে উৎপত্তি তত্ত্ব (Genesis) থেকে বাইবেলের অসংখ্য অধ্যায়ে ও পদে নারীকে পুরুষের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি ও পুরুষের দাসত্ব স্বীকার করার বিধি ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

# পুরুষকে নারীর জন্য সৃষ্টি করা হয়নি, কিন্তু নারীকে পুরুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।(1 Corinthians 11:8-9)

# স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের প্রতি আত্মসমর্পণ করবে, যেমন গডের প্রতি তারা আত্মসমর্পণ করে। (Ephesians 5:22)

# আর আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা করা হবে; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে, এবং তুমি তার গোড়ালি চূর্ণ করিবে।(অর্থাৎ নারী এবং পুরুষ একে অপরের শত্রু) (Genesis 3:15)

# স্ত্রীর কাছে ব্যাপকভাবে স্বামীর দুঃখ ও তো ধারণা সংখ্যাবৃদ্ধি হবে, এবং তোমার বাসনা স্বামীতে হতে হবে এবং সে তোমার ওপর কর্তৃত্ব করবে।(Genesis 3:16)

# তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে করা ব্যভিচারের সামিল – অর্থাৎ তালাকপ্রাপ্তা নারী পুনরায় বিয়ে করতে পারবে না।(Matthew 5:32)

# কিন্তু আমি আপনার প্রতি মানুষের মাথা খ্রীষ্টের যে, জানতে হবে; স্ত্রীর মস্তক মানুষ এবং খ্রীষ্টের মাথা ঈশ্বর।(1 Corinthians 11:3)

# পুরুষ শিশু জন্ম দিলে মা’কে সাত দিনের জন্য অপরিষ্কার থাকতে হবে, অন্যদিকে নারী শিশু জন্ম দিলে মা’কে পনের দিনের জন্য অপরিষ্কার থাকতে হবে।(Leviticus 12:2-5)

# মহিলার সমস্ত পরাধীনতা এবং তার সঙ্গে নীরবতা জানতে চলুন শুরু করা যাক-

# একজন মহিলার শান্তিপ্রিয়তা এবং সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ শেখা উচিত।আমি কোন নারীকে শিক্ষা দিতে বা পুরুষের উপর কর্তা অনুমান করার অনুমতি দিই না।সে অবশ্যই চুপ থাকবে।(1 Timothy 2:11-12)

# বনি-ইসরাইলদের বল, যদি কোন লোক মারা যায় এবং ছেলে পরিত্যাগ করে, তাহলে তার মেয়েকে তার উত্তরাধিকার দিতে।(Numbers 27:8)

#. নারী হচ্ছে ফাঁদ, তার হৃদয়ও ফাঁদ, এবং তার হাত হচ্ছে শিকল। যে পুরুষ তার গডকে সন্তুষ্ট করে সে নারীকে এড়িয়ে চলবে, কিন্তু নারী চেষ্টা করবে পাপী পুরুষকে ফাঁদে ফেলতে। যেখানে প্রতি হাজার পুরুষের মধ্যে একজন ন্যায়বান পুরুষ খুঁজে পাওয়া সম্ভব সেখানে প্রতি হাজার নারীর মধ্যে একজন ন্যায়বান নারীও খুঁজে পাওয়া যাবে না।(Ecclesiastics 7:26-28)

# পুরুষ যদি পশুর সাথে সেক্স করে তাহলে সেই পুরুষ এবং পশুকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। অন্যদিকে নারী যদি পশুর সাথে সেক্স করার জন্য কেবল অগ্রসর হয় তাহলে সেই নারী এবং পশুকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।(Leviticus 20:15-16)

# পুরুষ যদি তার স্ত্রীর মধ্যে কিছু অশুচিতা খুঁজে পায় তাহলে স্ত্রীর হাতে তালাক পত্র ধরিয়ে দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে হবে।(Deuteronomy 24:1)

#কুমারীত্বের টোকেন কুমারী্র জন্য পাওয়া না হয়ে থাকে, তখন তারা তার পিতার বাড়ির দরজায় কুমারী বের করে আনা হবে, তার শহরের লোকেরা পাথর নিক্ষেপ করবে তার উপর এবং সে মারা যেতে পারে। ইসরাইলদের মধ্যে সে লজ্জাজনক কাজ করেছেন, কারণ তার পিতার বাড়ীতে বেশ্যা খেলতো। অতএব তোমাদের মধ্যে থেকে দুষ্টাচার লোপ করিবে।(Deuteronomy 22:20-21)

# শমরিয়া অবশ্যই শাস্তি পাবে; সে তার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন: তারা যুদ্ধে মারা পড়বে: তাদের সন্তানদের টুকরো টুকরো করে ছিন্ন হইবে, এবং সন্তানের সঙ্গে তাদের গর্ভবতী মেয়েদের ছিঁড়ে ফেলা হবে।(Hosea 13:16)

#. নারী শিশুর জন্ম মানে ক্ষতি।(Eccles. 22:3)
(পর্ব আকারে লেখা হচ্ছে, চলতে থাকবে)

পুরুষ রচিত ধর্মের চোখে নারী –পর্বঃ০১ (হিন্দু ধর্ম)

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৬

বিজয় বচন

                                                                  ১-৩১-২০১৭
# ধার্মিকদের পাপ,পূর্ণ, সহি এবং অসহি বুঝতে গিয়ে যদি অমানবিক হতে হয়, তবে তাই হয় ধর্মকে পুজি করে পরকাল নামক অলৌকিক সুখ এবং ভয়ের জন্য।--বিজয়

# যে সকল পুরুষ নারীদের সর্বাঙ্গ দোষ খুজে বেড়ায় সে সকল পুরুষই মূলত নীতি ভ্রষ্ট। আবার যে সকল নারীও পুরুষের সর্বাঙ্গ দোষ খুজে সে সকল নারীও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় আত্মমগ্ন।--বিজয়

# জিতে গেছি তুমি আর আমি,জিতে গেছে আমাদের ভালোবাসা কিন্তু হেরে গেছে সম্পর্ক।--বিজয়

# পরকালের লোভ লালসা এবং ভয় দেখিয়েই একজন মানুষের চিন্তাশক্তিকে নির্দিষ্ট গণ্ডীতে বেধে রাখা যায় বিশেষ কোন প্রশ্ন এবং তার উত্তর খোঁজার সুযোগ না দিয়ে।--বিজয়

# কর্ম,পেট কিংবা অর্থের অভাবে শরীর বিক্রি করায় একটি মেয়েকে বেশ্যা বলে আখ্যায়িত করে অন্য চোখে দেখে আমাদের সমাজের প্রায় প্রতিটি লোকই কিন্তু যারা বিবেক-বুদ্ধি বিক্রি করে দিয়ে দেশ, জাতী কিংবা সমাজের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে কেও সহজে মুখ খুলে না বরং তাদের সামাজিক কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান অতিথি,বিশেষ অতিথি করে মঞ্চায়িত করে পুরুষ্কার প্রদান করতে কার্পণ্যবোধ করে না।--বিজয়

# মানুষ তখনি অহংকারি হয়, যখন সে তার যোগ্যতার চেয়ে বেশি কিছু পায়।--বিজয়
 
# জীবনটা আজ সাদা পাতা,লেখার নেই কিছু ,তবু মরুভূমিতে দাড়িয়ে আছি আমি আর আমার ছায়া।শুধু মাত্র মরুভূমির বালুর ঝড়ে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য।--বিজয়

# বাংলাদেশ একটি বৃহত্তর অসাম্প্রদায়িক দেশ।যেখানে সংখ্যালঘু জন সাধারণের জন্য বিচার পাওয়া অস্বাভাবিক এবং বিচার না পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা।--বিজয়

# ধর্ম বিশ্বাসের সাথে অবশ্যই ঈশ্বর জড়িত,কিন্তু ঈশ্বর বিশ্বাসের সাথে ধর্ম বিশ্বাস জড়িত হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।কারণ ধর্ম কেবলই মাত্র ইহকাল এবং পরকাল মতবাদের ঈশ্বর কেন্দ্রিক ব্যাখ্যা।--বিজয়

# সুখে থাকার উপায় হলো স্ত্রীর প্রথম ডাকে সাড়া দেওয়া আর নিজের সপ্তম ডাকেও স্ত্রী সাড়া না দিলে মাইন্ড না করা!--বিজয়

# কোন ভালোবাসার সম্পর্কই যেহেতু যুক্তি দিয়ে হয়না,সেহেতু সম্পর্কের পরে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝির কারণ একে অপরকে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর কোন মানেই হয় না।--বিজয়

# পৃথিবীতে একটা জায়গা নিয়ে থাকা মানেই কেবল মনের স্বান্তনা। কারণ আজ আছিতো কাল নাই, কেবলই সময়ের ব্যবধান।--বিজয়

# মুখ বলে বিদায়,মন বলে বিদায় শব্দটাকেই বিদায়৷--বিজয়

# কবি,লেখক,শিল্পী কিংবা যেকোন সৃজনশীল মানুষদের মৃত্যু নাই,আবার অনেকে বেচে থাকতেই অমরত্ব লাভ করেন।তিনি বেচে থাকেন তার সৃজনশীল কর্মগুলোর মাঝে আজীবন।

# আমরা নিজেরা নিজের মতই কিন্তু সবাই অন্যর সাথে অন্যের তুলনা করতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।হোক সেটা ভালো কিংবা মন্দ কিছু।--বিজয়

# সুশীলতা ভালো কিন্তু অতীসুশীলতা কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতোই বলা যায়।

# সম্পর্কের পিছুটান এমন সত্ত্বা নেই, বিশ্বাসে ভরা আত্বাও নেই। আমি আমিই,কবে থেকে শুরু জানিনা, শেষটা জানার ইচ্ছে নেই। শুধু ভাবি চলুক না যেমন চলছে।এ দিল কখনো ভুল ঠিকানায় নিয়ে যাবে না।আর গেলেও খুব একটা মন্দ হবে না,তবে কঠিন মুহূর্ত পার করতে হতে পারে অনিশ্চিত ভাবেই।--বিজয়

# দেখতে ভালো হলেও,ভালো মানুষ হয় না অনেক ক্ষেত্রে।ভালো মানুষ হতে হলে, ভালো একটা মনের দরকার হয়।--বিজয়

# শূন্যতা ও অপ্রাপ্তির খাতায় সাদা পাতা নেই!--বিজয়

# ভগবান অসীম ক্ষমতার অধিকার।সে এক এবং নিরাকার।তার জন্ম কিংবা মৃত্যু নাই।সে চির অমর।কথা গুলা সহজেই মেনে নিতে পারে বিশ্বাসীরা।আমারও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে না।কিন্তু কথা হচ্ছে শ্রী কৃষ্ণকে ভগবান মানা হয় কি করে!তার মামা কংশকে বধ করার জন্য তার জন্ম হয়েছিলো।যার জন্ম হতে পারে তাহলেতো সে অবশ্যই ভগবান না।এটা আমার কথা না।গীতায় বলা আছে,ভগবানের জন্ম এবং মৃত্যু নাই।তাহলে অবশ্যই বলা যায় কৃষ্ণ কোন ভগবান না।আর যদি সে ভগবান হয় তাহলে গীতার কথা মিথ্যা।ধর্ম বলতেই এমনই গাঁজাখুরি কিছু গল্পের জমজমাট ব্যাবসা।--বিজয়

# আমরা নিজেরা নিজের মতই কিন্তু সবাই অন্যর সাথে অন্যের তুলনা করতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।হোক সেটা ভালো কিংবা মন্দ কিছু।--বিজয়

# অনেক সময় ভুল মানুষটি শিখায় সঠিক মানুষকে খুঁজে নিতে।--বিজয়

# জীবনটা অনির্দিষ্ট পৃষ্ঠার বিরক্তকর অধ্যায়,যার শেষ বলে কিছু নাই।–বিজয়

# ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের বিশ্বাস করা যায় কারণ তাদের আদর্শ এবং নীতি আছে এবং নিজের বিশ্বাসের আত্মবিশ্বাসও প্রবল,অন্যদিকে মডারেট ধার্মিকদের বিশ্বাস করলেন তো নিজের পায়ে নিজে কোঠার মারলেন।কারণ এরা আপনাকে মারবেও না আবার না মেরে ঝুলিয়ে রাখার মত কাজ করতে দ্বিধাবোধ করবেনা।–বিজয়

# আমার ভালো কাজের কৃতিত্ব স্রষ্টা ঠিকই নিতে জানে।লোকে এই বলে যে, স্রষ্টা যা করে ভালোর জন্যই করে অথবা সবই স্রষ্টার ইচ্ছায়,কিন্তু অন্যদিকে আমার খারাপ বা ভুল কাজের জন্য আমার এবং আমার বিবেকের মাশুল দিতে হয় যেখানে স্রষ্টার কোন ইচ্ছা বা দোষ থাকে না।–বিজয়

# ধর্ম বিশ্বাসীরা আসলে যতটুকু ধর্ম-কর্ম না করে,না মানে;তার থেকে বেশী আঘাত পায় যখন তার ধর্ম নিয়ে কেও একজন সমালোচনা করে।আসল কথা হলো মনে না আছে ধর্ম তবে কি হয়েছে! চেতনায় তো আছে ধর্মীয় অন্ধত্ব।–বিজয়

# দেখতে ভালো হলেও,ভালো মানুষ হয় না অনেক ক্ষেত্রে।ভালো মানুষ হতে হলে, ভালো একটা মনের দরকার হয়।–বিজয়

# মানুষের কষ্টের এবং সুখের দুই কান্নাই দেখা যায়,কিন্তু কান্নার সাথে মিশে থাকা অনুভূতি গুলো দেখা যায় না তবে অনুভব করা যায় কান্নার কারণ।–বিজয়

# একজন লেখকের বইয়ের পাতা আপনার কাছে অতি মূল্যবান হলেও কিন্তু বাদামওয়ালার কাছে তা কেবলমাত্র ঠুংগাই।ঠিক তেমনি একজন অপরাধী যে ধর্ম,গোষ্ঠী,রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন সে কেবল অপরাধীই।–বিজয়

# এক একটি নতুন দিন পাওয়া মানে আরো একটা দিন বেশী বেচে থাকা।তাই প্রতিটা দিনকেই উচিত কোন না কোন ভাবে ভালো কাজে লাগানো কিংবা জীবনটাকে উপভোগ করা।কারণ আগামীকাল আপনার জীবনে নাও আসতে পারে।–বিজয়

# যে ব্যক্তি আপনার দোষ ধরে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সে বন্ধু না হলেও শত্রু না,কিন্তু যে আপনার বন্ধু হিসাবে পরিচিত,আপনার ভুল দেখেও চুপ করে থাকতে পারে তাকে বন্ধু ভাবা আর পিছন পিছন শত্রুর তাড়া খাওয়া কিংবা জীবন বিপন্ন করে শত্রুকে সাথে নিয়ে পথ চলা একই কথা।–বিজয়

# কাগজের নৌকা দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু তা দিয়ে কখনো নদী পার হওয়া যায় না । ঠিক তেমনি আবেগ দিয়ে বাস্তব জীবন চলে না।--বিজয়

# তুমি আকাশ দেখেছ, পাহাড় বেয়ে আসা ঝরনা দেখেছ,বয়ে যাওয়া উত্তাল হাওয়ার স্পর্শ নিয়েছ,দেখেছ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, শুধু দেখনি আমার মনের হাহাকার আর পারনি আমার না বলা জমে থাকা কষ্টের স্পর্শ নিতে।--বিজয়

# ধর্ম,জাতি,বর্ণই পারেই মানবতা এবং মনুষ্যত্বের মৃত্যু ঘটিয়ে বৃহত্তর গোষ্ঠীর মাঝে বিবেদ সৃষ্টি করে হানাহানি,হিংসাত্বক এবং ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ড ঘটাতে।–বিজয়

# সব সময় নিজের সিদ্ধান্ত কে প্রাধান্য দেয়া উচিত, নিজের সিদ্ধান্তে যদি কেউ ব্যর্থ হয় বা সফলতা না অাসে তাও ভালো। তবে অন্যের সিদ্ধান্তে কাজ করে ব্যর্থ হলে দোষ টা চলে যাবে সিদ্ধান্তদাতার,যদিও তুমি বিবেকহীন না।--বিজয়

# অন্ধভাবে অন্যের দেখানো পথ অনুসরণ করা মানেই নিজের পায়ে কুড়ালের আঘাত করা।আর যখন আপনি অন্যের দেখানো পথ অন্ধভাবে অনুসরণ না করে নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে তার দেখানো পথের অনুকরনে চলবেন তখনই আপনি দ্বিতীয় পথ খুজে পাবেন এবং নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।--বিজয়

# যদি ঘুমের থেকে প্রার্থনা উত্তম হয়,তাহলে প্রার্থনার থেকে ভালোবাসা উত্তম।কারণ, মানুষ ঘুম এবং প্রার্থনা নির্দিষ্ট সময় পরপর করে অন্যদিকে ভালোবাসার জন্য কোন সময় নির্ধারণ করা নাই।–বিজয়

# যে হারায় সে আর ফিরে না,মিছে মরিচিকায় তার পিছু নিয়োনা।কতো কতো কথা রয়ে যায় মনের গহীনে,রয়ে যায় পুরোনো স্মৃতি।অনুভব হয় মনের গহীনে একাকীত্ব,এক একটা দিন ধূলাবালি মাখা সারাটা প্রহর।যতদূরে যাস অন্যের ছায়ায়,বারে ফিরে তাকাতেই হবে সেই পুরোনো মায়ায়।

# কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়। তাদের ভালোলাগা, মন্দলাগা, হাসি-কান্না গুলো বলার মত কেউ থাকে না। তাদের কিছু অব্যক্ত কথা মনের গভীরেই খেলা করে, আর কিছু কিছু স্মৃতি দীর্ঘশ্বাসে পরিনত হয়ে চাতক পাখির ন্যায় দিনের পর দিন কেটে যায় চাপা কান্নায়।–বিজয়

# ধর্ম যেমন মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীতে পরিনত করে দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে শিখিয়েছে,ঠিক তেমনই ধর্ম এক গোষ্ঠীর লোকের প্রতি অন্য গোষ্ঠীর লোকের চোখে ঘৃণা,বিদ্বেষ,হানাহানির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মাঝে বিবেদ সৃষ্টি করেছে।–বিজয়

# নাস্তিক,বিধর্মী,লেখক,প্রকাশক,নারীবাদী,প্রগতিশীলদেরকে দেশ থেকে তাড়ানো,হত্যার হুমকি,হত্যাসহ কল্লার মূল্য নির্ধারণ করে স্লোগান দিতে অনেক মূল্যাকেই রাজপথে নেমে আসতে দেখা গেছে,কিন্তু আজ যখন জংগীরা অতর্কিত হামলা করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে তখন তারা কেবল মাত্র ফতোয়া দেওয়া ছাড়া নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।–বিজয়

# জীবন নামের অসমাপ্ত গল্পের তখনই পতন ঘটে.যখনই মৃত্যু অতি সন্নিকটে এসে কড়া নাড়ে।–বিজয়

# মেধাবী,বুদ্ধিমান,বিবেকবান এবং সুস্থমস্তিষ্কের মানুষ কখনো জংগী হয় না,জংগী হয় ধর্মান্ধ,অন্ধকারছন্ন বিবেকহীন মানুষ।–বিজয়

# আমাদের রাজনীতিবিদরা দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানিয়ে আজ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলে দাবি করে মায়া বড়ি বিক্রি করছে।–বিজয়

# ধর্ম কেবলই একটা মতবাদ,যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ঐশ্বরিক শক্তিতে আস্থা রাখার প্রয়ান চেষ্টা ,কিছু ধর্মীয় বিধি-বিধান ধার্য এবং অাধিপত্ত বিস্তারের অপকৌশল মাত্র।–বিজয়

# বিশ্বাসীরা তার কাল্পনিক ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য যে সময়টুকু বিভিন্নভাবে ব্যয় করে,ঠিক ওই সময়টুকুই যদি বিশ্বাসীরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং সকল প্রানীকূলের জন্য ব্যয় করতো তাহলে এই ভূবন আরো বেশী সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল হত।–বিজয়

# যার কোন শরীক নেই,তার কোন অস্তিত্বও নাই।–বিজয়

# টাকা আর মাছ ধরা এমনই এক নেশা যতই পাবে ততোই ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মানুষ।--বিজয়

# অতি চালাক রং বদলানো বন্ধু থেকে বুদ্ধিমান শত্রু উত্তম।–বিজয়

# ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে ঠিক ততটাই বোকা বানাতে পারে,যতটা বোকা হলে মানুষ কেবলমাত্র ধর্মের ব্যাপারে দ্বিমতপোষন কিংবা সমালোচনাকারীকে ক্রোধের বসে ভিন্নমতের মানুষকে হত্যা করতে কোন দ্বিধাবোধ করে না।–বিজয়

# নিঃস্বার্থভাবে নিকোটিনের ধোঁয়াই কেবল বেখায়ালীদের সঙ্গী হয়ে রাত জেগে পাহারা দেওয়া থেকে শুরু করে দিনের আলোতেও আড্ডা দিতেও এতটুকু কার্পণ্যবোধ করে না।–বিজয়

# একমাত্র ভন্ড এবং চতুর লোকেরাই পারে মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করতে।–বিজয়

# ছেলেরা মেয়েদের মত হাউমাউ করে কিংবা ফুঁপিয়ে কাঁদতে জানে না ঠিকই কিন্তু তারা আপন মনে নিকোটিন পুড়াতে পারে,গভীর রাতে নিরবে বালিশ ভিজাতেও পারে,আর তারা দু:খকে আপন করে চাঞ্চল্যকর হাসি মুখেই বলতে পারে ভাল আছি, তুমিও ভাল থেকো।–বিজয়

# মানুষ তখনই সমালোচিত হয়,যখন তার ভালো কিংবা খারাপ দিকটা অন্যের নজরে আসে।–বিজয়

# যেখানে আমাদের সমাজে ছোট থেকেই ধারণা দেওয়া হয় যে কালো পিপড়া মুসলমান আর লাল পিপড়া হিন্দু সেখানে আমরা কিভাবে অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখি তা আমার বুঝে আসে না।—বিজয়

# সৃষ্টিকর্তা এবং ঘোড়ার ডিম দুইটা একই এক ঘাটের মাঝি।যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নাই কিন্তু মানুষের মুখে মুখে কাল্পনিক হলেও টিকে আছে বছরের পর বছর ধরে।–বিজয়

# মানুষের জীবনে কষ্ট বলতে কিছু নাই। যা কিছু হয় তা কেবলই বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা।–বিজয়

# ধর্মানুভূতি এমনই এক আফিম যে,একজন সুস্থ সুন্দর মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটিয়ে ভিন্নমতের লোক হত্যা কিংবা ধর্মের রোষনলে পড়ে দেশ বিভাগ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।যেমন হিন্দুস্থান এবং পাকিস্তান যেভাবে বিভাজন হয়েছিল।–বিজয়

# কাগজের নৌকা দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু তা দিয়ে কখনো নদী পার হওয়া যায় না । ঠিক তেমনি আবেগ দিয়ে বাস্তব জীবন চলে না।–বিজয়

# বাস্তব থেকে কল্পনার জগতটাই ভালো,কারণ বাস্তবে অনেক উস্থান-পতনের মধ্যেই জীবনের শেষ ঘন্টা বেজে যায়।অন্যদিকে কল্পনায় সবকিছুকেই নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়া যায়।যেখানে উস্থান আছে পতন নাই।–বিজয়

# কলম এবং কলমের খোচায় সৃষ্ট বর্ণ তখনই আঘাত প্রাপ্ত হয়,যখন কলম ও কলমের খোচায় সৃষ্ট প্রতিটা বর্ণ সৎ ও ন্যায়ের পথে থেকে বিপ্লবী আওয়াজ তুলে।–বিজয়

# কিছু মানুষ তার রাগ অভিমান গুলো প্রথমে প্রকাশ না করে হাসি মুখে অনবরত চেপে যায়,কিন্তু যখন রাগ অভিমান প্রকাশ করে তখন বুঝা যায় সে কতটা হৃদয়হীনা।–বিজয়

# প্রিয় মানুষগুলা যখন বিরক্ত এবং ভুল করতে করতে এমন এক পর্যায়ে চলে যায় তখন চাইলেও তার সাথে আর আগের মত চলার আগ্রহ থাকে না।তবে হয়তো মনে,ঠিক আগের মতই ভালোবাসা থাকে যা কখনো আর প্রকাশ হয় না।–বিজয়

# লোভ যখন জাগ্রত,বিবেক তখন ধর্ষিত।–বিজয়

# যেখানে আমাদের সমাজে ছোট থেকেই ধারণা দেওয়া হয় যে কালো পিপড়া মুসলমান আর লাল পিপড়া হিন্দু সেখানে আমরা কিভাবে অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখি তা আমার বুঝে আসে না।—বিজয়

# যান্ত্রিক জীবনে পথ চলায় অন্যের উপর আস্থা বা বিশ্বাস রাখা আবশ্যক তবে বিশ্বাসের উপর নির্ভশীল হয়ে পরাটা বোকামী বৈকি আর কিছু না।–বিজয়

# আমাদের বিচিত্র সমাজের মেয়েরা ধর্মকে অগাধ বিশ্বাস করে শিব বা কৃষ্ণের পূজা দিয়ে তাদের মত সুদর্শন ছেলের বর মনে মনে চেলেও কিন্তু তারা শিবের মত গাজা টানা ছেলে কিংবা কৃষ্ণের মত লীলাবাজ ছেলে কিংবা ধর্মীয় নীতি অনুসারে মেয়েরা চার সতীনের ঘর সংসার করতে নারাজ।–বিজয়

# শিশুকালে অবুঝ মন খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে চায়,কিন্তু যখন সে বড় হয়ে যায় তখন সে আবার শিশুকাল ফিরে পেতে চায়,যা কখনো সম্ভব না।–বিজয়

# ব্যক্তি স্বাধীনতাহীন জীবন আর গৃহপালিত পশুর জীবনের মধ্যে খুব বেশী তফাৎ নাই।–বিজয়

# পূন্য কিংবা কাল্পনিক শিবকে সন্তুষ্ট করার জন্য শিবের মাথায় দুধ ঢেলে যে আত্মতৃপ্তি বা পূন্য পাওয়া যাবে,তার থেকে বেশী আত্মতৃপ্তি বা পূন্য পাওয়া যাবে পাশের বাড়ীর অনাথ শিশুর মুখে এক গ্লাস দুধ তুলে দিয়ে।–বিজয়

# রাতের নিরবতা মানুষকে চিন্তা করতে শেখায়,আর স্বপ্ন মানুষকে জেগে তুলে।–বিজয়

# একজন মানুষের মিথ্যা প্রলাপ ততক্ষন পর্যন্ত মেনে নেওয়া যায়,যতক্ষন না পর্যন্ত ঐ মানুষের মিথ্যা প্রলাপ অন্যকে স্পর্শ না করতে পারবে।–বিজয়

# একজন ভালো মানুষ হতে হলে প্রথমে সেই মানুষটির চারিত্রিক এবং মানসিক উন্নতি হওয়া বাঞ্চনিয়।–বিজয়

# ধার্মিক বা আস্তিকরা যেমন নাস্তিকের অবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে,ঠিক তেমনই নাস্তিকরা ধার্মিক বা আস্তিকদের বিশ্বাস নিয়ে চুটকি বানায়।কারণ দুই দলই ভিন্ন দুই যুক্তির পথে অগ্রসরমান এবং একে অপরের সাথে সাপে নেওলে সম্পর্ক বিশ্বাসের দিক থেকে।–বিজয়

# জন্মের পর থেকেই প্রতিটি প্রানী ধীরে ধীরে পুরাতন হতে থাকে মৃত্যু পর্যন্ত।কিন্তু মৃত্যুর পর হয়ে যায় কেবলই অতীত মাত্র।–বিজয়

# মিলন যেমন সুখের ঠিক তেমনই বিচ্ছেদ বেদনাদায়ক।কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য আমাদের প্রানীকূলের প্রত্যেক প্রানীর কোন না কোন সময় বিচ্ছেদ ঘটবে এই বিশ্বব্রহ্মান্ড থেকে।—বিজয়

# যদি কোন আস্তিক ব্যক্তি তার ধর্মের ঐশ্বরিক কিতাবের উপর কোনরুপ সন্দেহ প্রকাশ করলে যেমন নাস্তিক-মুরতাদ হয়ে যায়,ঠিক তেমন কোন ব্যক্তি যদি নিজের দেশের ইতিহাস সংস্কৃতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে সেও একজন খাটি বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর।–বিজয়

# জীবনে চলতে গেলে ছোট বড় অনেক স্বপ্নই দেখতে হয়।স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত না হলেও হতাশ হওয়াটা এক ধরনের মানসিক রোগ।কারণ স্বপ্নের মৃত্যু নেই,স্বপ্ন অবিচল।–বিজয়

# জীবনের পথ পাড়ি দেওয়াটা খুবই কঠিন।মানুষ এই কঠিন কাজটাই খুব সহজ ভাবে প্রতিনিয়ত করে যায়।তবুও জীবনে চলতে হবে অনিশ্চিত গন্তব্যে।–বিজয়

# সময়ের হাত ধরে প্রত্যেক মানুষেরই চলতে না চাইলেও চলতে হয়।যদি কেও সময়ের হাত ধরে সঠিক সময়ে সঠিক পথ পাড়ি দিতে পারে তবেই সে স্বার্থক হতে পারে।আর যদি সময়ের হাত ছেড়ে গা ভাসিয়ে দেয়,তবে সে অনায়াসে কালের গহ্বরে তলিয়ে যাবে।–বিজয়

# আমি তখনই তোমাকে ভালোবেসেছি,যখন বুঝতে পারছি তোমার কোন কিছু তোমাতে থেকে আমাতে পরিনত হয়েছে।–বিজয়

# আপনাকে খুশি করার জন্য আমার জন্ম হয়নি।আমার জন্মই হয়েছে নিজের মত করে স্বাধীনচেতা হয়ে বেচে থাকার জন্য।–বিজয়

# আমি ততক্ষন জীবিত, যতক্ষন না আমি লাশ হচ্ছি।–বিজয়

# বিনিয়োগ করা অবশ্যই ভালো কথা।কিন্তু বিনিয়োগ করে দেওলিয়ার সংখ্যা নেহাতও কিন্তু কম না।হোক সেটা অর্থ অথবা হৃদয় বিনিয়োগ।–বিজয়

# একটা দেশ কিংবা রাষ্ট্র প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার অধিকারী হলে এক শতকে যতবেশী আধুনিক এবং উন্নয়নশীল হবে,তার থেকে দশগুন বা তারও বেশী পিছিয়ে পরবে যদি ঐ রাষ্ট্র কিংবা দেশে পূর্ন ইসলামিক শাসন ব্যাবস্থায় পরিচালিত হতে থাকে।--বিজয়

# একজন মানুষ আপনার কাছে ততোদিন পর্যন্ত বিশ্বাসী,যতদিন না পর্যন্ত আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করবে।–বিজয়

# আপনি আস্তিক,নাস্তিক কিংবা যাই হোন না কেন,আপনার মাঝে যদি মনুষ্যত্ব বোধ না থাকে তাহলে আপনি বিষাক্ত সাপের থেকেও বিপদজনক।–বিজয়

# আমরা বাংগালী জাতী আমাদের অবুঝ সন্তানদের ছোট থেকেই বড় ধরনের কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখাই,কিন্তু প্রকৃত মানুষ হওয়ার কথা বলি না।--বিজয়

# কাওকে বিশ্বাস করা ভালো,তবে অতিবিশ্বাস করাটা একান্তই বোকামী।--বিজয়

# আপনার কাছে কিছু সময় তখনই মূল্যবান হবে,যখন আপনি কোন কিছু হারিয়ে ফেলবেন অথবা অর্জন করবেন।--বিজয়

# যতদিন না আপনি সত্যিকারের মানুষ হচ্ছেন ততোদিন আপনার ডিগ্রীধারী শিক্ষিত হওয়ার কোন মূল্য নেই।–বিজয়

# জীবনের ছোট বড় প্রতিটা পদক্ষেপই একেকটা যুদ্ধের সমতুল্য।কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে একটা ভুল সিদ্ধান্তই পরাজয়ের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে,ঠিক তেমনই জীবনের একটা ভুল সিদ্ধান্তই সকল আশাকে অতল সমুদ্রে ফেলে সক্ষম।–বিজয়

# অতি চালাক এবং বোকারাই সহজ কথাটিকে সহজভাবে না বলে,বিভিন্ন ইংগিতে প্যাচিয়ে জটিল রুপে উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে।–বিজয়

# মানুষের জীবনের প্রতিটা কষ্টই বাস্তবতাকে আকড়ে ধরে বেড়ে উঠে।–বিজয়

# কোন মেয়ে যদি একের অধিক ছেলের সাথে সহবাস করে তাহলে সে হয় অবহেলিত ব্যশ্যা।আর পুরুষ যদি একাধিক মেয়ের সাথে সহবাস করে তাহলে সে হয় গর্বিত বাদশা।আজব দুনিয়ার আজব সমাজ আবার স্পেডকে স্পেড বলতে নাক ছিটকায়।–বিজয়

# চারিদিকে শুধু বিশ্বাস আর বিশ্বাস।কিন্তু কেও কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে পারেনা,যদি না সে কোন পরক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে প্রমান না পায়।কিন্তু মানুষ বিচিত্র ভাবেই চারিদিকে গড়ে তুলেছে রুপকথার কাল্পনিক বিশ্বাস।আর এই বিশ্বাসই তাদের ভাগ করে দিছে ধর্ম,জাতি,গোত্র,বর্ন,আরও কত কি?কিন্তু এটা কেও মানতে চায়না যে,মনুষ্যতের উপরে কোন ধর্ম নাই।তাই আপনাকে ওই রুপকথার কাল্পনিক বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেই চলতে হবে।তাছাড়া আপনার ওই পাশের লোকটি অস্বস্তিবোধ করবেন।এবং কি কোন কোন সমাজ আপনাকে চরম বিপত্তিতে ফেলে আপনার কল্লার মুল্য নির্ধারন করবে।–বিজয়

# যেখানেই প্রশ্ন করার নিষেধাজ্ঞা আছে,সেখানেই এমন কোন দূর্বল ভিতি আছে যার খোলস উন্মোচন হবে প্রশ্নেই কেবলমাত্র ।—বিজয়

# মূর্খ বাঙ্গালী বিদ্যা গ্রহন করে সম্মানের সহিত ভাত অর্জনের জন্য,জ্ঞান অর্জনের জন্য নহে শিক্ষিত সমাজ।–বিজয়

# ধর্ম রক্ষার নামে ধর্মে যেমন মানুষ হত্যার মত অপরাধকে বৈধতা দিয়েছে,তেমনি ধর্ম অনেক অপকর্মকেও চোখে আংগুল দিয়ে অপরাধ বিষয়টাকে বুঝিয়ে দিছে পরকালের বিভিন্ন রকম শাস্তির বিধান রেখে।—বিজয়

# মানুষের মত মানুষ হতে হলে ধার্মিক না হয়েও সৎ ও ন্যায় পরায়ন হওয়া যায়,কিন্তু সৎ ও ন্যায় পরায়ন না হয়েও সৃষ্টিকর্তার নাম জবেই শুধু ধার্মিক হওয়া যায়।–বিজয়

# মানুষ যেদিন থেকে ঐশ্বরিক সকল ভয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুঝতে পারবে যে তার মৃতদেহের কোন মূল্য নাই,আর ঠিক তখনই মানুষের উপকারের জন্য চিকিৎসা শাস্ত্রে তার মৃতদেহকে মৃত্যুর পূর্বে দান করে যাবে।–বিজয়

# ডিগ্রীধারি শিক্ষিত হওয়ার আগে মানুষ হওয়াটাই শ্রেয়।নয়তো তোমার সকল অপকাজের দোষ হবে ওই অর্জিত ডীগ্রীর।—বিজয়

# সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু মাত্রই একজন পিতার জন্ম হওয়া।–বিজয়

# অন্যরা যা করতে বলে তা করাটা একান্তই বোকামী।বরং আপনি অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে,তারপর আপনার কাছে যেটা গ্রহণযোগ্য মনে হবে তাই করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।–বিজয়

# প্রতিটি শব্দই সৃষ্টি হয় নি:শব্দে হারিয়ে যাওয়ার জন্য।–বিজয়

# মানুষ তখনই সম্মানিত বা অসম্মানিত হয়,যখন সে তার চরিত্র স্থান,কাল,পাত্রভেদে বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।–বিজয়

# কথা বলার ধরনই হলো আন্তরিকতা বোঝার মাপকাঠি।—বিজয়

# শানিত কর তোমার বুদ্ধিমত্তাকে,যদি শ্ত্রুর হৃদপিন্ডে আঘাত করতে চাও।—বিজয়

# বিশ্বাসীদের সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর ঐশ্বরিক ভয় দেখিয়ে পরকালের প্রলোভন করে মানুষকে বোকা বানায় নিই,মানুষকে বোকা বানিয়েছে ঐ পুঁথিগত ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মগুরুরা।—বিজয়

# কোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাও সাধারন মানুষের সিমপ্যাথী নিয়ে,তাহলে তার আগে ধর্মের দোহাই দিয়ে তোমার উদ্দেশ্য ব্যক্ত কর।—বিজয়

# কোন ব্যক্তি যদি ধর্ম গ্রন্থ গুলো যুক্তি-তর্কের মাধম্যে নিজ জ্ঞানে পড়ে তাহলে সে হবে ধর্ম বিচ্ছিন/নাস্তিক।কেবল মাত্র ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ধর্মগ্রন্থগুলো পড়লে হবে আধুনিক ধার্মিক/প্রগতিশীল ধার্মিক।ধর্ম গ্রন্থগুলোতে যা আছে তা অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে পড়লে হবে ধর্মান্ধ/বর্বর হিংসাত্বক ধার্মিক।—বিজয়

# আমি কোন জাত-ভেদ,ধর্মের দুনিয়া চাই না,আমি মানুষের দুনিয়া চাই।আমার বড় পরিচয় আমি মানুষ এবং আপনারাও মানুষ।–বিজয়

# জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য,সৃজনশীলতা,প্রগতিশীল কিংবা সংস্কারক মনোভাব, চিন্তা-চেতনা ইত্যাদির উন্নতি ও উন্মেষ ঘটতে দেখলেই ধর্মের দোহাই দিয়ে ভণ্ড মৌলবাদীরা তার গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছে এবং করেছেও।–বিজয়

# জীবনটাই একটা ইস্টিশন,যেখানে রয়েছে যাত্রীদের প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে থাকার মত হতাশা,আবার ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছার মত মুখ ভরা হাঁসি।—বিজয়

# তারাই পৃথবীর সব থেকে বেশী মূর্খ,যারা চিন্তা শক্তিতে যথেষ্ট দরিদ্র।–বিজয়

# প্রত্যেক ছেলেই তার প্রেমিকা কিংবা বান্ধবীকে বিছানায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে,কিন্তু যখন পাশের বাড়ীর অবিবাহিত মেয়ের প্রেগন্যান্টের কথা শুনে তখন নাক ছিটকাইতে দ্বিধাবোধ করে না।–বিজয়

# প্রত্যেক প্রগতিশীল বিপ্লবীদের সমাজতান্ত্রিক হওয়ার আগে মনে প্রানে অবশ্যই জাতীয়তাবাদী হতে হবে।নতুবা কোন বিপ্লবী সফল হতে পারবেনা তার সমাজতন্ত্রে।–বিজয়

# তোমাদের হিংস্রতা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে কিন্তু আমাদের চিন্তা শক্তিকে না।—বিজয়

# মানবতার দেহ সেখানেই নিথর যেখানে হিংস্রতার উপদ্রব। --বিজয়

# বেচে থাকার নামই যদি জীবন হয়,তাহলে প্রত্যেক মানুষের আবাদত বেচে থাকাটাই মুখ্য।–বিজয়

# মানুষের অন্ধতাকে বরন করার কারন হচ্ছে মনের ভিতর লুকায়িত ঐশ্বরিক ভয়।–বিজয়

# প্রগতিশীল সমাজ ব্যাবস্থা নিয়ে কথা বলা মানে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা না,তবে ধর্মের গোড়ামি অন্ধতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরে আসা।কারন ধর্মের উপর অন্ধ বিশ্বাস করে অন্যকে অপমান করা বা ছোট করে দেখা কিংবা ভয় দেখিয়ে অন্যকে দমিয়ে রাখা এবং ধর্মের উপর অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে কোন জাতি বা ব্যাক্তির প্রান নাশ কিংবা ধ্বংষ লিলা কখনো কোন ধর্ম হতে পারেনা।এটাকে একথায় সন্ত্রাসবাদ ছাড়া অন্য কিছু বলে দাবি করা যায় না।যদি কেও সেটা দাবি করে বলে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাই করা হবে সেটাই ঠিক।তাহলে আমি তাকে বলব তোমার এমন ধর্মের কপালে আমি লাথি মারি।যেখানে কোন মানবতা নাই সেখানে কোন সৃষ্টিকর্তাও থাকতে পারেনা।জয় যদি হতেই হয় তবে মানবতার জয় হোক ।–বিজয়

# একজন দেশপ্রেমিক হলে তাকে মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান,আস্তিক,নাস্তিক কিংবা কোন গোত্রের হতে হয়না।শুধু একজন মানুষ হলেই হয়।–বিজয়

# আমি সভ্য হওয়ার নামে চিরটাকাল অসভ্যই রয়ে গেলাম।–বিজয়

# জীবনে চলতে গেলে ছোট বড় অনেক স্বপ্নই দেখতে হয়।স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত না হলেও হতাশ হওয়াটা এক ধরনের মানসিক রোগ।কারণ স্বপ্নের মৃত্যু নেই,স্বপ্ন অবিচল।–বিজয়

# কষ্টকে উপভোগ করতে শিখ এবং সুখকে আকড়ে ধরে রাখ।তবেই দূর্দিনে পিছনে ফিরে তাকাতে হবেনা।–বিজয়

# তোমরা সভ্য থেকে আরো সভ্যত্তোর হতে চাও ?মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনাতে চাও?রুপকথার কাল্পনিক বিশ্বাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে আধুনিক চিন্তা ধারায় উপনিত করে বাস্তব ধারায় প্রবর্তিত করতে চাও ?আধুনিক মুক্তচিন্তা ধারার অধিকারি এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার চাও? কিন্তু তোমাদের সে অধিকার দেওয়া হয় না বলে চিৎকার কর।তোমাদের স্বাধীন মতের উপর নির্ধারন করা হয় তোমার কল্লার মুল্য।কিন্তু তুমি যদি সত্যি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনিতে চাও তাহলে তোমার কল্লার এতো দরদ কেন?হাসি মুখে সেটা দান করে দাওনা তোমার এবং তোমার পরের প্রজম্মের জন্য।তোমার একটা প্রানের বিনিময়ে জেগে উঠবে আরো ১০ টা প্রান। তুমি তোমার জাগায় অটুট থেকে তোমার দর্শনকে তুমিই এগিয়ে নিয়ে যাও।কিসের এতো ভয় তোমার?ভয় কখনো বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারেনা।বরং দুর্বার ধুমকেতু হয়ে যারা সংগ্রাম করে জয় শুধু তাদেরই।রবার্ট ব্রুশ যদি ৬ বার যুদ্ধেক্ষেত্রে পরাজয়ের পরেও জয়ের স্বপ্ন দেখে ৭ম বারে জয় ছিনিয়ে আনে তবে কেন তোমার এতো সংশয়।পরিবর্তন আপনা-আপনি আসেনা।উস্থান-পতনের মাধ্যমেই আসে জয় অথবা পরাজয়।যারা পরাজয়কে মেনে নিয়ে তার পথ থেকে সরে যেতে দ্বিধাবোধ করে না সে কাপুরুষ-ভীতু।আর যে পরাজয় এবং ক্লান্তির ঘাম মুছে আত্মবিশ্বাসের অদূরদুরে জয়ের হাতছানি খুজে বেড়ায় সে উড়ন্ত ধুমকেতু।যুগে যুগে এর অনেক ইতিহাস রয়ে গেছে এই ব্রহ্মাণ্ডে।আমরা অবশ্যই সবাই সক্রেটিসের নাম শুনেছি এবং জানি তাকে স্বাধীনমত প্রকাশ করার জন্য হেমলক বিষ পান করতে হয়েছিল নির্দ্বিধায়।তবে কেন তোমার ভয় হে দুর্বার?পরিবর্তনের স্বপ্ন যখন বুনতে শুরুকরেছ,তবে কঠিন দুঃস্বপ্ন দেখারো সাহস চাই দুর্বার।–বিজয়

# পৃথিবীর প্রতিটা প্রানী মৃত্যুর জন্য জন্মায়।–বিজয়

# প্রত্যেক বাবা-মা তার ছেলে মেয়েদের উপদেশ দেয় তুই বড় হয়ে লেখাপড়া শিখে অমুকের ছেলে মেয়ের মত বড় অফিসার হবি,কিন্তু বলে না তুই অমুকের ছেলে মেয়ের মত একজন সৎ মানুষের মত মানুষ হবি।–বিজয়

# মানুষ কখনো ইচ্ছে করে বদলায় না।কিছু মানুষের অবহেলা,কিছু স্মৃতি,এবং কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মানুষ কে বদলে যেতে বাধ্য করে।–বিজয়

# বিশ্বাসীরা তার ঈশ্বরকে নিয়ে যতটুকু ভাবে,ঠিক তেমনি যদি ঈশ্বর তার সৃষ্টিকে নিয়ে কিঞ্চিত ভাবতো তাহলে এতো দূর্দশা থাকতো না বিশ্বাসীদের মাঝে।–বিজয়

# বিশ্বাসীরা তার কাল্পনিক ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য যে সময়টুকু বিভিন্নভাবে ব্যয় করে,ঠিক ওই সময়টুকুই যদি বিশ্বাসীরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং সকল প্রানীকূলের জন্য ব্যয় করতো তাহলে এই ভূবন আরো বেশী সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল হত।–বিজয়