শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

পাকিস্তানিদের সাথে খেলার মাঠেও রাজনিতী মিশানোর কারন



কিছু নোংরা মনের রাজনীতিকের কল্যানে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী আমাদের নিজেদের কিছু লোকের সহায়তায় ৭১-এ যেটা করেছে তার দায়পাকিস্তানি গোটা জাতির উপর চাপিয়ে দেয়াটা কতটা যৌক্তিক বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় কিছু পাকিস্তান অনুসারী বাংলার জারজ পাকিস্তানি দালালেরা।যে সব বাংলাদেশী নাগরিক বাংলাদেশের চেয়েও পাকিস্তানকে বেশী ভালবাসেন। যারা মনে করেন যে দেশটা বাংলাদেশ না হয়ে পাকিস্তান থাকলেই বেশী ভালো হতো।একাত্তরে কোন যুদ্ধাপরাধ হয় নাই।সামান্য গণ্ডগোল হয়েছিলো।তাদের জন্য মুখে থুথু দেওয়া ছাড়া আমার আর কোন ঘৃনা প্রকাশ করার মত তেমন শক্তি নাই।তাদের কথার উত্তর দিতেও আমার রুচিতে বাধে।যারা বাংলা মায়ের শহীদের রক্ত,মা-বোনের উপর অমানবিক নির্যাতনকে অস্বীকার করে পাকিস্তানির দালালি করে,পাকিস্তানি ক্রিকেট টিমকে স্বাগতম জানিয়ে ম্যারি আফ্রিদি আফ্রিদি চুদায় তাদের জন্ম নিয়ে সন্দীহান হয় খুব গভীর ভাবেই।
খেলার সাথে, সমর্থনের সাথে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কটা কি বুঝিনা? আপনি বলেন খেলোয়াররা তো ধর্ষণ/হামলা করেনি?তাদের বলতে চাই,পাকিস্তানিরা খেলছে কি কারনে?তাদের দেশের জন্য,তাদের পতাকার জন্য অবশ্যই।যেমন আমাদের বাংলার ১১ জন দামাল খেলে দেশের জন্য,আমাদের লাল-সবুজ পতাকার জন্য,এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।অপরদিকে পাকিস্তান নাম,পতাকা,জাতিটাই আমাদের জন্মগত ভাবে শত্রু।তাহলে আমরা তাদের কিভাবে সমর্থন করি বলে বুঝাবেন কি!যারা স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও আমাদের কাছে ক্ষমা চাইনি,যারা এখনো যুদ্ধাপরাধী বিচার নিয়ে অমানবিক বলে দাবি করে বাঁচাতে চায় তাদের দূসরদের।তারপরেও কেন আমরা খেলার সাথে রাজনিতী মিশাবো না আপনারাই বলেন পাকিস্তানি জারজরা। একটি দেশের জাতীয় দল সেই দেশের প্রতিনিধিত্ত করে।দেশের জাতীয় পতাকা বহন করে।দেশের জাতীয় দল যেখানে যাবে,দেশের পতাকা তুলে ধরবে।এই দলের সাফল্য-ব্যর্থতার সাথে পুরো জাতির হাসি কান্না জড়িয়ে থাকে।এইকারনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কোন ম্যাচ জিতলে আমাদের পুরো জাতি জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে।হারলে দলের খেলোয়াড়দের মত পুরো জাতি শোকাচ্ছন্ন থাকে।দলের খেলোয়াড়েরাও যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামে তখন আর সে শুধুই একজন খেলোয়াড় থাকেনা,হয়ে যায় নিজ দেশের রাষ্ট্রদূত।নিজের দেশের জাতীয় দলের বিরুদ্ধে,জাতীয় পতাকার বিরদ্ধে,পুরো জাতির বিরদ্ধে যে সমর্থন করে সে কি রাজাকার নয়?
আচ্ছা এখন পাকিস্তানি প্লেয়ারদের আমাদের দেশের প্রতি আমাদের জাতির প্রতি মনোভাব দেখি কেমন- তাদের সবচেয়ে ভদ্র প্লেয়ার মিসবাহ উল হক আমাদের দেশে বিজয়ের মাসে অভিনন্দন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
শহীদ খান বাংলাদেশ সফরে বলেছিলেন,"আমাদের সাথে বাংলাদেশের হিসেবটা পুরোনো।"
আব্দুর রাজ্জাক (ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম ভদ্রলোক) খোঁচা মেরে বলেছিল,নিজ দেশে খেললে দর্শকরা তাদের দলকে সমর্থন দেবেন এটাই স্বাভাবিক। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমাদের খেলা হলেও গ্যালারি থেকে আমাদের পতাকা উড়িয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়।‘
কিছুদিন আগেই সালমারা পাকিস্তান সিরিজ খেলতে গিয়েছিল। পরোক্ষভাবে তাদের দেশে খেলা ফেরানোই ছিল লক্ষ।অথচ তারা সেই সালমাদেরই রীতিমত অপমান করেছিল জিও টিভি ফান শোতে।০৭অক্টোবর রাত ১১টায় এক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে পাকিস্তানের জিও টিভি। যেনতেন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জার্সি পরিয়ে দুই মহিলাকে উপস্থিত করা হয়। উপস্থাপক বাংলাদেশের জার্সি পরিহিতকে সালমা খাতুন (বাংলাদেশের অধিনায়ক) হিসেবে মঞ্চে ডাকেন। সেখানে দেখা যায়, ওই সালমা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে মঞ্চে আসেন। উপস্থাপক তখন তাকে জিজ্ঞেস করেন, খেলায় তো হার-জিত থাকেই। এতে কান্নার কী আছে? ওই নারীশিল্পী উত্তর দেন, শুধু হেরে যাওয়ার জন্য কাঁদছি না। তোমরা আমাদের ডেকে এনে কেন হারালে সেজন্য কাঁদছি। উপস্থাপক এবার উপহাস করে বলেন, আমরা ভিআইপি নিরাপত্তা দিয়ে তোমাদের নিয়ে এসেছি। অথচ তোমাকে দেখলে মনে হয় তোমার সামাজিক নিরাপত্তা নেই।
উপস্থাপক বাংলাদেশের জার্সি পরিহিত আরেক শিল্পীর সানগ্রাস দেখিয়ে বলেন, তোমার সানগ্লাস দেখলে মনে হয় তুমি বাংলাদেশ থেকে হাওয়াই জাহাজে (বিমান) করে আসোনি। বাইক চালিয়ে এসেছ। এরপর আবার জিজ্ঞেস করেন, তুমি এত ভালো উর্দু বল কীভাবে? উত্তরে সালমা খাতুনের অভিনয়কারী শিল্পী বলেন, ফেসবুকে আমার অনেক পাকিস্তানি বন্ধু আছে তো, তাই। এ সময় পাশের পাকিস্তানি অধিনায়কের ভূমিকায় অভিনয়কারী শিল্পী দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বলেন, উনি ফেসবুকে তার ছবি দেননি। এ ঠাট্টার অর্থ ফেসবুকে ছবি থাকলে পাকিস্তানি ছেলেদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হতো না। এভাবেই নানা অপমানজনক কথায় পূর্ণ ছিল অনুষ্ঠানের এ অংশটি।
ভিডিও দেখতে-
https://www.facebook.com/bdcricvideos/videos/vb.1590441024536126/1683448...
এরপরেও কি আপনি বলবেন আমরা কেন খেলার সাথে রাজনিতী মিশাই?আর তার উত্তর হুমায়ুন আজাদ স্যারের ভাষায় বলতে গেলে,“পাকিস্তানিরা যখন ফুল নিয়ে আসে আমি তখনও তাদের অবিশ্বাস করি।”এরপরেও যদি আমার কথা না বুঝেন,পাকিস্তানি সাপোর্ট করেন তাহলে আপনি একটা পাকিস্তানি জারজ বলেই আমার কাছে প্রসিদ্ধ লাভ করবেন। বাংলাদেশের বেলায় আমি অন্ধ। যে জাত আমাদের ৩০ লাখ মানুষের রক্তে দেশকে অবলীলায় রাঙ্গিয়ে দিয়ে যায়, এক আঙ্গুলের ইশারায় অপারেশন সার্চলাইটের মত ঘৃন্য অভিযান চালায়, তাদেরকে আবার সমর্থন!যে মাটিতে দাড়িয়ে আছি, সেই মাটিতেও লেগে আছে অনেক শহীদের গায়ের “রক্ত” অথবা কোন হাড়গোড়ের স্পর্শ।তাদের আর্তচিৎকার।সেই ১৯৭১ না দেখা কান্না, মা-বোনের চিৎকার কানে বাজে,রক্তের ছাপ চোখে ভেসে উঠে।ভালোবাসি বাংলাদেশ,আর নিস্বার্থ ভাবেই সারা জীবন বাংলাদেশের পথেই থাকতে চাই।আর যতদিন বাঁচি এই দু-দিনের দুনিয়ায়,ততদিন পাকিস্তানিদের দু-চোখ ভরে ঘৃনা আর থুথু ছুড়ে দিতে চাই।
জয় বাংলা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন