শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

কেই সেই পরবর্তী টার্গেট



শহরের একই থানার অন্তর্ভুক্ত বেশ কিছু পাশাপাশি এলাকায় খুন,মাদক ব্যবসায়ী,মাদক সেবনকারী,ছিনতাইকারী,চোর,ডাকাতের পরিমান বেড়েই চলছে।কে খুন করছে,বা কে এই যুব সমাজের মাঝে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে,এবং কারাই বা রাতের অন্ধকারে অন্যের বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি,ডাকাতি কিংবা ছিনতাই করছে পথচারীদের টাকা,মোবাইল কিংবা স্বর্বস?পুলিশের উৎপাতও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কারন উপর তলা থেকে বেশ চাপ পোহাতে হচ্ছে ডিউটিরত অফিসারদেরো।এর মধ্যেই এলাকার বেশ কজন যুবককে সন্দেহাতীত আটক করা হচ্ছে এবং তাদের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।কিন্তু আটককৃত বখাটে যুবকরাও কোন হদীস দিতে পারছেনা এসব কে বা কারা করচ্ছে।এর মধ্যেই গত ১১ মাসে ১১ জন উপজাতি মেয়ে ধর্ষন অতঃপর খুন করা হয়েছে।দিনের পর দিন অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলছে কিন্তু অপরাধীদের সনাক্ত না করতে পেরে প্রশাসনও হতাশায়।কারন আজকাল সাধারন মানুষ গুলাও প্রশাসনকে মুখের উপর ধিক্কার জানিয়ে চলে যাচ্ছে।


এসব অরাজকতার মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে গেছে কেনই বা সিরিয়ালী উপজাতি মেয়ে ধর্ষন অতঃপর খুন করা হচ্ছে।ধর্ষনের পর খুনের স্টাইল দেখে পুলিশ এবং ডিবির ধারনা একই ব্যক্তি দ্বারা এই জগন্য অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।কিন্তু সবারই এক কথা কে এই ধর্ষনকারী এবং খুনি?যে প্রতিমাসে ১ টা করে উপজাতি মেয়ে ধর্ষন করে খুন করে সবার চোখে ধুলা দিয়ে প্রশাসনের আড়ালে চলে যাচ্ছে।আর এই খুন হওয়া মেয়ে গুলাও বেশীর ভাগ এই এলাকায় নতুন।তাহলে তাদের খুন হওয়ার পিছনের কারণও কি একই সূত্র?কেও যেন কিছুতেই কোন হিসাব মিলাতে পারছেনা।অপরদিকে বেশ কিছু এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত গার্ড এবং টহল বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।যার কারনে অন্যান্য অপরাধ গুলো বেশ কিছু নিয়ন্ত্রের মধ্যে চলে আসছে।অপরদিকে এই মাসও শেষ হওয়ার পথে।তারমানে এই মাসে হয়তো আর কোন উপজাতি মেয়ে ধর্ষন কিংবা খুন হবেনা সবার ধারনা হচ্ছে।কারন প্রতিটা ধর্ষন এবং খুন হয়েছে প্রতি মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে।আজ মাসের ২৭ তারিখ।কিন্তু পুলিশের অতিরিক্ত টহল জুড়ালো ভাবেই চালানো হচ্ছে এই ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলারকে ধরার জন্য।


উপজাতি মেয়েদের খুনি এখনও নাগালের বাইরে!১১ মাসে ১১ খুন!


শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।বিশেষ করে উপজাতি পরিবারদের মাঝে।কে এই ১২ নম্বর?যাকে প্রথমে ধর্ষন অতঃপর খুন করে রাস্তায় ফেলে রাখা হবে?তাই শহরের বেশ কিছু উপজাতি পরিবারের উপর নজর রাখা হচ্ছে।কিন্তু সবার মনে একই ভীতি কাজ করছে ১২ নম্বর কি রেহাই পাবে নাকি বাকীদের মত ১২ নম্বরকে ঘাতক মেরে আবারো সবার আড়ালে চলে গিয়ে একের পর এক ধর্ষন অতঃপর খুন করে যাবে।


অপরদিকে খুনীরো একই চিন্তা আর একজনকে ফেলে দিতে পারলেই হবে।কিন্তু কাজটা খুবই কঠিন হয়ে গেছে প্রশাসন,মিডিয়া এবং জনসাধারনের উত্তেজনার কারনে।কিন্তু খুনীকেও যে সবার আড়ালে থেকেই ১২ নম্বরকে ফেলে দিতে হবে।তাছাড়া তার কাজ যে অসম্পূর্ন থেকে যাবে।তার অনেক কাজ বাকী থেকে যাবে যদি সে ১২ নম্বরকে খুন করতে না পারে।কিন্তু প্রতিটা খুনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ওর কাছাকাছি চলে এসেছে।মনে হচ্ছে এবার সে ধরা পড়ে যাবে এবং তার গলায় রশিও পড়ে যাবে।খুব ভঁয়েই আছে খুনী।ধরা পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে দিনকে দিন।কিন্তু তার কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে।


পত্রিকাগুলো যেভাবে লিখছে,কিন্তু কাজ গুলো তত সহজ নয়।কেউই বুঝতে চাইছেনা যে কাজ শিকার গুলা ঠিকই ছিল।প্রত্যেকের উপর নজর রাখা হচ্ছে।সবাই এখন বেশ সতর্ক।পুলিশ সবসময় কড়া পাহারা দিচ্ছে।আবার অনেক উপজাতি মেয়েই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না।ওরা কোথায় থাকে এটা বের করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।অনেকের উপর দিনরাত নজর রাখা হচ্ছে।ও সবই জানে।সব সম্ভাবনা পরখ করেও দেখেছে,কিন্তু কাওকে কাছে পাবার আশা নাই।


রেকর্ড ভাঙ্গার জন্য আরেকজন দরকার।পত্রিকাগুলোর আজকাল হেড লাইনগুলা যেন এই খুনের পিছনে পরে আছে তা প্রথম পৃষ্টার রহস্যমুলক হেড লাইন দেখেই বুঝা যায়।


উপজাতিদের খুনি এখনো নাগালের বাইরে!


১১ মাসে ১১ খুন!


শহড়জুড়ে উপজাতিদের মনে আতংক!


খুনি এখনও নাগালের বাইরে!


১২ নম্বর কে?


কে এই সিরিয়াল কিলার?


প্রতি মাসে একজন উপজাতি।ব্যপারটা তত সহজ না।দীর্ঘ ১১ মাস ধরে ১১ টা খুন।সপ্তাহ খানেক আগে কাজটা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল ও।আশংকা করেছিল ধরা পরে যাবে।কিন্তু তার কাজ যে এখনো অসম্পুর্ন রয়ে যাবে।তাই ছেড়ে দিতে চেয়েও ছেড়ে দিতে পারলো না।বিশেষ করে টিভি আর পত্রিকাগুলা ওর অপকর্মের কথা ফলাও করে প্রচার করা হয়।বলা হয়,উপজাতি খুন করা শ্রেষ্ঠ ঠান্ডা মাথার শ্রেষ্ঠ সিরিয়াল কিলার।কিন্তু সে এই কথা গুলো কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারতেছিল না।


আজই ১২তম মাসের শেষ রাত।আজ রাতের মাঝেই তাকে ফেলে দিয়ে তার কাজ শেষ করতে হবে।কিন্তু আজ তার মনে প্রচুর ভয়ের সঞ্চার করছে।কেন জানি মনে হচ্ছে সে আজ তার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেনা।কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে দৃঢ় বিশ্বাস যে সে পারবে।কিন্তু কে জানে তার শেষ অবধি কি হয় এবং কি তার পরিস্থিতি?


একজন উপজাতি মেয়েকে খুজে পেয়েছে গত দুই দিন আগে।কিন্তু গতকালই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করে নেক্সট টার্গেট এই মেয়েই।গত কাল রাতেই তার বাসার ঠিকানা,কোন বিল্ডিংয়ের,কত তলার,কয় নম্বর রুমের কত নম্বর রুমে থাকে।আজ রাতেই সেই মেয়েটির শেষ রাত হবে।মেয়েটি স্থানীয় এক এমপির বাসায় ভাড়ায় থাকে এবং একটা তিন তারা হোটেলের ড্যান্স ক্লাবে বিভিন্ন ভিআইপি লোকদের সাথে ড্যান্স করে।রাত ১১ টা বেজে ৭ মিনিট,কিন্তু মেয়েটা এখনো বের হচ্ছে না কেন জানি!অবশেষে মেয়ের দেখা পেল শিকারি রাত ১১ টা বেজে ২৫ মিনিটে।হোটেল থেকে বেরিয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল রিকশার করার জন্য।কিন্তু রাত একটু বেশী হওয়া এবং বৃষ্টির কারনে কোন রিকশা পাওয়া গেলনা।তাই বাধ্য হয়েই হেটে পাড়ি দিতে হবে মেয়ের বাসায়।রিকশার জন্য কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে মেয়েটি রাস্তা হাটা শুরু করে দিল।কিলার এবার তার পিছু নিল এবং তাকে ফলো করতে শুরু করলো।কিন্তু মেয়েটি বুঝতে পারছিল হয়তো কেও তাকে ফলো করছে।তাই সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় এবং পিছনে তাকায়।কিন্তু অমনি সিরিয়াল কিলার একটা দাঁড়ানো গাড়ির পিছনে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে।পিছনে কাওকে দেখতে পায় না।তাই আবার সে তার পথ চলতে থাকলো।ল্যাম্পপোষ্টের আলোয়। অবশেষে মেয়েটির বাসায় এসে পৌছল।বাড়িটা ১২ তলা।মেয়েটা থাকে ৭ তলায়,ফ্ল্যাট নম্বর ৬/এ।খুব দ্রুততার সঙ্গে ও এসে পাশে দাঁড়ালো।


মেয়েটা চমকে ওঠে প্রায় লাফ দিল।


ওহ,হাই,আমি দুঃখিত।বুঝতে পারছিনা চাবিটা যে কোথায় রাখলাম......


মেয়েটা ঘুরে দাড়িয়ে তার আপাদমস্তক জরিপ করল।


ও ভাবল,কোথাও ভুল হলো কিনা?


নাহ,মেয়েটা ওর জন্য দরজা মেলে দিয়ে হাসল।


ও হাসল।ব্যপারটা বেশ ওর পছন্দ হয়েছে।


আপনি নিশ্চয় ৭-বিতে থাকেন?


হ্যাঁ,জনসন।চাবিটা খুজে পাচ্ছি না!


দুজনে ভিতরে প্রবেশ করল।লিফটের ভিতরে এগিয়ে গেল। মেয়েটি ৬ লিখা বোতাম চাপল।ওপরদিকে সে ৭ লিখা বোতাম চাপল।


মেয়েটা একটু এবার রিলাক্সবোধ করলো।


অদ্ভুত এক অনুভুতি হচ্ছে ওর।চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছে।আর আড়চোখে মাঝে মাঝে মেয়েটাকে দেখছে।মেয়েটা ওর দিকে তাকিয়ে হাসল।


উত্তরে ও-ও হাসল।


৭ তলার দরজা খুলে গেল।মেয়েটি লিফট থেকে নেমে নিজের ফ্ল্যাটের সামনে চলে গিয়ে দরজার রুমে চাবি ঢুকাচ্ছে।তারপর মেয়েটি দরজা খুলে দরজা একটু ফাক করল।কিন্তু লিফটের দরজা বন্ধ হওয়ার আগে নেমেই কিলার অ্যাকশনে নেমে গেল।এবং মেয়েটিকে ধাক্কা দিকে রুমের ভিতরে নিয়ে গেল।ওকে মেঝেতে ফেলে দিল এবং দরজা বন্ধ করে দিল।যাতে মেয়েটি পালাতে না পারে।


তারপর মেয়েটির দিকে কামুক চোখে তাকাল।মেয়েটির রুপউজ্জল যৌবন দেখে উত্তেজনায় নিজেকে স্পর্শ করল।কিন্তু এরই মাঝে ফ্ল্যাটের ভিতরে থাকা তিন জন যুবক এসে ধরে ফেলে।ঘাতক তাকে মারার জন্য বকতে থাকে।


মেয়েটি ওঠে দাড়ালো।এবং তার চুল এবং মুখোশ খুলে ফেলে।আসলে যে মেয়েটির কথা বলতেছিলাম সে আসলে মেয়ে না সে একজন হিজড়া।ঘাতক চিৎকার করতে থাকে,আর বলতে থাকে তুই মিথ্যুক।আমি ওই ১১ জনের মত তোকেও খুন করতে চেয়েছিলাম।


মেয়েটি তাকে জিগায় কোন হে সেই ১১ টি মেয়ে?সেই ১১ টি উপজাতি পাহাড়ী এলাকা থেকে এসে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজে টাকা আয় করার জন্য ড্যান্স ক্লাবে,রেষ্টুরেন্ট,শপিং মলে,পার্লারে রাত ১১ টা/১২ টা পর্‍্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে টাকা ইনকাম করত তাদের কথাইতো বলতাছ?কি তাদের এমন দোষ যে,তাদের খুন করতে হলো তুমার?কি করেছিল তারা?তারাতো কোন অন্যায় কিছু করে নাই?


ঘাতক চুপ করে থাকল।তাকে পুলিশের কাছে দেওয়া হলো।তারপর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলো পুলিশি জিজ্ঞাসা বাদের জন্য।যখন তাকে বলা হল- কেন তাদের তুমি খুন করেছ?তার উত্তরে সে বলেছিল,কারন সে বিধর্মি।সে রাতকে রাত মনে না করে,আমদের সমাজকে কোন তুয়াক্কা না করে পর-পুরুষদের সামনে বিভিন্ন হোটেলে নাচে,গায় ফুর্তি করে,গভীর রাতে বাসায় আসে,পার্লারেতো নিজেরা সেজে থাকেই অন্যদিকে আবার মুসলিম মেয়েদের সাজিয়ে দিয়ে আমার ধর্মকে অপমান এবং অবমাননা দুটাই,করছে বিভিন্ন শপিং মলে এরা যে ভাবে সেজেগুজে থেকে ছেলের আকর্ষিত করে এতে যুব সমাজের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।এদের জন্যই আজ যুবসমাজ কিংবা মধ্যবয়সী পুরুষেরাও তাদের গা ঘেষে বিপথে পা বাড়াচ্ছে।যা আমাদের সমাজে নিষিদ্ধ।আর তাদের খুন করা ওয়াজিব বড় হুজুর বলেছেন।আর বিধর্মী মেয়েরা হলো গনিমতের মাল।আমার আরো অনেক কাজ বাকী আছে।আমি তাদের একে একে সবগুলাকে শেষ করে দিতে চাইছিলাম।আমি না পারলেও আমার ভাইয়েরা তাদের ছাড়বে না............।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন