শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

দুই জাতিয় মানুষকে খুব বেশি ঘৃনা করি এবং এক জাতীয় মানুষকে খুব বেশী ভালোবাসি



অনেক সময় নিজের ধারণটাও কেমন করে যেন এলোমেলো হয়ে যায়।আমি দুই জাতিয় মানুষকে খুব বেশি ঘৃনা করি এবং এক জাতীয় মানুষকে খুব বেশী ভালোবাসি।এক রাজাকার আলবদর পাকিস্তানি জারজদের।যাদের কারনে এদেশ আধো ৭১-এ স্বাধীন হওয়ার পরেও পুরুপুরি রাজাকার আলবদর মুক্ত হতে পারেনাই এবং যারা আজও বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে বিকৃতি করার

লবাহনা করে এবং মনে প্রানে এই সোনার বাংলাকে পাকিস্তান ভেবে জংগী সংঠন গড়ে তুলার তৎপরতা থেকে শুরু করে নিজেরাই আশ্রয় দাতা।দুই ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের।যারা কিনা শুধু নিজের বিশ্বাসের উপর বহাল রেখেই অন্যায় অবিচার বিবেচনা না করেই বেহেশতে যাওয়ার পায়তারনা করে অন্যের ক্ষতি কিংবা গলা কর্তন করার টার্গেটে মানুষকে নির্দিধায় হত্যা করতে যাদের একটুও হাত বা আত্মা কাপেনা।আর যাদের খুব বেশি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসি তারা আর কেও না।তারা আমার মুক্তিযুদ্ধা,শহীদ ভাইয়েরা এবং নির্যাতিত মা-বোনরা।যাদের অসীম ত্যাগের কারনে আজ আমরা এই সোনার বাঙলা পেয়েছি।

এক সময় ভাবতাম হয়তো রাজাকার আলবদরদের এক এক করে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিলেই হয়তো বাংলাদেশ রাজাকার মুক্ত হয়ে যাবে।কিন্তু হঠাৎ করে কেন জানি ধারণটা নিজের কাছেই ভুল মনে হতে লাগল এবং অনেকাংশেই ভুল।যাদের হয়তো আজ ফাসির রায় এবং ফাসি দেওয়া হচ্ছে তাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে।তারা এমনিতেই কয়দিন পর স্বাভাবিক মৃত্যুবরন করবে।কিন্তু তাদের যদি স্বাধীনতার পড়েই এভাবে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেওয়া যেত কিংবা স্বাধিন বাংলার জনগন তাদের যদি ৭১ এর পরেই তাদের গনপিটুনি দিয়ে হত্যা করত তাহলে হয়তো বাংলাদেশ রাজাকার আলবদর মুক্ত হতো।কিন্তু সে সময় তা করা হইনি বরং তাদের বাংলার মাটিতে আশ্র্য় দিয়ে সরকারি রাজনৈতিক পার্লামেন্ট মন্ত্রী পরিষদ থেকে শুরু করে দেশের আনাচে কানাচে বিভিন্ন ছোট বড় প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়ে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।এবং তাদের ছেলেমেয়ে বংশধররা আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং অনেক নামিদামি ব্যাক্তি।যারা আজও সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি করে এবং তার বাবদাদার মতোই বাংলাদেশকে অস্বীকার করে।এবং তাদের আশ্রয়ে গড়ে উঠেছে একাধিক রাজনৈতিক দল।স্থান এবং পাত্রভেদে তাদের সংঠনের নাম আলাদা হলেও তাদের আশ্রয়স্থল কিংবা গুড়া একই।যাদের রয়েছে হাজারো উত্তরসূরি কিংবা নেতা কর্মী পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের মুল উদ্দ্যেশ এবং বাস্তবায়ন কর্মকান্ড একই এবং তারা একই সাথে সর্বোচ্চ পরিমাণে তৎপর।সেহেতু এই বয়স্ক আলবদর রাজাকারদের ফাসি দিলেই বাংলাদেশ রাজাকার মুক্ত হবেনা কখনো।সে সাথে যদি তাদের সকল রাজনৈতিক,ব্যাবসায়িক,শিক্ষার নামে ভন্ডামি স্কুল কলেজ নির্মানকরে অর্থ যোগানের সকল ব্যাবস্থা এবং তাদের আদর্শে গড়ে তুলা সকল কিছু বন্ধ করে দিয়ে তাদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাতের ব্যাবস্থা করতে হবে।তবেই একদিন পুরুপুরি ভাবে বাংলাদেশ রাজাকার আলবদর পাকিস্তানি জারজ এবং তাদের উত্তরসুরী নতুন প্রজন্ম ধ্বংষ হবে।

আর অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধা এবং শহীদ ভাই আর বীরাঙ্গনা নারিদের এবং তাদের পরিবার নিয়ে করুন কথা নতুন করে কিছুই বলার নাই আমার।তারা আজ সমাজে শুধু নাম মাত্র মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে পরিচিত অবহেলিত প্রানি এবং কি অনেকের ভাগ্যে যুদ্ধ করেও মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে সম্মান পাইনি এবং কি ওদেরকে আমাদের সুশীল সমাজ চিনেও না।তাদের জীবন যাত্রার মান খুব ব্যায়বহুল যার কারনে তাদের রিক্সা,ভ্যান,ক্ষেত খামারে সারাদিন খেটেও শান্তি মত পেট ভরে খাওয়ার মত উপার্জন করতে পারেনা।তাদের চিকিৎস্যার অভাবে রাস্তাঘাটে মানুষের দাড়ে দাড়ে ঘুরে ধোকে ধোকে মরতে হয়।তাদের নিয়ে কেও কোন কথাও বলেনা,তাদের বীরত্ব নিয়ে কোন সুশীল সমাজ বই গল্প কবিতাও লিখে না।আবার অন্যদিকে অনেক মুক্তিযুদ্ধা আছে যারা আগের থেকে পারিবারিক ভাবে যথেষ্ট স্বাবলম্বী কিংবা তাদের শিক্ষা মেধার শক্তিতে প্রতিষ্ঠিত তাদের নিয়ে অনেক টক শো হয় কথা হয়,গান কবিতা বই লিখা সবি হয়।তাদের বিভিন্ন সম্মননাও দেওয়া হয়।এর মানেই এই না যে আমি তাদের ছোট বা অসম্মান করে কথা বলছি।আমি তাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা এবং সম্মান করি।কিন্তু আমি বলতে চাই যে,সাবলম্বী মুক্তিযুদ্ধাদের পাশাপাশি যদি এই অবহেলিত মুক্তিযুদ্ধা দরিদ্রদের প্রতি নজর দেওয়া যেত এবং সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করলে যেমন তারা খুশি হত তেমন আমরাও বলতে পারতাম যে আমদের সামর্থ অনুযায়ী আমরা তাদের পাশে ছিলাম এবং পাশে থাকার চেষ্টা করেছি এবং করব।কিন্তু আমরা অবহেলিতদের সম্পর্কে অনেকে জানার পড়েও উপর মহল থেকে শুরু করে শুধু তেল ওয়ালা মাথায় তেল দেওয়ার জন্য ব্যাস্ত থাকে।এবার একটু তাদের দিকে নজর দিন সুশিল সমাজ।এবং তাদেরকে উপরে তুলে এনে আমাদের গৌরব ইতিহাসকে রক্ষা করুন এবং আমাদের নতুন প্রজন্ম কিংবা পরের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে আরো ভালো ভাবে সংরক্ষন করুন দয়া করে সুশীল সমাজ।আমরা আমদের গৌরব এবং বিরত্বকে হারাতে চাইনা।এই বিরত্বকে ধরে রাখার জন্য আমরা আরো একবার লড়ার জন্য প্রস্তুত আছি এবং থাকব।জয় বাংলা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন