শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

লেখাটি সবার জন্য না !!



আমার এই লেখাটি সবার জন্য না।কারন এই লেখাটি সবাই গ্রহন করতে পারবেন না।আপনারা অন্ধ ভাবে যে হারে একজন করে প্রতিভান লেখক ও প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারকদের যে ভাবে পিছন থেকে গলা কর্তন করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন এতেতো কোন উপকারই হবেনা বরং নিজের ধর্মকেই নিজেরা খুনি বলে প্রমান করতাছেন।জোর করে,হত্যা,দাঙ্গা করে কখনো কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করা যায় না।বরং আপনার বিপরীত পক্ষ হাজারো যুক্তি এবং বাস্তব ধর্মী তথ্য নিয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো দিনদিন বেড়েই উঠবে এবং কি উঠছে।আপনারা একজন হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করছেনতো ১০ টা হুমায়ুন আজাদ জন্ম নিছে,১ টা অভি হত্যা করছেনতো ১০০ নতুন অভি মাথা চাড়া দিয়ে দাড়াইছে,১ জন বাবু হত্যা করছেনতো ১০০০ বাবুর উস্থান হয়েছে,১ জন বিজয় হত্যা করছেনতো ১০০০০০ বিজয়ের আগমন ঘটছে।আপনারা বর্তমানে শতাধিক প্রগতিশীল লেখক,নাস্তিকদের হত্যা তালিকা করছেন কিন্তু আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে আপনার ঘরেও হয়তো এমন একজন আছে যে আপনাদের প্রচলিত সমাজ ব্যাবস্থাকে ভেঙ্গে শুধু মানুষ পরিচয়ে বাচতে চায়?হয়তো এদের সংখ্যায় আপনাদের চোখে খুবই কম কিন্তু গোপনে অনেক আছে।যারা আপনাদের ভয়ে এখন মাথা চাড়া না দিতে পারলেও পরের প্রজন্ম ঠিকই দিবে।কারন এ যুদ্ধটা শুধু স্যার আজাদ,অভি,বাবু,বিজয়ের না এটা আজ লক্ষকোটি প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারকদের।আর এই প্রগতিশীলদের জন্য দায়ী আপনারাই।কারন আপনি তাদের জন্মের পর থেকে শিক্ষা দিছেন ওরা হিন্দু,মুসলিম,খৃষ্টান,ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু কখনও আপনার শিশুকে শিখাননি ওরা মানুষ।আর ওরা যখন বুচতে পারলো আপনি তাদের জাতিতে ভেদাভেদ শিখাইছেন তখনি তারা আপনার বিপরিত পক্ষ নিয়ে সবাইকে এক করে আপনাদের প্রচলিত সমাজকে তুড়িমেরে উড়িয়ে দিবার চেষ্টা করতাছে।আপনি হয়তো ভাবতাছেন এতো সহজ না,এই সমাজ ব্যাবস্থা ১৪০০ কিংবা তারো অধিক সময় ধরে চলে আসছে।তাই আপনার দৃঢ় বিশ্বাস প্রকট।কিন্তু এই প্রগতিশীলরাও আপনার এই যুক্তিকে তুড়ি মেরে এরা দিনদিন বেরেই চলছে।কারন তারা আজ এটাকে আপনাদের সাথে বিপরীত যুদ্ধ হিসাবে গ্রহন করে নিয়েছে।

আমি আরও একবার বলব, আমার লেখাটি সবার জন্য নয়। যারা পড়বেন তাদের এটি পড়ার মতো ক্ষমতা ও সামর্থ্য থাকাটা দরকার। আর যারা সমালোচনা করবেন তাদের বলি ‘বি মাই গেস্ট’। আমি পুনরায় আপনাদের যুক্তি দিয়ে বোঝাব। বার বার বোঝাব। আর বিপ্লবী ভাই বোনেরা, আপনাদের একটা কথা বলি, নেগেটিভ চিন্তাধারা থাকলে কোনও কাজ সফল হয় না।বংগবন্ধু যদি ভাবতেন ‘আমি একা কী করব? কিছু করতে পারব না’ – তাহলে আজ তিনি বংগবন্ধু হতেন না।স্বাধিন মত প্রকাশ,মুক্তভাবে চিন্তা করা আমদের অধিকার।বিপ্লবীদের আপনারা দমিয়ে রাখতে পারবেন না।তারা আপনাকে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে দিবে।হয়তো আপনি তখন গলা কর্তন করার টার্গেট করবেন।কিন্তু লাভ কি?আমি আগেই বলছি একজন হত্যা করবেনতো দশক,শতক,হাজার,লক্ষ,কোটি প্রগতিশিলের জন্ম নিবে।যদি আপনার ঘরে কোন প্রগতিশীল না থাকে তাহলে আপনার ঘরেও জন্ম নিবে।আই চেলেঞ্জ ইউ।স্মৃতির পাতায় আমার এই কথা লিখে রাখতে পারেন।হয়তো সময় নিবে কিন্তু বেশি সময় নাই আর আপনাদের হাতে থালা,বাটি,কম্বল গুছিয়ে নিবার।

তাই আমি বলব,কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয় বন্ধুরা। দু’শো বছর মানুষ পেটানোর পর ইংরেজরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। অ্যাক্সেল রোজ বলেছিলেন ‘কজ নাথিং লাস্টস ফরেভার, ইভেন কোল্ড নভেম্বর রেইন’। সুতরাং আমাদের ওপর হওয়া এই অনাচারও চিরস্থায়ী নয়। দুর্দিন অচিরেই ঘুচে যাবে। আমাদের টিকে থাকতে হবে, অস্তিত্বের লড়াইটা চালাতে হবে। আমরা আমাদের লক্ষ্যে স্থির। আসুন আমরা এই অনাসৃষ্টির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

আর প্রগতিশীলদের প্রতি আমার একটা কথা,প্রায়ই প্রচলিত সমাজ ব্যাবস্থার কাছে একটা কথা শুনা যায় যে,আপনারা নাকি এই সমাজ ব্যাবস্থাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে কি উদ্ধার করতে চান?আসলে আপনারা প্রগতিশীল না,আপনারা অন্যধরনের স্বার্থ লুটতে আসছেন।এতে আপনারা আসল প্রগতিশীলদের নাম ডুবাচ্ছেন।আপনাদের এ সকল ভন্ডামি ছেড়ে দিন এবং আসল প্রগতিশীলদের হত্যা,হুমকির হাত থেকে রক্ষা করুন।এভাবে কিছু হয়না।যুক্তি তর্কের মাধ্যমেই এই সমাজ ব্যাবস্থা বুঝাতে হবে।কোন ব্যাক্তিগত আক্রমন করে কিছু হাসিলতো হবেইনা বরং হিতে বিপরীত হবে।

আজ আর বেশি কিছু বলার ইচ্ছা নাই।তবে কারো অনুভুতিতে কোন প্রকার আঘাত লাগলে আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।কারন মানুষ মাত্রই ভুল করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন